গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী সাপ্তাহিক হাট।
আসসালামু আলাইকুম।
আমি @shariful42. From #Bangladesh.
যত রূপ-বৈচিত্র আছে ভরা মোর দেশে,
সকল কিছুই যেন গ্রাম বাংলার কাছে।
হাই স্টিম বাসি আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভাল আছি।এদেশে যত রূপ বৈচিত্র ফুটে ওঠে তার সকল কিছুই যেন গ্রামের মধ্যে প্রকাশিত হয়। সবুজ শ্যামল সোনালী ফসল থেকে চালু করে যত বাংলার ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতি সকল কিছুই যেন এই গ্রামের মধ্যে প্রকাশিত হয়। গ্রাম বাংলার বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী প্রতিনিয়ত সংস্কৃতি মধ্যে তেমন একটি হচ্ছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী হাট। হ্যাঁ বন্ধুরা, আপনাদের মাঝে আজ আমি গ্রাম বাংলার সেই ঐতিহ্যবাহী হাট নিয়েই কিছু কথা বলতে যাচ্ছি। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
গ্রাম বাংলার প্রায় অধিকাংশ মানুষেই জীবিকা নির্বাহ করে কৃষি ফসল উৎপাদনের মাধ্যমে। এই কৃষি ফসল পরিপক্ক হয়ে গেলে তা বিক্রির প্রয়োজন হয়। গ্রামবাংলায় এই কৃষি ফসল বিক্রির জন্য প্রায় প্রতিটি গ্রামে নির্দিষ্ট একটি স্থান থাকে। যাকে গ্রাম বাংলার মানুষ হাট বলে থাকে। জায়গা ভেদে এই হাত সপ্তাহের যেকোনো একদিন অথবা দুই দিন হয়ে থাকে। তবে অধিকাংশ জায়গায় গ্রামের এই সাপ্তাহিক হাট সপ্তাহে দুই দিন হয়ে থাকে। সাপ্তাহিক এই হাটে গ্রামের মানুষ তাদের প্রয়োজনীয় পণ্য ক্রয় অথবা বিক্রয় করতে আসে। এভাবেই পণ্য ক্রয় অথবা বিক্রয়ের মাধ্যমে জমে ওঠে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী হাট গুলো।
হাটের দিনগুলোতে কৃষকরা তাদের বিকৃত পণ্য হাটে বিক্রয়ের জন্য সকাল থেকেই প্রস্তুতি গ্রহণ করতে থাকে। বেলা গড়ার সাথে সাথে এইসব পণ্য তারা বিক্রয়ের জন্য হাটে নিয়ে আসে। গ্রাম বাংলার এইসব হাটে মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় কমবেশি সকল পন্যই ক্রয় বিক্রয় হয়। প্রায় সকল প্রকার সবুজ শাকসবজি,মাছ, মাংস, ধান, বিভিন্ন প্রকার আসবাবপত্র, জুতাস্যান্ডেল, বিভিন্ন প্রকার যানবাহন যেমন রিস্কা, ভ্যান, সাইকেল। বিভিন্ন প্রকারের ইলেকট্রিক্যাল ও মেকানিক্যাল পন্য। বিভিন্ন পশু যেমন হাঁস, মুরগি, গরু, ছাগল, ভেড়া,খরগোশ বিভিন্ন পাখি যেমন কবুতর, ময়না, টিয়া, শালিক, বাজিগর ইত্যাদি। বিভিন্ন প্রকার ফলমূল এবং হাটে আমার কাছে সবচেয়ে আকর্ষণীয় হচ্ছে বিভিন্ন প্রকার ফুল ও ফলের সবুজ গাছ। বলা যায় মানুষের প্রায় সকল নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যই এই হাটের মধ্যে ক্রয় বিক্রয় হয়।
দিন দিন মানুষ এখন অনেকটা সৌখিন হয়ে উঠতেছে।শখের বসাতে পালতেছে শখের জিনিসগুলো। শখের জিনিস কখনো নিত্য প্রয়োজনীয় হয় না। তাইতো নিত্য প্রয়োজনীয় না হওয়া সত্ত্বেও বর্তমানে গ্রাম বাংলার হাটে জমে উঠেছে পাখির হাট গুলো।কবুতর, বাজিগর ময়না, সালিক, টিয়া ইত্যাদি। এছাড়াও প্রচুর পরিমাণে বিক্রি হচ্ছে খরগোশ ও বিভিন্ন প্রকার ফুলের গাছ। যা গ্রাম বাংলার হাটে এখন দেখার মত দৃশ্য।
দিন বদলের সাথে সাথেই এদেশের সকল কিছুই আধুনিকায়নের সাথে পরিবর্তিত হচ্ছে। পরিবর্তিত হচ্ছে মানুষের সকল প্রকার চাহিদা ও। মানুষের এই পরিবর্তনের ছোঁয়া এখন হাটবাজারেও কিছুটা লক্ষ্য করা যায়। প্রাচীন পদ্ধতির হাট ব্যবস্থাপনার পরিবর্তিত হয়ে অনেকটা রুপ নিয়েছে আধুনিকতায়। যাইহোক গ্রাম বাংলার মানুষের কাছে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য ক্রয় এবং বিক্রয়ের একটি বড় মাধ্যম হচ্ছে গ্রাম বাংলার এই ঐতিহ্যবাহী সাপ্তাহিক হাট।
যাই হোক বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আবার দেখা হবে অন্য কোন পোস্টে অন্য কোন বিষয় নিয়ে ইনশাল্লাহ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
https://x.com/SharifulIs73060/status/1880091220959228230?t=OmymNkiSCnIQErxxsPwTrw&s=19
Hi, Greetings, Good to see you Here:)
Thank you very much for commenting.