ছাত্র জীবনের যে ৫ টি অভ্যাস
ছাত্র জীবনে কতো কিছুই তো করে থাকি আমরা। পুরো জীবনের সব চাইতে ভালো সময়টুকু কাটে ছাত্রজীবনে। যদিও সে সময় তা উপলব্ধি করার ক্ষমতা থাকে না কারো। কিন্তু সেই সময়টা পার করার পর ঠিকই ফেলে আসা সময়টাকে ফিরে পেতে চান সবাই। সে যাই হোক। ছাত্রজীবনে জীবনের নিয়মে কিছু অভ্যাস আয়ত্ত হয় সবারই। এই অভ্যাসগুলো প্রতিটি ছাত্রছাত্রীর মধ্যেই তৈরি হয়ে যায় বলতে গেলে অজান্তেই। সমস্যা হলো ছাত্রজীবন শেষ হওয়ার পরও সেই অভ্যাসগুলো শেষ করা সম্ভব হয়ে উঠে না। অনেকেই সেই অভ্যাসগুলোর মধ্যেই নিজের ছাত্রজীবনের স্বাদ খুঁজে পেতে চান। ফলে রয়ে যায় অভ্যাস। এরকমই না ছেড়ে দেয়ার মতো কিছু অভ্যাস নিয়ে আমাদের আজকের অভ্যাস।
অভিভাবকের ছত্রছায়ায় থাকতে চাওয়া
ছাত্রজীবনের পুরোটা সময় আমরা যে কোনো সমস্যায় বাবা মায়ের সাহায্য নিয়ে থাকি। যেকোনো ঝামেলায় সব সময় প্রথমে বাবা মায়ের কথাই মাথায় আসে। এই অভ্যাসটি ছাত্রজীবনের ঠিক পর পড়ি ছেড়ে দেয়া কারো পক্ষেই সম্ভব হয় না। বাধ্য হয়েই বলেন আর ইচ্ছেকৃত ভাবেই বলেন আমরা ছাত্রজীবন শেষেও অভিভাবকের ছত্রছায়ায় থাকতেই পছন্দ করি।
ইচ্ছেমতো ঘুম
ইউনিভার্সিটির ক্লাসের অনিয়ম কিংবা প্রতিদিন ক্লাস না থাকার ফলে যেকোনো সময় এবং বেশ সময় ধরে ঘুমের রাজ্যে থাকার অভ্যাসটি বেশ সুখকর হলেও ছাত্রজীবনের পরে এই অভ্যাসটি অনেক বেশি ঝামেলার। যাদের হলে থাকার অভ্যাস থাকে তাদের জন্য তো আরও বেশি। এই ইচ্ছেমতো ঘুমের অভ্যাসটিও ছাত্রজীবনের পর পরই ছাড়া সম্ভব হয় না।
সারারাত জেগে ইন্টারনেট চালানো এবং সকালে ঘুম
অ্যাসাইনমেন্ট এবং কাজের বাহানায় সারারাত ইন্টারনেট চালানোর অভ্যাসটি গড়ে ওঠে মুলত ছাত্রজীবনেই। সারারাত ইন্টারনেটের এদিক সেদিক ঘুরে বেড়ানো, ইচ্ছেমতো রাত জাগা এবং সকালে যখন সকলে ঘুম থেকে উঠে তখন ঘুমাতে যাওয়ার এই অভ্যাসটিও ছাত্রজীবন শেষ হওয়ার সাথে শেষ হতে চায় না। অভ্যাসটি রয়েই যায় অনেকের মধ্যে।
আজেবাজে খাওয়ার অভ্যাস
বন্ধুবান্ধব সাথে থাকলে ভালো কিছু খাওয়া কমই হয়ে থাকে। তার ওপর চঞ্চলে তারুণ্য। রাস্তায় বিক্রি করা আজেবাজে খাবার এবং ফাস্ট ফুড জাতীয় খাবারের প্রতি ঝোঁকটা এই সময় বেশিই হয়ে যায়। এবং পরিনত হয় অভ্যাসে। এই অভ্যাসটি খুব সহজে ছেড়ে দেয়া যায় না। ছাত্র জীবন শেষ হওয়ার পর কোনো চাকুরীতে ঢুকলেও রয়ে যায় আজেবাজে খাওয়ার এই অভ্যাস।
সব কিছুর অর্ধেক মূল্য দেয়ার অভ্যাস বাসে উঠে সকলের চাইতে অর্ধেক ভাড়া দেয়ার অধিকার থাকে শুধুমাত্র ছাত্রজীবনেই। আবার হলের এবং ইউনিভার্সিটির দোকানের খাবারের মূল্য অনেক কম থাকায় ছাত্রজীবনের মজাই আলাদা থাকে। অনেকেই আছেন ছাত্রজীবন শেষেও এই অর্ধেক মূল্য দেয়ার অভ্যাস ছাড়তে পারেন না। ছাত্রজীবন শেষেও বাসে উঠে পকেট থেকে অর্ধেক ভাড়া বের করে বলে দেন ‘মামা, স্টুডেন্ট’।
Excellent post!
Thanks for the comment
This user is on the @buildawhale blacklist for one or more of the following reasons: