বিদ্যালয়ে দেশের স্বাধীনতা দিবস পালন
নমস্কার বন্ধুরা। আপনারা সকলে কেমন আছেন? আজকে আবারো চলে এসেছি আপনাদের সাথে নতুন কিছু গল্প শেয়ার করার জন্য। আশা করছি আপনাদের সকলের ভালো লাগবে।
১৫ই আগস্ট ছিল আমাদের দেশের ( ভারতবর্ষের) স্বাধীনতা দিবস। প্রতিটি সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে এই দিন দেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে ও জাতীয় সংগীত পরিবেশন এর মাধ্যমে স্বাধীনতা দিবস পালন করা হয়। তেমনি আমাদের বিদ্যালয় কৃষ্ণনগর সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে মহাসমারোহে এই জাতীয় উৎসব পালন করা হয়। প্রতিবছরই এই দিনটাকে সুন্দরভাবে উদযাপন করার জন্য আগে থেকে রিহার্সাল চলে। স্কুলের শিক্ষার্থীরাও খুব তৎপরতার সাথে এই দিনটিকে আরো সুন্দর করে তোলার জন্য আগ্রহী থাকে। আচ্ছা আপনাদের সাথে সেই দিনেরই কিছু গল্প শেয়ার করব।
অনুষ্ঠানের কর্মসূচি শুরু হয়েছিল সকাল আটটা থেকে। তাই সকল স্টুডেন্টরাই সেই সময়ের আগে স্কুলে এসে হাজির হয়েছিল। তার পাশাপাশি সমস্ত শিক্ষিকাবৃন্দও যথাসময়ে উপস্থিত হয়েছিলেন। এই দিনটির কর্মসূচি শুরু হয়েছিল পতাকা উত্তোলনের বেদিটিকে ফুল দিয়ে সম্মান জ্ঞাপন এর মধ্য দিয়ে। স্কুলের শিক্ষার্থীরায় বেদিটিতে ফুল অর্পণ করেছিল।
এরপর বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মহাশয়া দেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। সকলে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে জাতীয় পতাকাকে সম্মান জ্ঞাপন করছিল। জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পর সকলে সমবেত কন্ঠে দেশের জাতীয় সংগীত "জনগণমন অধি নায়ক জয় হে, ভারত ভাগ্য বিধাতা" গায়ছিল। সকলে মিলে তখন সমবেত কন্ঠে এই জাতীয় সংগীত পরিবেশন করে তখন সেটা মাধুর্য্যই যেন অন্যরকম হয়ে যায়।
তারপর স্কুলের ছাত্রীরা এই দিনটির মাহাত্ম্য সম্পর্কে বক্তব্য রাখে। এই বিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক দিকটা কিন্তু খুবই ভালো। এই বিষয়ে আমি অনেক পোস্টেই আপনাদের জানিয়েছি। ছোট থেকেই বাচ্চাদের মধ্যে একটা সাংস্কৃতিক বোধ জন্ম নেয়। ফলে একটু উঁচু ক্লাসে উঠলে তারা দলবদ্ধভাবে নিজেরাই একটা প্রোগ্রামকে পরিচালনা করার দক্ষতা অর্জন করে। ঠিক সেই ভাবেই এই দিনটিকে উদযাপন করার জন্য বেশ কয়েক সপ্তাহ আগে থেকেই তারা কিন্তু প্রস্তুতি নিতে শুরু করে। তারা নিজেরাই বা কখনো কখনো শিক্ষিকাদের সহায়তায় বিভিন্ন প্রোগ্রামের আয়োজন করে থাকে। এই প্রোগ্রামের বক্তৃতার বিষয়বস্তু তারা নিজেরাই দলবদ্ধভাবে ঠিক করেছিল। সেই বক্তৃতাটাই তারা খুব সুন্দর ভাবে পরিবেশন করেছিল।
এরপরে এক এক করে, বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়। দেশাত্মবোধক গান, দেশাত্মবোধক গানে নৃত্য পরিবেশন, আবৃত্তি, শ্রুতি নাটক ইত্যাদি চলতে থাকে। প্রতিটি শিক্ষার্থী খুব সুন্দরভাবে এই অনুষ্ঠানটিকে এগিয়ে নিয়ে যায়। অনুষ্ঠানগুলো এতটাই মনোমুগ্ধকর হয় যে বাকি স্টুডেন্টরা মনোযোগ সহকারে অনুষ্ঠান উপভোগ করে।
তবে এই দিনের সব থেকে আকর্ষণীয় যে জিনিসটি রয়েছে সেটি আমি আপনাদের সাথে পরবর্তী পোস্টে শেয়ার করব। প্রসঙ্গক্রমে বলে রাখি আমি কিন্তু এই বছর প্রত্যক্ষভাবে এই অনুষ্ঠানের সাক্ষী থাকিনি। আমাদের স্কুলের একটি গ্রুপ আছে এই গ্রুপ থেকেই আমি এই ছবিগুলি সংগ্রহ করেছি। তবে এই স্কুলে পড়া কালীন সময়ে কিন্তু কোনো অনুষ্ঠানই মিস করতাম না। সাইকেল চালিয়ে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূরে স্কুলে যেতাম সেই সাথে সমস্ত অনুষ্ঠান উপভোগ করতাম। তবে এখন নানা ব্যস্ততার কারণে আর যাওয়ার সময় হয়ে ওঠেনা। তবুও মনে মনে সেই দিনগুলো স্মরণ করে বেশ ভালো লাগে।
আজ তাহলে এখানেই শেষ করছি। আগামীকাল আবার অন্য কোনো লেখা নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হব। সকলে ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
