দীর্ঘ আঠারো বছরের অপেক্ষার অবসান!

in আমার বাংলা ব্লগ6 days ago
হ্যালো বন্ধুরা, আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

ChatGPT Image Jun 4, 2025, 03_57_51 AM.png

Image Created by OpenAI

আজকে আপনাদের সাথে খেলাধুলা বিষয়ে পোস্ট শেয়ার করে নেবো। গতকাল আইপিএল এর অন্তিম ম্যাচ ছিল অর্থাৎ ফাইনাল ম্যাচ ছিল। তবে এর আগেরদিন মুম্বাই আর পাঞ্জাবের খেলাটাও অসাধারণ হয়েছিল। বৃষ্টির কারণে যদিও খেলা অনেক্ষন বন্ধ ছিল, কিন্তু সেমিফাইনাল বলে কথা, এই ২০ ওভারের ম্যাচ সম্পূর্ণ খেলতে রাজি হয়। মুম্বাই পাহাড় সমান রানের টার্গেট ছুড়লেও পাঞ্জাব এর শ্রেয়াস এর দুর্দান্ত ইনিংসে জয় ছিনিয়ে নেয়। যাইহোক, গতকালকের ফাইনাল ম্যাচও কিন্তু যথেষ্ট ভালো হয়েছে। ব্যাঙ্গালুরু আর পাঞ্জাবের মধ্যে। পাঞ্জাব পুনরায় ফাইনালে যখন উঠেছিল, তখনই ভেবে নেওয়া গেছিলো যে, এইবার পাঞ্জাব মনে হয় কাপ নিয়ে যেতে পারে। তবে একটা বিষয়, সেমিফাইনাল আর ফাইনালের মধ্যে পার্থক্য থাকলেও কিন্তু দুর্দান্ত খেলা হয়েছে। অনেক টানটান উত্তেজনা ছিল সবার মাঝে।

এই ফানেল ম্যাচে শ্রেয়াস টসে জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে। তো হিসেবে ব্যাঙ্গালুরু আগে ব্যাট করতে চলে আসে। সল্ট বেশিক্ষন থাকতে পারিনি, ক্যাচ তুলে আউট হয়ে যায়। পরে সেখানে মায়াঙ্ক আসলেও সেও একইভাবে ক্যাচ তুলে দিয়ে আউট হয়ে যায়। তবে কোহলির সাথে তেমন কেউ সঙ্গ দিতে পারিনি , কোহলি একাই মোটামুটি ৪০+ রান করে। এখানেই ম্যাচের রান তুঙ্গে তুলে দেয়। তবে একটা বিষয় ভালো লেগেছে যে, সবাই কম রান অর্থাৎ ২০-২৫ বা ৩০ করেছে ঠিকই, কিন্তু অনেক কম বল ফেস করে এই রান করেছে। রান সব মিলিয়ে মোটামুটি ১৯০ এর কাছে যায়। তবে এই রান কিন্তু কম নয়, যথেষ্ট ভালো রান চেজ করার জন্য। তবে এক্ষত্রে পাঞ্জাবও কম মারেনি। শ্রেয়াস এর যখন টিমে দরকার ছিল, ঠিক তখনই খারাপ করে ফেলে। ওপেনের দুইজন মোটামুটি বেশ ভালো শুরু করেছিল।

তবে বেশিক্ষন টিকতে পারেনি। দুইজনই পরপর পড়ে যায়। এইভাবে পড়ে যাওয়ায় একটা চাপের সৃষ্টি হয়ে পড়ে। ইংলিশ খেলছিল বটে, তবে তবে সেও আউট হয়ে যায়। মূলত এই ম্যাচটিতে সব ক্যাচ আউট হয়েছে। শ্রেয়াস আসলেও এই ম্যাচে ১ করে আউট হয়ে যায়। আসলে বল কোনোমতে বুঝতে দেয়নি, যে এটা ইয়র্কার না অন্য কিছু। তবে বলটা দারুন লেন্থ এর ছিল। এরপর শশাঙ্ক সব থেকে ভালো ইনিংস খেলে গিয়েছে। কারণ এই একমাত্র ৬১ রানের ভালো একটা ইনিংস খেলে যায়। তবে এখানে এই একজনের উপর নির্ভর করে ম্যাচ জেতানো যায় না। তবে এখানে এই একজন ব্যাতিত বাকি সবারই রান কুড়িয়ে জয়ের কাছে প্রায় চলে গেছিলো আবার।

পাঞ্জাবের রান রেট প্রথম থেকে যথেষ্ট খারাপ ছিল, কারণ ফাইনাল ম্যাচে একটুখানি সময়ের জন্য হলেও মনে হচ্ছিলো যে, খেলাটা মনে হয় আনন্দ আর উত্তেজনা বিহীন শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু খেলায় রোমাঞ্চকর মুহূর্ত তৈরি করে এই শশাঙ্ক। ম্যাচ দেখতে দেখতে প্রায় বেরিয়ে গেছিলো, মাত্র ৬ রানে হেরেছে। তবে এটি ব্যাঙ্গালুরু শেষমেশ জিতেছে, এটা অনেক গর্বের। তবে এই জেতার সাথে সাথে ব্যাঙ্গালুরুর প্রত্যেক খেলোয়াড়ের ইমোশনাল জড়িয়ে আছে। কারণ দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে খেলতে খেলতে অনেকবার ফাইনালে গিয়েও হারতে হয়েছে।

সেখানে এই দীর্ঘ লড়াইয়ে আজ একটা পূর্ণতা পেলো। অনেক প্লেয়ার হয়তো এইবার ব্যাঙ্গালুরু থেকে আলাদা হয়ে টিমে খেলছে। তবে এখানে তারাও দীর্ঘ সময় ধরে ব্যাঙ্গালুরুর টিমের হয়ে খেলছে, সেখানে তাদেরও ইমোশনাল মুহূর্তগুলো জড়িয়ে রয়েছে। যাইহোক, অবশেষে এতো বছরের লড়াইয়ে একটি কাপ ব্যাঙ্গালুরু শিবিরে এসেছে। খেলাটাও যেমন অনেক মজা ছিল আবার এই ঐতিহাসিক উইনিং নিয়েও একটা আলাদা ফিলিংস কাজ করছে।


শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png



Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 5 days ago 

এত বছর ধরে ব্যাঙ্গালুরু আইপিএল খেলে আসতেছে,তাদের একটি ট্রফি জেতা উচিত ছিল। সেটা তারা অর্জন করেছে। লেগে থালে একদিন সফলতা ধরা দিবেই দিবে। এটাই প্রমান।

 4 days ago 

সত্যিই এই খেলাটি উত্তেজনাময় ছিল। এই খেলার জয়ের মাধ্যমেই যেন বিরাটের পূর্ণতা ঘটলো আঠারো বছরের অপেক্ষার পর।সুন্দর রিভিউ করেছেন দাদা,ধন্যবাদ আপনাকে।