সততার পুরষ্কার ( ষষ্ঠ পর্ব)
রাশেদ প্রথমে বুঝতে পারেনি অফিসে কারা এসেছে। পরবর্তীতে একজন পিয়নের কাছ থেকে জানতে পারলো যে লোকগুলো ঢুকেছে তাদের ভেতর কিছু রয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের লোক। আর কিছু রয়েছে তাদের ডিপার্টমেন্টের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা। কিছুক্ষণের ভেতরেই রাশেদের বসের রুমে রাশেদের ডাক পড়লো। রাশেদ সেখানে গিয়ে দেখে তার বস সহ অফিসের আরো দুই তিন জন যারা অতিরিক্ত দুর্নীতিবাজ ছিলো তাদেরকে এক পাশে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে। রাশেদ সেখানে প্রবেশ করতেই এক ভদ্রলোক হাস্যজ্জল মুখে এগিয়ে এসে রাশেদকে অভিনন্দন জানালো। সেই ভদ্রলোক বললো এখন থেকে আপনি এই অফিসের বস। আপনার সততার কথা আমরা সবই জানি। আমরা আপনার মত সৎ লোকই খুঁজছিলাম।
ডিপার্টমেন্টের সমস্ত দুর্নীতিবাজ লোকের বিরুদ্ধে ডিপার্টমেন্ট থেকে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। আর যারা সৎ ছিলো তাদেরকে প্রমোশন দেয়া হচ্ছে। সেই লিস্টে আপনার নামও ছিলো। এই কথা বলে তারা রাশেদের অফিসের সেই দুর্নীতিবাজ লোকদেরকে নিয়ে অফিস থেকে বের হয়ে চলে গেলো। রাশেদের কাছে সবকিছু স্বপ্নের মত মনে হচ্ছিলো। পরবর্তী দিন রাশেদ তার প্রমোশনের চিঠিটা হাতে পেলো। প্রমোশন পাওয়ার সাথে রাশেদের যে শুধু বেতন বাড়লো তা নয়। সেই সাথে সে অফিসে যাতায়াতের জন্য গাড়িও পেলো। আবার থাকার জন্য বাড়ি ও পেলো। হঠাৎ করে এই উন্নতিতে রাশেদ কি করবে সে ভেবে পেলো না। প্রথম দিন রাশেদ বাড়িতে ফিরে তার স্ত্রীর সাথে এই ব্যাপারটা নিয়ে কোনো কথাই বলে না। কারন সে নিজেও তখন পুরোপুরি বিশ্বাস করে উঠতে পারেনি। রাশেদ চিন্তা করেছে যদি এগুলো সঠিক না হয় পরবর্তীতে স্ত্রীর কাছে শুধু শুধু লজ্জা পেতে হবে। কিন্তু পরদিন যখন প্রমোশনে চিঠিটা হাতে পেলো তখন রাশেদ বাসায় গিয়ে তার স্ত্রীকে তার প্রমোশনের কথা বলতেই তার স্ত্রীও অনেক খুশি হলো। এভাবেই রাশেদ তার সততার পুরস্কার পেলো। (সমাপ্ত)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।