Incredible India monthly contest of February #2| Do you believe behind every successful man, there is a woman?
আসসালামু আলাইকুম। আশাকরছি সবাই ভালো আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি। ইন্ডিয়ান বাসী, বাংলাদেশ বাসী,ও ইনক্রিডিবল ইন্ডিয়া কমিউনিটির সবাইকে জানাই, আমার পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও সবার প্রতি আমার ভালবাসা রইল।
আজ আমি অংশগ্রহণ করছি কমিউনিটি কর্তৃপক্ষের আয়োজিত সাপ্তাহিক কনটেস্টে। আজকে এই কন্টেস্টের শেষের দিন, আর মাত্র পাঁচ, ছয় ঘন্টা বাকি রয়েছে। তারপরও এই কনটেস্টের বিষয়বস্তুগুলো আমার কাছে কিছুটা জটিল মনে হয়েছে, কারণ আমি একজন ছেলে মানুষ, এবং আমার চিন্তাভাবনা অনেক সময় ছেলেদের পক্ষেই চলে যায়। তবুও, আমি চেষ্টা করব আমার জ্ঞান ও বিশ্লেষণ দিয়ে কিছু কথা বলতে। যদি আমার বিশ্লেষণ ভুল হয়, তবে সবাই ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। এছাড়াও, এই কনটেস্টের বিষয়বস্তুগুলো অত্যন্ত চমৎকার, কারণ এতে মানুষের নানান মতামত প্রতিফলিত হবে।
এটি সবার জন্য একটি বাস্তবমুখী সত্য, যে একটি সফল পুরুষের পেছনে একটি মা বা একটি নারীর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই পৃথিবীতে প্রতিটি মানুষ মাতৃগর্ভ থেকে জন্মগ্রহণ করে, তাই নারীর ভূমিকা শুরু থেকেই অপরিসীম। একটি শিশু যখন প্রথম কথা বলাতে শেখে, তখন তার মা থেকেই প্রথম তা শিখে। সুতরাং, এই সফলতার পেছনে তার মায়ের বা একটি নারীর অবদান সবচাইতে বেশি।
একটি ব্যতিক্রমী উদাহরণ দিই: ধরা যাক, এক ছেলে খুব গরীব এবং দীর্ঘ পাঁচ বছর প্রেম করেছে একটি মেয়ে সঙ্গে। একদিন মেয়েটির বিয়ে ঠিক হয়ে যায়। ছেলে মেয়েকে প্রশ্ন করে, পাঁচ বছর আমি তোমার সঙ্গে প্রেম করেছি। এখন কেন অন্য কাউকে বিয়ে করছো? মেয়ে উত্তর দেয়, তোমার সঙ্গে বিয়ে করলে সারাজীবন কষ্টে সংসার করতে হবে। তাই এই সম্পর্কটা এগিয়ে নিতে চাই না।
ছেলেটি মেয়ে থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে অনেক সংগ্রাম করে এবং পাঁচ বছর পর মেয়েটিকে আবার দেখে। মেয়ে তখন খুবই খারাপ অবস্থায় ছিল, আর ছেলে তখন একদম সফল, গাড়িতে চলাফেরা করছে। মেয়ে তাকে দেখে বলল, তুমি তো গাড়িতে চলাফেরা করছো! ছেলেটি হেসে উত্তর দিল, এই সাফল্যের পেছনে তুমি আছো।
এই গল্পের মাধ্যমে বোঝা যায় যে, নারীর ভূমিকা সত্যিই অপরিসীম-মাতৃগর্ভ থেকে শুরু করে জীবনের প্রতিটি ধাপে নারীরা আমাদের সাফল্যের পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
আমি মনে করি, সম্পর্কের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা একটি দীর্ঘমেয়াদী প্রক্রিয়া, যা সবাই সফলভাবে করতে পারে না। সম্পর্কের মধ্যে একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধা, বিশ্বাস এবং সহানুভূতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একে অপরকে বুঝতে পারা এবং অনুভূতিগুলো মূল্য দেওয়া সম্পর্কের সঠিক রূপ তৈরিতে সাহায্য করে।
প্রথমত, সম্পর্কের মূল ভিত্তি হলো বিশ্বাস। যদি একে অপরের মধ্যে বিশ্বাস থাকে, তবে সম্পর্কটি শক্তিশালী হয়। কিন্তু, বিশ্বাস ভঙ্গ হলে, সম্পর্কের ভিত খুব দ্রুত ভেঙে যায়।
দ্বিতীয়ত, শ্রদ্ধা এবং সহানুভূতি গুরুত্বপূর্ণ। যখন একে অপরের মতামত, অনুভূতি এবং চিন্তাধারাকে শ্রদ্ধা জানানো হয়, তখন সম্পর্ক আরও গভীর ও স্থায়ী হয়।
একটি সম্পর্ক অটুট রাখতে অনেক আত্মত্যাগ প্রয়োজন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো মনের মিল এবং বিশ্বাস-এই দুটি উপাদান যদি না থাকে, তবে সম্পর্ক খুব সহজেই ভেঙে যেতে পারে।
ছেলে এবং মেয়ে উভয়কে সমান অধিকার দেওয়ার প্রয়োজন আমাদের সবার। পৃথিবীজুড়ে অনেক মেয়ে আছে যারা সমাজে ছেলেদের চেয়ে অনেক বেশি এগিয়ে। উদাহরণস্বরূপ, বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন, যিনি নারী শিক্ষা এবং সমাজের উন্নয়নে অসামান্য অবদান রেখেছেন। তাঁর অবদান সম্পর্কে আরও জানতে ইউটিউব বা অন্য কোনো মাধ্যম থেকে যাচাই করতে পারেন।
ছেলে এবং মেয়ে উভয়কে সমান অধিকার দেওয়ার প্রয়োজন আমাদের সবার। পৃথিবীজুড়ে অনেক মেয়ে আছে যারা সমাজে ছেলেদের চেয়ে অনেক বেশি এগিয়ে। উদাহরণস্বরূপ, বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন, যিনি নারী শিক্ষা এবং সমাজের উন্নয়নে অসামান্য অবদান রেখেছেন। তাঁর অবদান সম্পর্কে আরও জানতে ইউটিউব বা অন্য কোনো মাধ্যম থেকে যাচাই করতে পারেন।
তবে এখনো অনেক পরিবার আছে, যারা মেয়ে শিশুদের সমান অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে। আমি মনে করি, আমাদের উচিত এই লিঙ্গ বৈষম্য বিবেচনা না করে, প্রতিটি মানুষকে একজন সম্পদ হিসেবে মূল্যায়ন করা দরকার। প্রতিটি মানুষেরই বিশেষ কিছু গুণ রয়েছে।
এটা পরিষ্কার যে, সমাজে নারীর ভূমিকা অপরিসীম। তাদের সম্মান, সুযোগ এবং স্বীকৃতি সবার জন্যই প্রয়োজন। একজন পুরুষ বা একজন নারীর সাফল্য কখনো একে অপরকে বাদ দিয়ে পূর্ণ হয় না, বরং একে অপরকে সমর্থন ও সম্মান প্রদানেই সাফল্য নিহিত। সুতরাং, আমাদের উচিত একে অপরকে সমানভাবে সম্মান এবং সুযোগ দেওয়া।
আমি ধন্যবাদ জানাই @sampabiswas , Co- admin দিদিকে উনি আমাকে এই পোস্টের জন্য আমন্ত্রিত করেছে। এছাড়া @karobiamin71 আপুকে ধন্যবাদ জানাই। আমি আরও আমাদের এই কমিউনিটির তিনজন সদস্যকে আমন্ত্রণ জানাই, @rasel72..@suryati1 @mou.sumi ...
@mdsuhagmia আপনার লেখায় উল্লেখিত উদাহরণটি একটু ঘুরিয়ে লিখেছেন বটে তবে বিষয়টি নিয়ে ভারতীয় একটি হিন্দি ছায়াছবির পটভূমি খুঁজে পেয়েছি।
ছায়াছবির নাম "সাদি মে জরুর আনা!"
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবার জন্য ধন্যবাদ।
আমি বেশি খুশি হই তাদের লেখা পড়ে যারা প্রতিযোগিতায় একদম শুরুতে অংশগ্রহণ করেন।
তাদের লেখা ব্যতিক্রমী হবার কারণ, তারা অন্যের লেখা থেকে অনুপ্রাণিত না হয়ে নিজের অভিমত তুলে ধরেন।
আগের মত আজকাল আপনার মন্তব্য বিশেষ চোখে পড়ছে না, আশাকরি আপনি ভালো আছেন।
@sduttaskitchen আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ম্যাম, আমার পোস্টটি পড়ে এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য। আলহামদুলিল্লাহ ম্যাম আমি ভালো আছি আপনি কেমন আছেন। কমেন্টের সংখ্যা একটু কম হয়েছে এর কারণ হলো ম্যাম আমি কয়েকদিন আগে একটা নতুন ব্যবসায় শুরু করেছি। ওই ব্যবসায় একটু দেখাশোনা করতে হয়, তার উপরে আবার রমজান মাস চলে আসছে এই মাসে সবাই বেশি-বেশি করে ইবাদত করে থাকে। আবার আব্বাকে নিয়ে মসজিদে যেতে হয় ইত্যাদি নানা সমস্যার কারণে, কমিউনিটিতে আমাকে কম দেখা যায়। সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে ম্যাম।
আপনার জন্য সব সময় শুভকামনা রইল 💕
প্রথমেই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য। প্রতিটা ছেলে যদি মেয়ের কাছ থেকে এভাবে ধোকা খেয়ে নিজেদের ভবিষ্যৎ জীবনটা অনেক বেশি সুন্দর করতে পারতো তাহলে হয়তো অনেক বেশি ভালো হতো।
আমাদের প্রত্যেকের উচিত অবশ্যই জীবনে কিছু করা এটা আমিও বিশ্বাস করি একজন পুরুষের সফলতার পেছনে একজন নারী অবশ্যই থাকে সে হয়তো বা ভালো দিক থেকে হোক কিংবা খারাপ দিক থেকে অসংখ্য ধন্যবাদ প্রতিযোগিতার প্রতিটা প্রশ্নের উত্তর এত সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করার জন্য ভালো থাকবেন।