আয়নার অপর পিঠে (পর্ব ৯ )
হ্যালো বন্ধুরা, আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
Image Created by OpenAI
আজকে আপনাদের সাথে "আয়নার অপর পিঠে" গল্পটির নবম পর্ব রিভিউ দেব। তো ওইসময় সৌমিত্র কৌটা খুলে দিতেই তার ভিতর থেকে বেরিয়ে আসা সোনালী আভায় সব ছায়ারা ছটপট করতে করতে ভ্যানিশ হয়ে যায়। এরপর সেই মেয়েটি সৌমিত্রকে বললো-"দরোজা কিন্তু এখনি খুলে যাবে, তুমি পারলে এখনই ফিরে যেও। কারণ আমি আর ফিরবো না, এখানেই থেকে যাবো। যাতে এই আয়নার দুনিয়ায় কেউ আর আটকা না পড়ে"। সৌমিত্র তার কথায় তো একদমই রাজি হলো না, কারণ সে যাবেই না। তাই সৌমিত্র মেয়েটিকে জড়িয়ে ধরে বললো-"তোমাকে ছাড়া কিছুই সম্পূর্ণ নয়, কিন্তু আমি তোমাকে কথা দিচ্ছি, তোমার নাম এবং এই কাহিনী দুনিয়ার সবাই জানবে-আমিই জানাবো সবাইকে।
মেয়েটি শুনে অনেক খুশি হয় এবং তাকে দেখে একটি নির্মল হাসি দিলো। এরপর আগের মতো সব দরোজা আবার খুলে গেলো এবং সবকিছু আলোর মধ্যে মিলিয়ে গেলো। এরপর সৌমিত্র পরেরদিন ঘুম থেকে উঠে দেখলো যে, আয়নার সামনে আর কিছু নেই। সে এই আয়নাকে পরিষ্কার করে দিলো এবং আয়নার সামনে ছোট করে একটি লেখা লিখে দিলো-"এই আয়না একটি ইতিহাস। এক বীর মেয়ের গল্প, যার নাম মীরা। কেউ এই আয়নার দিকে তাকিয়ে ভয় পেয়ো না, সম্মান এর সাথে দেখো। কারণ একমাত্র এই বীর মেয়ের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা আজ সবাই মুক্ত"। এইসব কিছুর পরে সৌমিত্রর জীবনে আবারো শান্তির হাওয়া বইছে।
কলেজে ক্লাস করছে আগের মতো, মোটামুটি সবকিছুই স্বাভাবিক ভাবেই কাটতে থাকে। কিন্তু সৌমিত্র সে তো জানে যে, সে একটা বড়ো লড়াই করে এসেছে। কিন্তু এই লড়াই মনে হয় এখনও শেষ হয়নি। কারণ একদিন রাতে সৌমিত্রর ঘুম ভেঙে গেলে দেখে, আয়নাটা একটু খোলামেলা রয়েছে। কারণ সৌমিত্র প্রতিদিন ঘুমোনোর আগে আয়নাটা ঢেকে রাখে। আর তার থেকে আশ্চর্য বিষয় হলো, সৌমিত্র আয়নার নিচে নিজে যে লেখাটা লিখে রেখেছিলো, সেটাই মুছে গেছে। যাইহোক, সৌমিত্র পরেরদিন কলেজে গেলো এবং তার এক বন্ধুর আচরণ একটু অদ্ভুত লাগে। কেমন যেন সবসময় অন্যমনস্ক থাকে। এই অবস্থায় একবার বলে ওঠে যে, সৌমিত্র-আলো সবসময় অন্ধকারকে চিরতরে মুছে ফেলতে পারে না। অনেক সময় কিছু ছায়া ঠিকই ফাঁক পেয়ে পালিয়ে আসে।
সৌমিত্র শুনে কিছুটা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে, কারণ সৌমিত্র বুঝে যায় যে, এই খেলা এখনো শেষ হয়নি। ওইদিন সৌমিত্র কলেজ থেকে বাড়ি এসে এক মনে এবং এক নজরে আয়নার দিকে তাকিয়ে ছিল। এরপর সে দেখলো, হঠাৎ করে আয়নার দর্পন ধোঁয়ায় ভরে উঠলো। সৌমিত্র ওই মুহূর্তে তাড়াহুড়ো করে সেই চাবিটা নিয়ে দরোজার কাছে গেলো এবং সেই সাথে সাথে ভিতর থেকে একটি ছায়ামূর্তি প্রকট হয়ে বেরিয়ে এলো। তবে এটা প্রকৃতপক্ষে কোনো ছায়া ছিল না, এটা সেই মেয়ে অর্থাৎ মীরা ছিল। মেয়েটি ফিরে এসে বললো-তোমার মনে প্রশ্ন জাগছে, যে আসলে কি ঘটছে ! আসলে আয়নার ভিতরে নতুন একটা শক্তির জন্ম নিচ্ছে। কিন্তু তুমি যেটা ভাবছো, আসলে সেটা প্রকৃত সত্য নয়। এই শক্তিটা আলো আর অন্ধকারের মিশ্র রূপে উৎপন্ন শক্তি। আর একে থামানো কঠিন ব্যাপার। সৌমিত্র তখন জিজ্ঞাসা করলো-তাহলে কি করবো?.....
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |


Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.