কলমি শাক ভাজি রেসিপি
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই সুস্থ, স্বাভাবিক আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে একটি রেসিপি শেয়ার করে নেবো। আজকে আমি কলমি শাক রান্না করেছি। কলমি শাক অনেকদিন বাদেই খেলাম বলতে গেলে, তেমন কেনা হয় না। এই কলমি শাক মোটামুটি সব জায়গাতেই পাওয়া যায় তবে সেটা জলের উপরে বা স্যাঁতসেঁতে জায়গাগুলোতেই বেশি হয়ে থাকে। জলে হওয়ার জন্য একে আবার অর্ধ জলজ লতা শাক বলা হয়। কলমি শাকের পাতাগুলো খেতে দারুন লাগে , এর পাতাগুলো লম্বাটে হওয়ায় অনেকটা হয়ে থাকে। আর সবথেকে বড়ো কথা কলমি শাক অনেক উপকারী শাক কারণ এতে রয়েছে অনেক প্রকার ভিটামিন। যাদের রক্তশূন্যতার সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে অনেকটা উপকারী কারণ এতে লৌহ থাকে প্রচুর। তাছাড়া এতে অনেকটা ভিটামিন সি থাকে, ভিটামিন সি কিন্তু আবার আমাদের শরীরের রোগগুলোকে প্রতিরোধ করতে পারে। এইরকম আরো বিভিন্ন পদের রোগের সমস্যা আছে যা এই কলমি শাকের দ্বারা অনেক উপকারে এসে থাকে। আর কলমি শাক চিংড়ি দিয়ে খেতে অনেক টেস্টি লাগে, আমার কাছেও অনেক টেস্টি লেগেছিলো এই শাক । যাইহোক এখন আমি এই শাকের রেসিপিটার মূল পর্বের দিকে চলে যাবো।
✔এখন শাকের রেসিপিটা যেভাবে তৈরি করলাম--- |
---|
➤চিংড়িগুলোকে প্রথমে ভালো করে কেটে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে। এরপর আমি কলমি শাকের তাড়িটা খুলে কেটে নিয়েছিলাম এবং পরে তা জল দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিয়েছিলাম।
➤পেঁয়াজ এবং রসুনের খোসা ছাড়িয়ে নেওয়ার পরে পেঁয়াজ কেটে নিয়েছিলাম। এরপর রসুনের কোয়াগুলো আলাদা করে নিয়েছিলাম। লঙ্কাগুলো কেটে জল দিয়ে ধুয়ে নিয়েছিলাম।
➤কেটে রাখা চিংড়িতে ১ চামচ করে লবন আর হলুদ দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর গায়ে ভালো করে মাখিয়ে নিয়েছিলাম।
➤চিংড়ি ভালো করে ভেজে তুলে নিয়েছিলাম। এরপর কড়াইতে পরিমাণমতো তেল দিয়ে দিয়েছিলাম।
➤তেল গরম হওয়ার পরে তাতে পেঁয়াজ এর কাটা অংশটা দিয়ে দিয়েছিলাম এবং ভালো করে ভেজে নিয়েছিলাম।
➤পেঁয়াজ ভাজা হয়ে গেলে তাতে একেবারে কেটে রাখা কলমি শাক দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তাতে ভাজা চিংড়ি দিয়ে দিয়েছিলাম।
➤চিংড়ি দেওয়ার পরে তাতে ১.৫ চামচ লবন আর ২ চামচ হলুদ গুঁড়ো দিয়ে দিয়েছিলাম আর সাথে কেটে রাখা লংকা। এরপর শাকের সাথে সব মশলা ভালো করে মিক্স করে নিয়েছিলাম।
➤মিক্স করার পরে একটি পাত্র দিয়ে কিছুক্ষন ঢেকে রেখেছিলাম শাকগুলো সিদ্ধ হয়ে আসা পর্যন্ত। শাকগুলো সিদ্ধ হয়ে আসলে পাত্রটি তুলে নিয়েছিলাম এবং ভাজা ভালোভাবে হয়ে আসা পর্যন্ত দেরি করেছিলাম।
➤ভাজা ভালোমতো হয়ে গেলে আমি চুলাটি অফ করে দিয়েছিলাম। শাক যতই দেওয়া হোক না কেন রান্নার শেষে কমে হয়ে যায় মুঠোখানি। যাইহোক শাক খাওয়ার জন্য বা পরিবেশনের জন্য একটি পাত্রে তুলে নিয়েছিলাম। এইটা আমার অনেক প্রিয় শাক, খেতে অনেক ভালো লাগে আমার কাছে।
রেসিপি বাই, @winkles
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

কলমি শাক খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। কিন্তু কলমি শাকের যে আরেকটা নাম অর্ধ জলজ লতা তা আমার জানা ছিল না। আপনার পোস্টের মাধ্যমে জানতে পারলাম। আপনার সবগুলো আমার কাছে জন্যই ভালো লাগে যে আপনার পোস্ট থেকে আমরা অনেক অজানা তথ্য জানতে পারি। কলমি শাক সম্বন্ধে আপনি অনেক রকম তথ্য দিয়েছেন তথ্যগুলো জানতে পেরে খুব ভালো লাগলো। চিংড়ি মাছ দিয়ে কখনও কলমি শাক রান্না করা হয়নি। আমি বেশিরভাগ শুধু কলমি শাক ভাজি করে খেয়েছি। তবে আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। দেখতে খুবই লোভনীয় লাগছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনার জন্য শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
কলমি শাক আমার খুবই প্রিয়। তবে কলমি শাকের উপকারিতা সম্পর্কে এতটা জানা ছিল না। আজকে আপনার এই পোষ্ট পড়ার মাধ্যমে কলমি শাকের বিভিন্ন রকমের উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পারলাম। আমরা যদি নিয়মিত কলমি শাক খাই তাহলে আমাদের শরীরের অনেক ঘাটতি পূরণ হবে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। দাদা আপনি এই মজার রেসিপির পাশাপাশি অনেক সুন্দরভাবে এই শাকের গুনাগুন উপস্থাপন করেছেন। এই পোষ্ট পড়ার মাধ্যমে সকালে অনেক উপকৃত হবে। চিংড়ি মাছ দিয়ে কলমি শাক রান্না করে কখনো খাওয়া হয়নি। চিংড়ি মাছ আমার খুবই ভালো লাগে। তবে কলমি শাক দিয়ে কখনো খাইনি। আমি অবশ্যই এই মজার রেসিপি তৈরি করে খেয়ে দেখবো। আশা করছি চিংড়ি মাছ দিয়ে কলমি শাক রান্না করলে খেতে দারুন লাগবে। লোভনীয় একটি রেসিপি তৈরীর পদ্ধতি উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে জানাচ্ছি ধন্যবাদ। শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো দাদা। ❤️❤️❤️
আরে বাহ দাদা,আজ আমার খুবই পছন্দের একটি রেসিপি দেখলাম।আসলে অনেক দিন হল কলমি শাক খাওয়া হয় নি, বলতে পারেন বর্ধমানে আসার পর একবার ও না।এখানে পাওয়া যায় না মানে বিক্রি হয় না।বাবা কয়েকদিন আগে মাঠে একটি গাছ পেয়েছিল পুকুরে লাগিয়ে দিয়েছেন।কয়েকদিন পর খাবো ডোগ কেটে।তাছাড়া কলমি শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন।যেটা গর্ভবতী মায়েদেরজন্য ভীষণ উপকারী।আমার বরাবরই চিংড়ি মাছ দিয়ে কলমি শাক ভাজি রেসিপি ভালো লাগে।আপনার রেসিপিটা খুবই সুন্দর হয়েছে👌👌.ধন্যবাদ দাদা।
কলমি শাকের ভাজি দেখে
জিভে আসে জল,,
সবাই মিলে খেয়ে আসি
দল বেঁধে চল।
পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ
কলমি পাতা ও ভাই
সাথে যদি চিংড়ি থাকে
তুলনা তার নাই।
চিংড়ি দিয়ে কলমি শাকের
দারুন রেসিপি,,,
দেখেই মনে ভাব আসে
যেন ভিআইপি।
এত সুন্দর রেসিপি দাদা
কেমনে করো তুমি,,,
তোমার রেসিপিতে সমৃদ্ধ
আমার বাংলা ব্লগ ভূমি।
দোয়া করি দাদা তোমায়
সুখে থাক রোজ,,
মাঝে মাঝে আমাদের
নিও একটু খোঁজ।♥♥
দাদা আজকে আপনার রেসিপি দেখে আমার খুবই ভালো লাগলো। আজকে আপনি মজাদার কলমি শাকের রেসিপি তৈরি করেছেন। আসলে কলমি শাক আমার খুবই প্রিয়। গতবছর কলমি শাক আমরা তুলতে গিয়েছিলাম নৌকায় করে। আমাদের পুকুরের পাড়ে কলমি শাক পাওয়া যায়। তাই আমরা ছোট একটি নৌকা নিয়ে পুকুরের ওপারে গিয়ে কলমি শাক তুলে এনেছিলাম।আজকে আপনি অনেকদিন পর কলমি শাক খেলেন, আসলে কলমি শাকের খুবই মজাদার লাগে। আপনার রেসিপি উপস্থাপন এবং পরিবেশন আমার খুবই ভালো লেগেছে। এবং কলমি শাকে ভিটামিন সি রয়েছে যার কারণে আমাদের শরীরের জন্য উপকারী। তাই আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
আমি কোনদিনও কলমি শাক খাইনি তবে সব সময় দেখি যে ভ্যানে করে কলমি শাক বিক্রি করে দেখতেও ভালো লাগে কিন্তু কখনো কেন হয়নি। কলমি শাক যে জলের উপরে ও স্যাঁতসেঁতে জায়গায় হয় সেটা আবার অর্ধ জলজ লতা শাক নামে পরিচিত আমার জানা ছিল না আজ আপনার পোষ্টের মাধ্যমে জেনে নিলাম। যে কোন শাকই চিংড়ি মাছ দিয়ে রান্না করলে খেতে খুব ভালো লাগে ।রক্তশূন্যতায় কলমি শাক উপকারী সেটা আজ আপনার কাছ থেকে জেনে নিলাম। আপনি একেবারে আমার থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন পদ্ধতিতে শাকটি রান্না করলেন আমি প্রথমে শাক সিদ্ধ করে তারপরে চিংড়ি ভেজে তার ভিতরে একবারে তেলে দিয়ে দিই আর আপনি প্রথমে চিংড়িগুলো ভেজে উঠিয়ে রেখে তারপর একেবারে তেলে দিয়ে দিলেন এই পদ্ধতিতে কখনো রান্না করা হয়নি নতুন একটি পদ্ধতি শিখে নিলাম আপনার কাছ থেকে দাদা।
কলমি শাক একেবারে ভাজা ভাজা করে রান্না করলে খেতে আমার খুবই মজা লাগে।
কলমি শাক ভাজি আমার খুবই খুবই ফেভারিট গ্রামে থাকতে প্রতি সপ্তাহে প্রায় খাওয়া হতো এখন অবশ্য তেমন একটা যাওয়া হয় না তবে আপনার ভাজির রেসিপিটি দেখে খুব আগ্রহ হচ্ছে এমন ভাজি করে খাওয়ার জন্য রেসিপিটি সুন্দর ভাবে প্রস্তুত প্রণালি তুলে ধরেছেন শুভকামনা রইল দাদা আপনার জন্য
দাদা আপনার রেসিপি গুলো দেখলে শুধু খেতে ইচ্ছে করে কারণটা জানি না, নিশ্চয়ই আপনি দারুন রেসিপি করেন তাই। অবশ্যই আপনার রেসিপি গুলো দেখলে খুবই ভালো লাগে। আপনি খুব সুন্দর করে রেসিপিগুলো উপস্থাপনা এবং কি আপনি কলমি শাকের খুব সুন্দর বর্ণনা দিয়েছেন। দাদা ঠিকই বলেছেন কলমি শাক এমন একটা সাক যা রক্ত শূন্যতা পূরণ করে এবং মানবদেহের জন্য আরও বিভিন্ন ধরনের উপকারে আসে। আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য শুভেচ্ছা রইল।