THE DIARY GAME : DATE (03/08/2020): আজকের এই দিন
সকাল টা শুরু হলো গরমের মধ্যে। ৮ টায় ঘুম থেকে উঠলাম, উঠতে অবশ্য মন সায় দিচ্ছিলো না।
তারপর ও উঠতে হলো গরমের জন্য, এই গরমে ফ্যানের বাতাসটাও যেনো গরম গরম অনুভব হয়।
ফ্রেশ হওয়া এবং একটু হাঁটাহাঁটি করলাম। যদিও সাতসকাল না, ভোর বেলায় উঠলে হয়তো সকালের ঠান্ডা বাতাস শরীরের জন্য উপকার হতো।
সকাল তো সেই কখন পেরিয়ে গেল। তারপর ও একটু এদিক ওদিকে...... অনেক দিনের অভ্যাস সেটাতো আর বদলানো যায় না। তাই...
প্রায় ৯.৩০ মিনিটে, ব্রেকফাস্ট করলাম। মধ্যবিত্ত ফ্যামিলি আইটেম বদলানোর চান্স খুব কমই থাকে।
তারপর ও বদলানোর চেষ্টা করা হয়।
সকালের নাস্তায় ছিলো নুডলস ও চা।
নুডলসে ফ্যাট আছে যতদুর জানি, খাওয়া হয় আরকি, বাঙ্গালিও এখন অনেকটা এডভান্স হয়ে গেছে।
অন্যান্যদের সাথে পাল্লা দিয়ে চলার চেষ্টা করে। বিষয়টা মন্দ না ভালই, কারন প্রত্যেকেই নিজ নিজ অবস্থান থেকে উন্নতি করতে চায়।
১০. ০৫ মিনিট,
রুমে এসে বসলাম, মোবাইলের সাথে গতকাল রাতে দেখা হয়েছিল। আমি অবশ্য একটু রসিকতা করতে পছন্দ করি।
কিন্তু অনেকের হয়তো পছন্দ না। যাইহোক, ফেসবুকের নিউজফিডে, ম্যাসেঞ্জারে, বিভিন্ন গ্রুপের এক্টিভিটিস গুলো চেক করলাম।
মেসেঞ্জারে খুব একটা কথা হয়না, প্রয়োজনে একটু আদটু কথা বলা এই যা। নিউজফিডের পোস্ট গুলা একটু পরখ করি। মাঝেমধ্যে বেশি সময় আবার মাঝে মধ্যে কম সময়ই থাকা হয়।
এইভাবেই কেটে গেলো, ঘন্টা দেড়েকের মতো।
১১ টা ৩০ মিনিট,
হঠাৎ করে স্যার ফোন দিলেন, উনার বাড়িতে বেড়াতে যেতে হবে। দাওয়াত অবশ্য আগেই দেয়া ছিলো।
কথামত তৈরি হয়ে নিলাম। তৈরি হতে একটু সময়ই লেগে গেল।
কারণ ওই একটা গোসল করলাম ফ্রেশ হলাম এই জন্যই মূলত।
দেরি হওয়ার কারন দেখে স্যার অবশ্য ফোন দিয়েই দিলেন।
তড়িঘড়ি করে বের হলাম ভাবলাম একটু তাড়াতাড়ি যাওয়া লাগবে। কিন্তু লাভ হলো না, রাস্তায় পানি থাকায় নৌকা নিতে হলো। নৌকার জন্য অবশ্য একটু দেরি হয়ে গেলো।
রওনা দিলাম গন্তব্যের উদেশ্যে। চলছি নিরবধি লম্বা জার্নি..........
প্রায় ২ টার দিকে পৌঁছালাম স্যারের বাড়িতে।
সমাদরের সাথে গ্রহণ করলেন। বাড়িতে তেমন লোকজন ছিলো না।
উনার ছেলে -মেয়ে,মেয়ের জামাই এবং ম্যাডাম, মানে উনার স্ত্রী। বেশি নয় বড়জোর ৬ -৭ জন হবে।
পরিবেশটা ভালোই শান্ত শিষ্ট, চারদিকে গাছপালা লাগানো, প্রাকৃতির যেনো অপরূপ সৌন্দর্য।
২টা ২০ মিনিটে নাস্তা দেয়া হলো। সবাই একসাথে নাস্তা করলাম।
যদিও এখন দুপুরের খাবারের সময়, নাস্তার জন্য একটু বিরতি দিলেও পারতেন।
নাস্তা শেষ করলাম তারপর একটুখানি বিশ্রাম।
বেশি সময় আসলে বিশ্রাম নেয়া হয়নি।
কারন খাবারের সময় আগেই হয়েছিল, মেহমানদের আপ্যায়নে কিছু জলযোগের কারনে আর খাওয়া হয়নি।
৩ টা বেজে ২৫ মিনিট,
টেবিলে খাবার সাজানো, গেলাম সবাই একসাথে বসলাম খেতে।
খাবারের তালিকায় ছিলো ঃ
১. ভাত
২.মাংস ভুনা
৩.ডিম
৪.ছোট মাছ
৫.ডাল
পিউর বাঙ্গালিয়ান খাবার যাকে বলে। খুব উপভোগই করলাম।
সময় ৪.০০ টা,
সবাই একসাথে খাওয়াতে একটু দেরি হয়ে গেলো। যাইহোক, খাবারের পর্বটা শেষ করা হলো।
খাবারদাবারে আমি একটু পিছিয়ে, ভোজনপ্রিয় না এরকম।
আর খেতে একটু দেরি হয়ে যায়, এজন্যে অবশ্য একটু সমস্যায় পড়তে হয়।
গুরুতর না, আর এটা নিয়ে তেমন একটা ভাবা ভাবি করি না।
হালকা রেস্ট নিচ্ছিলাম, একটু ফেসবুকে ঢুকে নিউজফিডের অবস্থা টা দেখলাম।
সেই সাথে মেসেঞ্জার তো আছেই। অভ্যাস আসলে পরিবর্তন করার মত না।
একটা জিনিসের দুইটা দিক থাকে
১.ভালো দিক
২.খারাপ দিক
সুতরাং আমাদের ভালো এবং খারাপ উভয়ের সাথেই তাল মিলিয়ে চলা দরকার।
তেমনি ফেসবুকের ও ভালো ও খারাপ দুইটা দিকই আছে। নিজের ভালোটা আসলে নিজেই বুঝে নিতে হয়।
৪. ৩০ মিনিটে, বের হলাম। রওনা দিলাম বাড়ির উদেশ্যে। যানবাহনের একটু সমস্যাই ছিল।
কারন যে এলাকায় এসেছি সেখানটা একটু দুর্গম জায়গাই বলা যেতে পারে।
একটু হেটে সামনে গিয়ে গাড়ি ধরলাম।
গাড়ি চলছে তার আপন গতিতে, ভাবলাম যদি গাড়ি না থাকতো তাহলে মানুষ কিভাবে যাতায়াত করতো।
পায়ে হেটে তো আর দূরে কোথাও যাওয়া যায় না।
যাওয়া গেলেও সেটা খুবই সময়ের ব্যপার।
৬ টা ০৩ মিনিট, গাড়ি থেকে নামলাম গ্রামের বাজারে। প্রায় ১ ঘন্টা ৩০ মিনিটের ভ্রমনে ক্লান্তি ছিল না অবশ্য। ব্যাপারটা উপভোগ করার মতই ছিল।
৬ টা বেজে ২৬ মিনিট, গ্রামের বাজার থেকে বাড়ির উদেশ্যে পায়ে হেটে চললাম।
এখন না শুধু অন্যান্য সময়ও একই পন্থা অবলম্বন করতে হয়। তাছাড়া অন্য কোনো উপায় নাই।
তবে গাড়ি চলে খুব কম পাওয়া না এই আর কি। তবে পাওয়া গেলেও গাড়ি ভাড়া দ্বিগুণ দিতে হয়।
তাই হেঁটেই চললাম খানিকটা পথ।
প্রায় ৭ টার দিকে বাড়ি পৌঁছালাম। তবে তার জন্য অনেকটা কাঠখড় পুরাতে হয়েছে।
ওই যে নৌকা দিয়ে অনেকটা পথ পাড়ি দিতে হয়।নৌকার জন্য অনেক্ষণ অপেক্ষা করতে হলো।
পরে নৌকা মিললো ঠিকই তবে টাইম ওয়েস্ট যেটাকে বলে।
দীর্ঘ ভ্রমণের পর কাঙ্ক্ষিত বাড়িতে পৌঁছালাম।
এখন অনেকটা ক্লান্তি অনুভব করছি। হয়তো বা অনেক্ষণ হাঁটাহাঁটি তারপর নৌকার ব্যাপারটা।
তাই হয়তো অনেকটা হাপিয়ে গেছি।
সময় ৭ টা ৩০ মিনিটে ফ্রেশ হলাম রুমে বসে আছি,
চায়ের কাপ হাতে কাজ নেই এখন, তাই একটু অনলাইন ঘাটাঘাটি করছি। আমাদের ইয়াং জেনারেশনের ওই একটাই সমস্যা সময় পেলেই কোনো কাজে মনোনিবেশ করা। হোক না সেটা কাজের বা অকাজের ব্যাপার কিন্তু একটাই সময়ের সদ্ব্যবহার।
১০ টা বা ১০ টা ৩০ মিনিটে হয়তো ডিনার করবো। তারপর যত তাড়াতাড়ি বিছানায় ঘুমাতে যাওয়া যায় ততই লাভ। তবে এই এটাকে বাস্তবায়ন করতে হলে নিজের সেরাটাই দিতে হবে।
আজকের দিন টি ভালো কাটলো। সেই জন্য মহান আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামীন উনাকে ধন্যবাদ।
You doing cool buddy🙌🙌🙌KEEP it up
STEEM ON
আপনার পোস্টটি খুবই চমৎকার হয়েছে .তোমার পোস্ট তুমি টুইটার ফেসবুক শেয়ার করতে পারো। এতে করে নতুন নতুন মেম্বার এখানে যোগদান করবে।
All Time Follow Now @steemitblog
Greeting From @bd-steemian Team
Good writing, carry on bro
Hi @mohibur! keep it up.
You have been upvoted by @tarpan A Country Representative from BANGLADESH we are voting with the Steemit Community Curator @steemcurator07 account to support the newcomers coming into steemit.
Follow @steemitblog for the latest update on Steem Community and other writing challenges and contest such as The diary game
Also join LUCKY 10S
Thank you for taking part in The Diary Game on Steem.
Keep following @steemitblog for the latest updates.
The Steemit Team
Ameke vote den comments or follow koren