দুর্দান্ত একটি সেমিফাইনাল ম্যাচ!
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
Image Created by OpenAI
আজকে আপনাদের সাথে খেলাধুলা বিষয়ে একটি পোস্ট শেয়ার করে নেবো। গতকাল ভীষণ ভাইটাল একটি। যেটাকে বলে এক কথায় হাই ভোল্টেজ ম্যাচ। সেমিফাইনালের প্রথম ম্যাচ খুবই আকর্ষণীয় হয়েছে। অস্ট্রেলিয়া তো এক প্রকার বলা যায়, এই যাবত ফাইনাল হোক বা সেমিফাইনাল হোক, সব তাতেই কানাঘোষা মারতে মারতে জিতে যায় ভারতের সাথে। এই ম্যাচেও অনেকের ধারণা সত্যি বলতে তাই ছিল। তবে এখানে একটা ব্যাপার আছে, দুবাইয়ের পিচ আর অন্যান্য দেশের পিচের মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে। গত পরশু যখন নিউজল্যান্ড এর সাথে খেলা হয়েছিল, তখন পিচের অবস্থা এমন ছিল যে, স্পিনার দিয়ে সব ধরাশায়ী অবস্থা হয়ে গিয়েছিলো।
গতকাল নিয়ে রোহিত সব গুলোই টসে হেরেছে। তবে গতকালকের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া টসে জিতলেও ভারতের একদিক থেকে সুবিধা করে দিয়েছিলো, কারণ ভারতের কোহলি ব্যাতিত বেশ কয়েকজন চেজ হিসেবে বেশ ভালো খেলে থাকে। অস্ট্রেলিয়া নিউজল্যান্ড এর সাথে খেলা দেখে তারাও ৪ জন স্পিনার নিয়ে মাঠে নেমেছিল। তবে বিষয় হলো, ঠিক করে এই ম্যাচে কোনো স্পিন বলেই কাজ করিনি। সেক্ষেত্রে পিচটা একটু ব্যাটিং এর দিকে পাল্লা ভারী ছিল। অস্ট্রেলিয়া প্রথম ৩-৪ ওভার যখন খেলে, তখন তাদের রানের অবস্থা এক প্রকার খারাপই থাকে। যদিও প্রথম বলেই হেড ক্যাচ তুলে দিয়েছিলো, কিন্তু শামি ধরতে পারেনি, কঠিনও ছিল বটে।
এই হেডই পরে যে মার শুরু করলো, তাতেই ভেবে নিয়েছিলাম, এইবার মনে হয় ৩০০ রান হবে দুবাইয়ের মাঠে। হেড এক কথায় বিপদজনক ব্যাটসম্যান, দাঁড়িয়ে গেলে আর রক্ষা নেই। আর সে ঠিক করে দাঁড়িয়েই গিয়েছিলো, কিন্তু বরুন এর ওভারে কেল্লা ফাতে। মেইন ব্যাটসম্যানকে আউট করে কিছুক্ষনের জন্য সময়তায় আনে ম্যাচটিকে। এরপর আসে স্মিথ, সেও একজন বিপদ জনক সেট হয়ে গেলে। স্মিথও বেশ অনেক্ষন ধরে সেট ব্যাটসম্যান হিসেবে ছিল এবং সাথে বলা যায় আরো বেশ কয়েকজন ভালো খেলেছে। তবে অস্ট্রেলিয়ার রান যেভাবে বাড়ছিল, তাতে কমপক্ষে ২৮০ রানের মতো হয়ে যেত, যেটা অনেকটা কঠিন বিপাকে পড়ার মতো অবস্থা হতো ইন্ডিয়ার।
সেক্ষেত্রে তারা অলআউট করতে সক্ষম হয় সময়ের আগেই। রোহিতের ক্যাপ্টেন্সির প্রশংসা করতেই হয় এখানে, কারণ ৪ জন স্পিনার আর দুইজন সিমার দিয়ে যেভাবে ভ্যারিয়েশন দিয়ে ম্যাচের মোড় ঘুরালো, তাতে আর কিছু বলার উপেক্ষা রাখে না। একমাত্র এই ভ্যারিয়েশন ঠিকঠাক রাখার কারণে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যানরা শেষ পর্যন্ত বেশি আর রান উঠতে পারেনি। তাও ২৬৪ রান ক করেনি এই পিচে। তবুও এই রানের ক্ষেত্রে হাতের বাইরে তেমন কিছু হয়নি। ইন্ডিয়াও পরে ব্যাটিং করতে নেমে প্রথমেই বিপদ ঘটিয়ে বসে। গিল তো একটা বাইরের বল ব্যাট লাগিয়ে উইকেটে হিট হয়ে যায়, যেটা একদম ফালতু আউট ছিল।
তারপর রোহিতের lbw ছিল ওইরকম। সবমিলিয়ে প্রেসার এসে পড়ে কোহলির উপরে। তবে কোহলি আর শ্রেয়াস বেশ ধৌর্য আর বুদ্ধিমানের পরিচয় দিয়েছে। কারণ এই পিচে একটা ব্যাপার হলো, ধুম করে এসেই মারা যায় না, একটু সেট না হওয়া পর্যন্ত কোনোমতে মারা সম্ভব না। এদের দুইজনের পার্টনারশীপ বেশ গুরুত্বপূর্ণ ছিল। শ্রেয়াস হাফ সেঞ্চুরি না করতে পারলেও, ভালো ইনিংস খেলে যায়। কোহলি অনেক্ষন ম্যাচটাকে ধরে রেখেছিলো এক্ষেত্রে।
কোহলি সেঞ্চুরি করার মতো পর্যায়ে গিয়েছিলো। কিন্তু যেখানে প্রয়োজন নেই মারার, তাছাড়া ওভারে ৮ রান উঠে এসেছে, সেখানে উঠিয়ে মারার কি দরকার ছিল। তাছাড়া ওই বলটা অফের ছিল আর সেটাকে টেনে লেগে মারার কোনো প্রয়োজন ছিল না। শুধু শুধু এতদূর খেলে এসে সেঞ্চুরির গোড়ায় এসে ডুব দিলো। তবে ম্যাচটা সবমিলিয়ে বেশ ইন্টারেষ্টিং ছিল। এক প্রকার হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে। ৫০-৫০ চান্স ছিল, সেখানে হার্দিক এসে ধুমাধুম কয়েকটা বাউন্ডারি মেরে ম্যাচটাকে জিতিয়ে দেয়।
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |




Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আসলে দাদা কোহলির সেঞ্চুরি মিস করাটা অনাকাঙ্ক্ষিত ছিল। আমিতো রীতিমতো ধরে নিয়েছিলাম আজকে কোহলি সেঞ্চুরি করবে, যাই হোক ব্যাড লাক ছিল। তবে শেষ পর্যায়ে এসে হার্দিক পান্ডিয়ার দারুন কিছু শর্ট ম্যাচের আনন্দ ফিরিয়ে এনেছিল আর ইন্ডিয়ার জয় নিশ্চিত করেছিল।
অস্ট্রেলিয়া যে এত অল্প রানে অল আউট হয়ে যাবে,কল্পানাও করি নাই। অস্ট্রেলিয়ার রানের সংগ্রহ দেখেই বুঝতে পেরেছি। ইন্ডিয়া ফাইনালে চলে যাবে। আর আমার ধারনা সঠিক প্রমানিত হয়েছে। দেখা যাক কে চ্যাম্পিয়ান হয়। ধন্যবাদ।
গতরাতে নিজেও আমি এই ম্যাচ দেখেছি ভাই, শেষের দিকে এসে কিছুটা চাপ মনে হচ্ছিল, তবে তারপরেও ইন্ডিয়া দারুণ ব্যাটিং করে ম্যাচটা জয় করে নিয়েছে। আশা করা যায় এবার হয়তো, ইন্ডিয়া চ্যাম্পিয়ন হবে।
এই ম্যাচটি সত্যিই বেশ উপভোগ করেছি। অস্ট্রেলিয়া কিন্তু বেশ ভালোই ব্যাট করেছিল। বিশেষ করে স্মিথ এবং ক্যারে দারুণ ব্যাট করেছিল। কিন্তু রোহিত বেশ ভালোভাবে বোলারদের ব্যবহার করেছে। রোহিত শর্মার ক্যাপ্টেন্সি আসলেই দারুণ। তাছাড়া বিরাট কোহলি তো জাস্ট অসাধারণ ব্যাটিং করেছে। আসলে সেমিফাইনাল ম্যাচ এমন না হলে জমে না। বেশ ভালো লাগলো এই ম্যাচের রিভিউ পড়ে। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।