শেষ মুহূর্তে নাটকীয় জয় চেন্নাইয়ের!

in আমার বাংলা ব্লগ2 months ago
হ্যালো বন্ধুরা, আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

ChatGPT Image May 8, 2025, 04_00_52 AM.png

Image Created by OpenAI

আজকে আপনাদের সাথে খেলাধুলা বিষয়ে একটি পোস্ট শেয়ার করে নেবো। গতকাল ইডেনে কলকাতার সাথে চেন্নাই এর আরো একটি ম্যাচ ছিল। এই ম্যাচটা মূলত কলকাতার জন্য সবচেয়ে ইম্পরট্যান্ট ম্যাচ ছিল, কারণ এই ম্যাচে না জিততে পারলে প্লে অফে খেলার স্বপ্ন এইবারের মতো ভঙ্গ হয়ে যাবে। আর চেন্নাই এর তো এমনিতেই অবস্থা এইবারের মতো বেশামাল, কোনদিকেই তাল মিলাতে পারছে না। গতকাল ইডেনে যে ম্যাচ ছিল, তাতে হিসেবে কলকাতার একটা ভালো চান্স ছিল। কারণ এই পিচে একপ্রকার ব্যাটিং এর দিকেই বেশি % ছিল। হিসেবে কলকাতা আগে ব্যাটিং করে খারাপ করিনি, যদিও টসে জিতে তারা সেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কলকাতার আসলে ওপেনে একটা গ্যাপ সৃষ্টি হয়েছে ডি কক চলে গিয়ে, গুড়বার আসলে সেই ব্যাকআপ দিতে পারছে না। কয়েকটা ম্যাচে ওপেনে ব্যাট করলো, কিন্তু ফলাফল ভালো না।

নারিনও সেইরকম পার্টনার পাচ্ছে না, ফলে কয়েকটা ম্যাচে ফ্লপ খেয়ে বসে আছে। ব্যাটিং করতে নেমে মোটামুটি শুরু করেছিল, কিন্তু নূর আহমেদ এর ওভারে অবস্থা সেই সেম, ক্রিসে যে টিকে থাকবে, সেই ব্যালান্স যেন একদমই নেই। নারিন আরেকজন, এর প্রত্যেক বলে না টানলেই নয়, তাও আবার উঠে গিয়ে শর্ট খেলছে। যেখানে ধোনির মতো একজন উইকেট কিপার আছে, তার সামনে গিয়ে উঠে মারার কোনো প্রয়োজন ছিল না। এমনিতেই ভালো খেলছিল, সেখানে একটা বড়ো ধাক্কা। পাওয়ার প্লে তে পরপর এতো বড়ো ধাক্কা মানেই রান রেটে গড়মিল হয়ে যাওয়া। রাহানে তবে এসে ব্যাপারটা সামলেছিলো, ভালোই ব্যাটিং করছিলো। মোটামুটি রানটা রিকোভার করেছিল। তবে একার জন্য কোনোদিন রান বাড়ে না।

সাথে আরেকজনের সমান পার্টনারশীপ অনেক বেশি প্রয়োজন হয়। এই ম্যাচে আবার মনীশ পান্ডেকে নামিয়েছিল, কিন্তু তাতেও কোনো লাভ হয়নি। বিগত কয়েকটি ম্যাচেও তাকে খেলানো হয়নি। হুট্ করে নামিয়েও হয় না, আর মনীশ পান্ডের ফর্ম নেই আগের মতো। তাও একপ্রকার খেলেছিল খারাপ না, নট আউট ছিল শেষের দিকে নেমেও। রাসেলও মোটামুটি খেলেছিল, আগের ম্যাচ আর এই ম্যাচে মোটামুটি বেশ ভালো খেলেছে। তবে এই রান যথেষ্ট ছিল না। তারপরেও টেনেটুনে সবমিলিয়ে ১৮০ রানের টার্গেট দেয়। এইসব পিচে ২০০ রানের টার্গেট না দিলে আসলে চান্স অনেকটা কমে যায়। গত ম্যাচে ২০০ টার্গেট দিয়ে তাই টেনেটুনে জিতেছিল। তারপরেও বর্তমানে চেন্নাই এর পজিশন বা ধরণ দেখে এই রান তাদের জন্য একটু চাপেরও ছিল।

তো যাইহোক, এই রান চেজে চেন্নাই প্রথমেই কুপোকাত হয়ে পড়ে। কারণ জিরো রানে ১ উইকেট চলে যায় এবং তৎক্ষণাৎ আরো একটা জিরো রানে আউট হয়ে যায়, তাও আবার ওপেনের দুইজন প্লেয়ার। সবচেয়ে চূড়ান্ত পর্যায়ের ধাক্কা লাগে ওপেনের দুইজন আসতে না আসতেই আউট হয়ে যায়। এরপরে মোটামুটি যারা এসেছে, তারা মোটামুটি রান করেছিল, যে প্লেয়ার মোটামুটি মারছিলো, সেই দ্রুত আউট হয়ে যায়। এইভাবে ৬০ রানে প্রায় ৬ জন আউট হয়ে যায়। কলকাতার একপ্রকার ভাগ্য ছিল। তবে এখানে আবার ব্রেভিস নামের একজন ২৫ বলে ৫২ রানের এক দুর্দান্ত ইনিংস খেলে বিপর্যয়ের সৃষ্টি করে দিয়ে যায় কলকাতার সামনে।

সাথে পরে আবার দুবে এসে আরো খতরনাক বিষয় হয়ে যায়। একপ্রকার ম্যাচ ওই বের করে নিয়ে যায়। তাও লাস্টের দিকে বেশ রোমান্টিক মুহূর্ত তৈরি হয়, ম্যাচ একদম ৫০-৫০ মোড়ে এসে দাঁড়ায়। আর রিঙ্কু অসাধারণ ফিল্ডিং করেছে, যত ক্যাচ আউট হয়েছে, তার ৫০% এর বেশি ক্যাচ ওইই ধরেছে বলতে গেলে। লাস্টে ধোনির একটা ৬ ম্যাচের শেষ পরিণতিতে এনে দেয়। আর সেই সাথে কলকাতার প্লে অফার দরজা এইবারের মতো চিরতরে বন্ধ হয়ে যায়।


শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png



Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 2 months ago 

আমার দেখা সবচাইতে বাজে আইপিএল সিজেন ছিল এইটা চেন্নাইয়ের জন্য। শেষের দিকে এসে এই ম‍্যাচটাও হারতে বসেছিল অনেক টা নাটকীয় ভাবেই ম‍্যাচটা জিতেছে বলা যায়।