সততার পুরষ্কার (পঞ্চম পর্ব)

কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


থাকে অন্য কোথাও চাকরি পাওয়া পর্যন্ত এখানে চাকরি করি। অন্য কোথাও চাকরি পেলে এই চাকরিটা ছেড়ে দেবো। এভাবেই রাশেদের দিন কেটে যাচ্ছিল তবে দিন দিন তার জীবনে সমস্যা বেড়ে যাচ্ছিলো। একে তো অফিসের প্রেসার তার উপরে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে। তার বেতনের টাকায় সংসার চালাতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছিলো। তার স্ত্রী ও তাকে নানা রকম কথা শোনাতে শুরু করে। ইনডাইরেক্টলি তার স্ত্রী তাকে দুর্নীতি করতে উৎসাহ দিচ্ছিলো।

1000001426.png

তার স্ত্রী মাঝে মাঝেই তার কাছে তার কোন আত্মীয় সরকারি চাকরি করে কতো ভালো আছে সেসব গল্প করতে লাগলো। কিন্তু রাশেদ সবকিছু শুনেও না শোনার ভান করে চলতে লাগলো। একটা সময় রাশেদের কাছে সবকিছু অসহ্য মনে হতে লাগলো। তার মনে হতে লাগলো চাকরি-বাকরি সংসার সবকিছু ছেড়ে দিয়ে দূরে কোথাও চলে যায়। সারা জীবন সে চিন্তা করে এসেছে সৎভাবে চাকরি করলে কতো ভালো থাকতে পারবে। মানুষ তাকে ভালো বলবে। কিন্তু এখন হচ্ছে সবকিছু পুরো উল্টো।

তার সততার কারণে কেউ তো তাকে ভালো বলছেই না। উল্টো তাকে নানা রকম কথা শোনাচ্ছে। সেই সাথে আছে অফিসের অন্য দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের চাপ। সবকিছু মিলিয়ে রাশেদের মনে চলছিলো চরম অশান্তি। এভাবে একদিন সে অফিস থেকে ফিরে বাসায় বসে টিভি দেখছিল। টিভিতে সে একটা খবর দেখতে পেলো। সে চিন্তা করেছিলো দুর্নীতি না করলে সে ভালো থাকতে পারবে। কিন্তু এখন সে দেখছে দুর্নীতি করলেই বরং তার জন্য ভালো হতো। চাকরির বাজার খুব খারাপ হওয়াতে রাশেদ চাকরিটা ছাড়ার সাহস পায় না। সে চিন্তা করতে (চলবে)

আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।


PUSS_Banner2.png



ধন্যবাদ