এক ইনিংসে সতেরোটা ছয়!
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
Image Created by OpenAI
আজকে আপনাদের সাথে খেলাধুলা বিষয়ক একটি পোস্ট শেয়ার করে নেবো। বাংলাদেশ আর দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে দ্বিতীয় টেস্ট সিরিজটি দেখছিলাম। তবে এই টেস্ট এর ইনিংস পুরো এক তরফা খেলা হয়েছে। কারণ দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম ইনিংসে যে খেলা দিলো, তাতে অবস্থা খারাপ হয়ে গিয়েছে। তবে আমি যতদূর জানতাম যে, বাংলাদেশের মিরপুর আর চট্টগ্রাম এর পিচ-এ এত রান উঠবে না, আগে মোটামুটি দেখতাম সেই হিসেবে ধারণা করেছিলাম। কিন্তু এই পিচ-এ ধারণার বাইরে রান তুলে ফেলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। বাংলাদেশ আসলে কোনো বোলিং ফরম্যাট ব্যবহার করে আটকাতে পারেনি। সাধারণত এই পিচ-এ স্পিন বল দারুণ কাজ করে।
সেই হিসেবে বাংলাদেশের যে স্পিনার ছিল, তাতে আটকানোর কথা ছিল হিসেবে আর তার উপর নিজেদের দেশের পিচ-এ খেলা হয়েছে। দ্বিতীয় টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকা পুরো তাদের নিজেদেরই রেকর্ড ভেঙে ফেলেছে। এক ইনিংসে এত ৬ আমি আগে দেখিনি, বিশেষ করে টেস্ট সিরিজে। তবে ৫ দিনের ম্যাচে সেটা দুই ইনিংস মিলিয়ে ধরা যায়। কিন্তু এক ইনিংসে এত রান আর এত বাউন্ডারি মেরেছে যে, বলাররাই বুঝতে পারেনি। ১৭ টা ৬ মেরেছে আর তাছাড়া ৪ এর বাউন্ডারি তো অগণিত আছে। আসলে নিজেদের মাঠে এইরকম হেরে যাওয়াটা মেনে নেওয়া যায় না। তবে বাংলাদেশের তাইজুল ভালো বল করেছে, যদিও মার খেলেও উইকেট নিয়েছে একাই।
বাকিদের তো কোনো আসলে নিশানাই নেই, সবাই যে ফরম্যাটে বোলিং করেছে, তাতেই টি২০ ফরম্যাটে মেরেছে পুরো। দক্ষিণ আফ্রিকা যদি ব্যাট ছেড়ে না দিতো ওই মুহূর্তে তাহলে ৬০০+ রান ক্রস করে যেতো। দক্ষিণ আফ্রিকা বাংলাদেশের পিচ-এ এসে রেকর্ড ভেঙে চলে যাচ্ছে, কি একটা অবস্থা আসলে। দক্ষিণ আফ্রিকার মাত্র ৩ জন ব্যাটসম্যানই বেগতিক রান এর বন্যা বইয়ে দিয়েছে। এই ৩ জন আবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপদজনক ব্যাটসম্যানদের মধ্যে আছে, একবার সেট হয়ে গেলে আউট করা একটা মুশকিল ব্যাপার হয়ে যায় যেকোনো বিপক্ষ টিমের কাছে। তবে বাংলাদেশ এর খেলা সত্যি বলতে খুবই খারাপ পর্যায়ে চলে গিয়েছে, কারণ আগে তাও তাদের ব্যাটিং এর সমস্যা ছিল, কিন্তু এখন বোলিং এরও খুবই সমস্যা দেখা দিয়েছে।
যে ফরম্যাট ব্যবহার করে, তাতে রান আটকাতেই পারে না। দক্ষিণ আফ্রিকার আসলে দ্বিতীয় ইনিংসে আর ব্যাট করাই লাগেনি, পরেরটাও ছেড়ে দিয়েছিলো অর্থাৎ বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের করতে বলেছিলো। তবে এক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে একটা অদ্ভূত ঘটনার মাধ্যমে শুরু হয়, মানে এখানে প্রায় প্রথম ওভারে ব্যাট টাস না করেই ১০ রান তুলে নিয়েছিলো। প্রথম ইনিংসে এক মমিনুল ছাড়া বাকি একটা ব্যাটসম্যানই রান করতে পারেনি, তাহলে এত বড়ো রান কিভাবে উঠবে! আর দ্বিতীয় ইনিংসে তো একদমই শুন্য পারফরম্যান্স বলা যায় প্রত্যেক ব্যাটসম্যান এর। কারো কোনো রান নেই। হাতে কিন্তু এদিকে আবার দেড় থেকে দুইদিন ছিল, কিন্তু ৩ দিনেই ম্যাচ গুটিয়ে যায়। এক দিনেই অর্থাৎ তৃতীয় দিনেই ১৬ টা উইকেট ঝর ঝর করে পড়লো। সেই সাথে পুরো ইনিংসটা একটা বড়ো রানের ব্যবধানে হারলো।
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
সত্যি বলতে কি দাদা এই যে বাংলাদেশ টিম তা একেবারেই তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। এদের আরো অনেক উপরে উঠতে হবে আন্তর্জাতিক ফরমেটে ভালো খেলবার জন্য। তবে আগে এতটা খারাপ হচ্ছিল না। আমার মনে হয় এখন টিমটির আরো উন্নয়ন দরকার। খুব বাজেভাবে হেরে যাচ্ছে সব ম্যাচে।
সত্যি বলতে এটা আমিও চিন্তা করতে পারিনি মিরপুরের পিচে এতো রান হবে। বিশেষ করে বাংলাদেশের সেরা দুইজন স্পিনার তাইজুল এবং মেহেদী হাসান দুইজনই প্রায় ২০০ এর কাছাকাছি রান দিয়েছে। সাউথ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানদের এমন বিধ্বংসী রুপ সত্যি প্রশংসনীয়।
একদম ঠিক বলেছেন দাদা, ওরা একেবারেই বাজে খেলছে। মানে সবদিক দিয়েই বাজে পারফরম্যান্স করছে। টেস্ট ম্যাচ হলো ধৈর্যের খেলা। আমাদের দেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে ধৈর্য নেই বললেই চলে। তাছাড়া আমাদের দেশের স্পিনাররা এমনিতে মোটামুটি ভালোই পারফরম্যান্স করে। কিন্তু এখন তাদের পারফরম্যান্সও হতাশাজনক। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।