বিভিন্ন ধরনের নকশী পিঠার রেসিপি।
শুক্রবার,
তারিখ - ১৪ই জুন ২০২৩।
আসসালামু আলাইকুম,
প্রিয় ভাই ও বোনেরা, আপনারা সকলে কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহ তায়ালার অশেষ মেহেরবানিতে আপনারা সবাই ভালোই আছেন। আমিও আল্লাহ তায়ালার রহমতে ভালোই আছি। স্টিম ফর ট্রাডিশন কমিউনিটিতে আজ আমি নকশী পিঠা রেসিপি নিয়ে উপস্থাপন করার চেষ্টা করব।
- চালের গুড়া
- পানি
- চিনি
- লবন
- তেল
- খেজুরের কাটা
- পিড়া-বেলুন।
- ধাপঃ ০১
নকশি পিঠা বানানোর জন্য প্রথমে আমি একটি পাতিলে পানি বসিয়ে দিলাম।
- ধাপঃ ০২
এরপর আমি আটার মধ্যে পরিমাণ মতো লবন দিয়ে আটাগুলো ভালো ভাবে মেখে নিলাম।
- ধাপঃ ০৩
আটা মেখে নেওয়ার পর আমি দুই হাত আটাগুলো গোল গোল করে দলা বানালাম।
- ধাপঃ ০৪
পাতিলে দেওয়া পানি টগবগিয়ে উঠলে আমি গরম পানির মধ্যে আটার দলাগুলো দিলাম।
- ধাপঃ ০৫
এবার আমি আটার দলাগুলো গরম পানি থেকে একটি বড় গামলায় তুলে নিলাম।
- ধাপঃ ০৬
এরপর আমি চামচ দিয়ে আটার দলাগুলো ভেঙ্গে নিয়ে অল্প অল্প করে পানি দিয়ে হাত দিয়ে মাখতে থাকলাম।
- ধাপঃ ০৭
আটা হাত দিয়ে মাখতে মাখতে পরটার খোমইরের মতো শক্ত করে নিলাম।
- ধাপঃ ০৮
এবার আমি অল্প করে খোমইর নিয়ে বেলুনি দিয়ে গোল গোল করে বেলে নিলাম।
- ধাপঃ ০৯
এরপর আমি বেলে রাখা খোমইয়ের উপরে খেজুরের কাটা দিয়ে বিভিন্নরকম নকশা ফুটিয়ে তুললাম।
- ধাপঃ ১০
এভাবে সবগুলো পিঠা বানানো হয়ে গেলে আমি একটি কড়াইয়ে চিনি ও পানি দিয়ে চুলায় বসিয়ে দিলাম শিরা বানানোর জন্য।
- ধাপঃ ১১
সিরা বানানো হয়ে গেলে আমি একটি কড়াইয়ে তেল দিলাম। তেল গরম হয়ে গেলে আমি ফুটন্ত তেলের মধ্যে পিঠাগুলো দিলাম।
- ধাপঃ ১২
পিঠার একপাশে লালচে বর্নের হয়ে এলে আমি পিঠার উপরের অংশ নিচে ও নিচের অংশ উপরে দিলাম।
- ধাপঃ ১৩
এভাবে দুপাশেই লালচে বর্নের হয়ে আসলে আমি কড়াই থেকে পিঠা তুলে নিলাম।
- ধাপঃ ১৪
এবারে গরম গরম ভেজে রাখা পিঠাগুলো আমি সিরার মধ্যে ডুবিয়ে তা একটি পাএে তুলে নিলাম।
পরিবেশনঃ সর্বশেষে আমি পরিবেশনের জন্য পিঠাগুলো একটি প্লেটে তুলে নিলাম।
আমার লেখা পোস্ট পড়ার জন্য সকলকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ। সকলে সুস্থ ও ভালো থাকবেন।
মোবাইল | Tecno 9t spark |
---|---|
ক্যামেরা | ৩৮ মেগাপিক্সেল |
পোস্টের ধরণ | নকশীপিঠা |
লোকেশন | চিরিরবন্দর, গুড়িয়া পাড়া। |
ধন্যবাদ,
@siza
নকশী পিঠা খেতে অনেক সুস্বাদু ও মজাদার। আমাদের দেশে আগে নকশী পিঠার প্রচলন বেশি ছিল। নকশী পিঠার রেসিপি নিয়ে সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
ধন্যবাদ ভাইয়া
https://twitter.com/siza37854890783/status/1679679617366630400?s=19
লোভনীয় একটি পিঠা নকশী পিঠা। আর এই পিঠা আমাদের দেশের একটি ঐতিহ্য বাহী পিঠা। সবাই এই পিঠা তৈরি করতে পারে না। আপনি খুবই সুন্দর করে এই নকশী পিঠার রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। সুন্দর লিখেছেন আপনি। ধন্যবাদ
ধন্যবাদ ভাইয়া
বাহ আপনার নকশি পিঠাগুলো দেখেই খেতে ইচ্ছে করতেছে।দারুন ভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে লিখেছেন শেষের ছবিটি অনেক সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ
গ্রামাঞ্চলে এইরকম নকশিপিঠা আগে প্রচুর দেখা যেতো। তবে এখন আর তেমন দেখা মেলে না। খুবই সুন্দরভাবে নকশিপিঠা বানানোর রেসিপিটি দেখিয়েছেন।
ধন্যবাদ
আপনার নকশি পিঠাগুলো দেখেই খেতে ইচ্ছে করতেছে। এসব লোভনীয় জিনিস দেখলে লোভ পড়ে যায়।২-৩ বছর থেকে এখনো মুখে পড়েনি। সমস্যা নাই বউ থাকলে মাঝে মাঝে বানিয়ে খাওয়াবে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
ধন্যবাদ
এই প্রথম আমি নকশী পিঠার রেসিপি দেখলাম আপু। অসাধারণ একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। আপু আপনি তো অনেক সুন্দর নকশি পিঠা তৈরি করতে পারেন। কবে দাওয়াত দিবেন আপু? আপনার পিঠা তো দেখে খেতে ইচ্ছে করছে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু এতো সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
যেদিন ইচ্ছা সেদিনেই আসেন ভাইয়া
ওয়াও! আপু আপনি এই নকশী পিঠা গুলো বানাতে পারেন! এতদিন আমি জানতাম এই পিঠাটি বানানোর পর তা রোদে শুকিয়ে তারপর ভাজতে হয় কিন্তু আপনার আজকের এই পোস্টটি পড়ার পর জানতে পারলাম এই পিঠাগুলো বানানোর পর সরাসরি ভাজা যায়।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকে ও ধন্যবাদ আপু
বিভিন্ন রকমের নকশী পিঠা নিয়ে অনেক সুন্দর লিখেছেন। নকশী পিঠা রেসিপি দেখে জিভে পানি চলে আসছে। অনেক লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। প্রতিটি ধাপ আপনি বেশ সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন।
ধন্যবাদ ভাইয়া