কোষের সিনেসেন্স
হ্যালো বন্ধুরা, আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
Image Created by OpenAI
আজকে আপনাদের সাথে আমাদের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো। আমাদের সিনেসেন্স বলে একটা বিষয় আছে। আর এই সিনেসেন্স হলো- কোষের বার্ধক্য। আমাদের দেহে অসংখ্য কোষ নিয়ে গঠিত থাকে এবং এর প্রত্যেক দেহকোষ একসময় বার্ধক্যের সম্মুখীন হয়। মূলত এই বিষয়টাই হলো সিনেসেন্স। এইগুলো বয়েসের উপর নির্ভর করে। যেমন, আমাদের যখন বয়স বাড়তে থাকে, তখন ধীরে ধীরে কোষের ক্ষমতাগুলো হারিয়ে যেতে থাকে। তবে আমাদের এই বয়স বাড়াটাও একটা স্বাভাবিক প্রাকৃতিক নিয়ম, তাই এটাকে আমরা ইচ্ছা করলেও থামাতে পারিনা। যদিও এখনো এইরকম কোনো সিস্টেম আবিষ্কার হয়নি, যেখানে কোষের এই কার্যক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করা যায়।
তাই এই সিনেসেন্স মানেই হলো এক কথায় আমাদের দেহকোষগুলোর বিভাজন ক্ষমতা স্থায়ীভাবে হারিয়ে যায়। তবে একটা বিষয়, এই কোষগুলো তার বিভাজন ক্ষমতা হারালেও কিন্তু মরে না। সিনেসেন্ট কোষ আসলেই খুবই অদ্ভুত আর রহস্যময়। এই কোষগুলো না মরলেও জীবিত অবস্থায় থেকে যায়, কিন্তু কোনো কাজের থাকে না। কিন্তু এই অকেজো কোষগুলো আবার তার আশেপাশে থাকা কোষগুলোর উপর খারাপ প্রভাব বিস্তার ফেলতে শুরু করে। এই সিনেসেন্ট নষ্ট হয়ে যাওয়ার জন্য বেশ কিছু বৈজ্ঞানিক কারণও আছে, যেমন- কিছু ডিএনএ এর ক্ষতি এখানে পরিলক্ষিত করা যায়। সূর্যের থেকে যে অতিরিক্ত আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মি, তারপর যেসব রেডিয়েশন থাকে, তার থেকে কোষগুলোর জিনগত ক্ষতি হয়ে থাকে।
আর আমাদের দেহে প্রতিবার যখন কোষগুলো বিভাজিত হতে থাকে, তখন টেলোমিয়ার নামের একধরণের ডিএনএ ক্যাপ ছোট হতে থাকে। এইভাবে ছোট হতে হতে একপর্যায়ে গিয়ে শেষ হয়ে যায়। এছাড়া আমাদের কোষগুলোর অভ্যন্তরে রিএক্টিভ অক্সিজেন মলিকিউল জমা হতে থাকে। শেষ পর্যন্ত এই কারণে কোষের বার্ধক্য ডেকে আনে। প্রায় সময় দেখা যায়, আমাদের অনেকের শরীরে ক্যান্সার এর বাসা বাঁধে। আসলে সবসময় তামাক বা অন্য কিছু সেবনের কারণে যে হয়ে থাকে তা কিন্তু নয়। আমাদের দেহে কোষ বিভাজনের ভুলের কারণেও কিন্তু এই ক্যান্সার এর মতো মরণব্যাধি বাঁধার সম্ভাবনা থাকে। তবে সিনেসেন্স কোষের একটা ভালো দিক আছে এদিক থেকে।
কারণ এই কোষের ভুল বিভাজন বন্ধ করে দেওয়ার মতো কাজ করতে পারে, ফলে এই ক্যান্সার এর ঝুঁকিটাও এক্ষেত্রে অনেক কমে যায়। এছাড়াও আমাদের শরীরে অনেক সময় নানা কারণে ক্ষত হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে এই ক্ষত নিরাময়ের সময়ে অস্থায়ী সিনেসেন্ট কোষ তৈরি হয়ে থাকে এবং পরবর্তীতে এটি ধ্বংস হয়ে যায়। এর কিছু ভালো দিক থাকলেও খারাপ দিকটাও বেশি আছে। আর ইটা বয়স্কদের শরীরে বেশি সমস্যা হয়ে থাকে। কারণ এই কোষগুলো শরীরে জমাট বাঁধলে সেখান থেকে ইনফ্লামেশন বাড়ায়। এছাড়া আরো নানা রোগের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তবে এইটারও সময়ের সাথে সাথে ধ্বংস করার কোনো একটা পদ্ধতি বের করবে বিজ্ঞানীরা আশা করা যায়।
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |


Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.