Bhuna Khichuri- My Cooking Experience || Cooking Contest Week-9 || 10% @wo-photography
শুভ সন্ধ্যা সবাইকে,
স্টিমিট সিটি কমিউনিটিতে @sabbirrr কর্তৃক আয়োজিত রান্নার অভিজ্ঞতা বিষয়ক প্রতিযোগিতায় আজ আমি অংশগ্রহন করতে যাচ্ছি। যদিও আমি প্রায় সময় রান্না বিষয়ক অভিজ্ঞতা এই ব্লকচেইন এ শেয়ার করে আসছি। কারন আমাদের দেশে রান্নার বিষয়টি সংস্কৃতিগতভাবে মেয়েদের উপর নির্ভরশীল হলেও আমরা পুরুষরা এই ব্যাপারে কিন্তু পিছিয়ে নেই, তবে আমি শ্রেফ আনন্দের জন্য এই কাজটি করে থাকি।
আজ যে রেসিপিটি শেয়ার করবো, এটি বাঙালীদের অন্যতম একটি প্রিয় খাবার। বিশেষ করে এই সিজন মানে বর্ষাকালে এই খাবারটি খুব বেশী পরিমানে খাওয়া হয়। আর এই খাবারটির নাম হলো ভুনা খিচুরী। আসলে ভুনা খিচুরী হলে আমাদের আর কিছুই লাগে না। তরকারী ছাড়াই খাওয়া যায়। চলুন আজ আপনাদের সাথে ভাগ করে নেই আমার ভুনা খিচুরী সম্পর্কিত অভিজ্ঞতা-
প্রয়োজনীয় উপকারনসমূহ-
- চাল
- মুশুরি ডাল
- মুগ ডাল
- হলুদ গুড়া
- মরিচ গুড়া
- ধনিয়া গুড়া
- জিরা গুড়া
- আদা পেষ্ট
- গরম মসলা
- কাচা মরিচ
- পেয়াজ
- লবন এবং
- তৈল।
প্রস্তুত প্রণালী-
এবার আমি প্রস্তুত প্রণালীর বিষয়গুলোকে ধারাবাহিক উপস্থাপন করবো, যাতে সকলের বিষয়টি বুঝতে সহজ হয়। কারন যে কোন রান্নার ক্ষেত্রে প্রস্তুত প্রণালীটি বেশী গুরুত্বপূর্ণ।
প্রথমে আমরা একটি বোলে চাল ঢেলে নিবো এবং এগুলোর সাথে মুশুরি ডাল এবং মুগ ডাল মিক্স করবো। তারপর এগুলোকে ভালোভাবে ধৌত করবো। কারন চাল ও ডালের সাথে অনেক ময়লা থাকে। তারপর পানিগুলো ঝরিয়ে রাখবো।
এরপর একটি হাড়ি কিংবা পাতিল চুলায় দিবো এবং কিছু পরিমানে তৈল দিয়ে সেগুলোকে গরম। তেল গরম হওয়ার পর এগুলোর সাথে গরম মসলা দিবো (দারুচিনি, এলাচ ও তেজপাতা) তারপর এগুলো কিছুটা গরম করবো।
এরপর এগুলোর সাথে পেয়াজ কুচি, হলুদ গুড়া, মরিচ গুড়া, জিরা গুড়া, ধনিয়া গুড়া এবং আদা পেষ্ট দিবো। তারপর এগুলোকে ভালোভাবে কষাবো। এই ক্ষেত্রে কিছুটা সময় মসলাগুলোকে রান্না করতে হবে।
মসলাগুলো কষানো হলে, পূর্বে ধৌত করে রাখা চাল ও ডালগুলো এগুলোর উপর ঢেলে দিবো এবং আরো কিছুটা সময় এভাবে রান্না করবো, যাতে মসলার সাথে ভালো মিশ্রন হয়।
এরপর আমরা মসলাগুলোর সাথে চাল ও ডাল মিশ্রন করার পর কিছুটা পানি ঢেলে দিবো এবং ১০ মিনিট এভাবে রান্না করবো। আস্তে আস্তে পানি করে আসবে।
এরপর পানি যখন একেবারে কমে আসবে উপরের চিত্রের মতো, তখন আমরা চাল-ডালগুলো ভালোভাবে উল্টেপাল্টে দিবো এবং একটি ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিবো যাতে সবগুলো চাল-ডাল ভালো সিদ্ধ হয়।
দেখুন আমাদের ভুনা খিচুরী প্রস্তুত হয়ে গেছে, এগুলো দেখলেই বুঝা যায়, তবে অনেকেই চাল টিপে চেক করেন সিদ্ধ হয়েছে কিনা আবার ঘ্রান শুনেও বুঝা যায় রান্না কেমন হয়েছে। এখন সময় গরম গরম স্বাদ উপভোগ করার।
আশা করছি আমার রান্নার অভিজ্ঞতাটি আপনাদের কাজে আসবে এবং বাড়ীতে ভুনা খিচুরী তৈরীর মাধ্যমে আপনার সময়গুলোকে উপভোগ করার চেস্টা করবেন। তবে আপনি চাইলে এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন করতে পারেন, লিংকটি শেয়ার করার হলো- https://steemit.com/hive-155868/@sabbirrr/cooking-contest-week-09-share-your-cooking-experience-10-for-wo-photography
Photography Device- Redmi 9, Xiaomi
what3words Link- https://what3words.com/allies.tube.tensions
ধন্যবাদ সবাইকে।
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
অনেক ধন্যবাদ ভাই। আপনার পোস্টটি খুবই সুন্দর হয়েছে।
শুভ কামনা রইলো।
ভালো লাগলো আপনার তাৎক্ষনিক মন্তব্য দেখে।
ভুনা খিচুড়ি কার না পছন্দ। চমৎকার রান্না হয়েছে।
হ্যা, এটা সত্য বলেছেন ভাই।
JOIN WITH US ON DISCORD SERVER:
ইস যদি এখন ভুনা খিচুড়ি খেতে পারতাম কতই না মজা হতো। হাফিজ ভাই খিচুড়ি টা দেখতে খুব সুন্দর হয়েছে। আশা করি খেতেও ভালো হয়েছে।
আহা ভাই বৃষ্টির দিনে ডিম ভাজির সাথে গরম ভুনা খিচুড়ি অসাধারণ।ভার্সিটির দিন গুলা মনে পড়ে গেলো 😥❤️