My Diary - Saturday 16th October
সকাল
সকালে আরতি পিসির কল পেয়ে ঘুম ভেঙে যায়। পিসি কল করেছিল 08.46 am এ। পিসি আমাকে আর রণিতকে আজকে তাদের বাসায় যেতে বলেছে। আমি ঘুমের ঘোরে কিযে কথা বলেছি আমার সঠিক মনে নেই। ঘাড়, মাথা এবং পা সবগুলোই প্রচন্ড ব্যাথা করছে। গতকাল দশমীতে অনেক কাজ করেছে, অনেক আসা যাওয়া করতে হয়েছে। কাজের মাঝে ব্যাথা বুঝতে পারিনি কিন্তু এখন অনেক খারাপ লাগতেছে। যাক ঘুম থেকে উঠে নাস্তা করলাম। না আজকে পরোটা ডিম ভাজি করেছিল নাস্তায়। নাস্তা করে একটু ইনস্টাগ্রামে ফেসবুক খুলে দেখলাম। দুর্গাপূজার পোস্ট দিয়ে নিউজফিড ভরে গেছে। মেসেঞ্জারে অনেকগুলো মেসেজ দিছে এখন রিপ্লাই দিতে পারিনি। হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজগুলো রিপ্লাই দিয়েছি। এর পর অনিকের কাছে আমার অনেক গুলো ছবি ছিল সেগুলো নিতে তার বাসায় গেলাম। সেখানে ছবিগুলো শেয়ারইট এর মাধ্যমে আমার ফোনে পাঠালাম। আমি আর অনেক একসাথে ওয়ান পিস এর অনিম্মির লেটেস্ট এপিসোড দেখলাম।
দুপুর
অনিকের বাসায় প্রায় তিনটা পর্যন্ত ছিলাম। অনিক coke আর cup cake 🍰 দিয়ে ছিল খেতে। সেখান থেকে এসে গোসল করে নিলাম। আজকে আকাশ সকাল থেকে অনেক মেঘলা বৃষ্টি হচ্ছে হচ্ছে করে বৃষ্টি হচ্ছে না। সকাল থেকেই বিদ্যুৎ নেই যাতা অবস্থা প্রচুর গরম। দুপুরের খাবারে ছিল সবজি, ডাল, ভাত, ভর্তা। খাওয়া শেষ করে স্টিম এর পোস্ট লেখা শুরু করলাম। এক ফ্রেন্ড ফাইনাল এক্সাম সব প্রশ্নোত্তর খুঁজে pdf আকারে send করে ছিল। সেটা খুলে দেখলাম। অনেক বড় সিলেবাস শেষ হবে কি না পরীক্ষা আবার 22 তারিখ থেকে। কালকে বিকেল 3 টার ট্রেন টিকিট কাটা আছে। কালকেই আমি ঢাকা চলে যাবো। ঢাকা গিয়েও অনেক কাজ বাসা খুঁজতে হবে আগের বাসা টা করোনা কারণে ছেড়ে দিয়ে ছিলাম। এখন ঢাকা গিয়ে আমার বন্ধু আরিফিন এর বাসায় উঠবো। রনীতের ও ফাইনাল পরীক্ষা সামনে। সেও আমার সাথে কালকে ঢাকা যাবে। এখন বাজে 3.19 pm আমি ছাদে বসে আছি। ছাদের গাছ গুলোর অবস্থা অতটা ভালো না।
যেন আমি পড়তে পড়তে আপনার জীবন দেখতে পেলাম। নিয়মিত ডায়েরি টাইপ লেখা পড়তে আমার ভালো লাগে। একজন লেখক হিসেবে মানুষের জীবন জানবার জন্যে এটি ভালো উপায়।