এক ঐতিহাসিক ব্যাটিং ব্যাঙ্গালুরুর
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে খেলাধুলা বিষয়ক একটি পোস্ট শেয়ার। গতকাল ব্যাঙ্গালুরু আর গুজরাটের মধ্যে ম্যাচটি ছিল। আর খেলাটা অনুষ্ঠিতও হয়েছে ব্যাঙ্গালুরুর পিচে । মাঠ তুলনামূলক ভালোই বড়ো আর পিচটাও ভালো ছিল গতকালকের ম্যাচে। এই ম্যাচে ব্যাঙ্গালুরু টসে জিতলেও তারা বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয়। এমনিতেও বরাবর তারা নিজেদের পিচে খেলার সময়ে পরে ব্যাটিং করতে ভালোবাসে। তবে খেলাটায় বেশ ইন্টারেষ্টিং ব্যাপার ছিল। গুজরাটকে তো আগে ব্যাটিং করতে পাঠিয়েছে, কিন্তু ব্যাঙ্গালুরুর বোলাররা তাদের এমনভাবে চেপে ধরেছে সেটা বলার মতো না। যেন টেস্ট খেলা চলছিল পাওয়ারপ্লে ওভারেও। একদম পুরো ৪ ওভার পর্যন্ত বাউন্ডারিই বের করতে দেইনি ঠিকমতো, ১ থেকে ২ টি ৪ গিয়েছে। কিন্তু মোট রান ৬ ওভারে ১৯, টি-২০ তে এমন খেলা ভাবা যায়! পুরো টেস্ট ম্যাচ যেমন খেলা হয়ে থাকে, এখানে ঘটনাটাও ঠিক তেমন ঘটেছে আর তার উপর উইকেট তো পড়তেই আছে।
প্রথম দিকে ৩ তো একদম ভরা ডুবি করে দিয়ে গিয়েছে, ম্যানেজেই করতে পারেনি। ৮ ওভার পর্যন্ত রানের অবস্থা মাত্র সাড়ে ৩ রান রেটে। তবে পরে ৯ ওভার থেকে শারুখ আর মিলার দুইজনে মোটামুটি একটা পার্টনারশীপ গঠন করে, যেটা ৬০ রানার। নাহলে ওই ২০ রানেই আটকে পড়ে থাকতে হতো একপ্রকার অনেক্ষন। তবে তারাও তেমন বেশিক্ষন টিকতে পারেনি, এই রান রেট দেখে আমি প্রেডিকশন করেছিলাম ১২০-১৩০ এর মধ্যে সমাপ্ত হবে। তবে পরে মোটামুটি সবাই মিলে একটু মেরে খেলে গিয়েছে, যেটা মোটামুটি দেড়শোর কাছাকাছি নিয়ে গিয়েছিলো। তবে লাস্টে ব্যাঙ্গালুরুর একজন বলার হ্যাটট্রিক করেছে আর প্রথম ৩ বলেই ৩ জনকে আউট করে এবং সেই সাথে গুজরাটকে অলআউট করে দেয়। এখন এই দেড়শো রান তো চেজ করা আসলে তেমন ব্যাপার না। তবে যদি এটা বোলিং পিচে থাকতো তাহলে একটা ব্যাপার থাকতো।
তবে এখানে সব থেকে মজার ঘটনা ঘটেছে ব্যাঙ্গালুরুর ব্যাটিং এর সময়ে। মানে এদের ব্যাটিং দেখে মনে হচ্ছিলো ৭জি তে ব্যাটিং চলছে। প্রত্যেক ওভারে ৬ আর ৪ এর খেলা চলেছে। খেলা দেখেই মনে হচ্ছিলো এই রান ৮ ওভারেই চেজ হয়ে যাবে। ফাফ ডু প্লেসি আর কোহলি যে ভাবে মেরেছিলো তাতে ৬ ওভারেই ৯৪ রান, তার মানে হিসেবে ৮ ওভারেই ম্যাচ শেষ হয়ে যেত। তবে এখানে আবার একটা কাকতালীয় ঘটনা ঘটেছে, কারণ পরের ৪ ওভারে আবার উঠে ৪ জন আউট হয়ে যায়। কিন্তু ওপেনিং যা করে দিয়েছিলো সেটা অকল্পনীয় একটা ব্যাপার। তবে এইরকম খেলা আমি আগে একবার দেখেছিলাম চেন্নাই এর ব্যাটিং-এ।
তারা ২০০+ রানের চেজ করতে গিয়েও সুরেশ রায়না এইরকম পিটিয়েছিল, ৬ ওভারে ১০০ তুলে দিয়েছিলো। সেইরকমই অনেকদিন বাদে এইরকম আবার একটা ঐতিহাসিক ম্যাচ দেখলাম ব্যাঙ্গালুরুর ব্যাটিং থেকে। তবে আউট যদি উঠে উঠে এতো না হতো তবে নিঃসন্দেহে ১০ ওভারেই ম্যাচের নিষ্পত্তি হয়ে যেত। তাও কার্তিক থাকায় পরে ৩ ওভারের মধ্যে ম্যাচের নিষ্পত্তি করে দিয়েছিলো। মোটামুটি সব মিলিয়ে বেশ ইন্টারেষ্টিং ছিল বিষয়গুলোতে বেশি একটা রানের চেজ বা রান না করতে পারলেও।
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |


Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
যখন থেকে আমি আইপিএল খেলা দেখা শুরু করেছি সেই প্রথম থেকে ব্যাঙ্গালুরুর ব্যাটিং লাইন দেখলে ঈর্ষান্বিত লাগে। এত ভালো ব্যাটিং লাইন নিয়েও তারা আজ পর্যন্ত ট্রফি জিততে পারে নাই। প্রতিবার এত অসাধারণ ব্যাটিং লাইন থাকে কিন্তু শেষে দেখা যায় টেবিলের নিচে তারা পড়ে আছে। এই বিষয়টা এবারও তার বিপরীত হয়নি।
ব্যাপার টা এমন হয়েছিল গুজরাট এর ব্যাটিং এর সময় বোলিং পিচ অথচ ব্যাঙ্গালুরুর ব্যাটিং এর সময় বোলিং পিচ। ব্যাঙ্গালুরুর অপেনিং দুজন দূর্দান্ত এক শুরু এনে দেয়। ওখানেই তারা কিন্তু ম্যাচটা জিতে গিয়েছে। বাকি কাজটা অন্য রা বেশ ভালোভাবে করে নিয়েছে।।
দাদা টি-টোয়েন্টি ম্যাচে তাহলে টেস্ট ম্যাচ দেখার স্বাদ পেয়েছেন😂। সাধারণত এমন ধীরগতির ব্যাটিং কিন্তু টি-টোয়েন্টি ম্যাচে দেখা যায় না। তবে শেষ পর্যন্ত গুজরাট মোটামুটি ভালোই টার্গেট দিয়েছে বেঙ্গালুরু টিমকে। যাইহোক অল্প টার্গেটের ম্যাচ বেশিরভাগ দল তাড়াতাড়ি চেজ করতে চায়। আর বেঙ্গালুরু দল যেহেতু পয়েন্ট টেবিলে তেমন ভালো অবস্থানে নেই,তাই তারা এই ম্যাচ তাড়াতাড়ি শেষ করতে পারলে রান রেটে কিছুটা এগিয়ে যেতে পারতো। কিন্তু তারা মোটামুটি তাড়াতাড়ি এই রান চেজ করতে পারলেও,বেশ কয়েকটি উইকেট হারিয়ে ফেলেছে। দেখা যাক বাকি ম্যাচগুলোতে বেঙ্গালুরু কেমন পারফরম্যান্স করে। বেঙ্গালুরু টিমের জন্য শুভকামনা রইল। যাইহোক এই ম্যাচের রিভিউ দারুণভাবে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।