অভিষেক শর্মার দুর্দান্ত ব্যাটিং!
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
Image Created by OpenAI
আজকে আপনাদের সাথে খেলাধুলা বিষয়ক একটি পোস্ট শেয়ার করে নেবো। গতকাল একটা ফেন্টাষ্টিক টি২০ গেম হয়েছে ইন্ডিয়া আর ইংল্যান্ড এর ভিতরে। ভারত ট্যুরে ইংল্যান্ড এর সাথে এটি প্রথম টি২০ ম্যাচ ছিল। খেলাটি আমাদের কলকাতা ইডেন গার্ডেনে হয়েছে। এতো ধারে কাছে খেলা হয়, কিন্তু কোনোদিন যাবো যাবো করে আর যাওয়া হলো না। শুধু দেখা যায় না ভালোভাবে, এইজন্য আর গা লাগে না। তবে একবার যাবো নেক্সট টাইম খেলা পড়লে। যাইহোক, গতকাল যে খেলাটা হলো, তাতে টসে ভারত জিতে যায়, কিন্তু তারা ফিল্ডিং এর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কলকাতার লাস্টে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিলে হেরে যায় কিনা এই একটা সন্দেহ থাকে, কারণ ইডেনের পিচে একটু রান কম হয়। তবে এটা আবার সবসময় না, এক এক সময় এক একরকম এর পিচের কন্ডিশন হয়।
তবে বৃষ্টির সময়ে এসে একটু সমস্যা হয় বেশি এই পিচে। তবে যাইহোক, কালকে ইংল্যান্ড প্রথমেই ব্যাট করতে নেমে হতাশ হয়ে পড়ে। কারণ শুরুতেই যদি জিরো রানে উইকেট চলে যায় ওপেনে, তাহলে সেটা খুবই দুৰ্ভাগ্যজনক একটা বিষয় হয়ে যায়। যদিও এটা খুবই রেয়ার হয়ে থাকে। সল্ট কিন্তু ইংল্যান্ড এর একজন বেস্ট ওপেনার। আর আপনারা আইপিএল এর সময়ে কলকাতার হয়ে তার খেলাও দেখেছেন। ওপেনে দারুন শুরুটা দিয়ে থাকে আর যেহেতু সে বিগত অনেকবারই কলকাতার হয়ে আইপিএল এ খেলেছে, তাই তার কাছে কলকাতার পিচ সম্পর্কে অনেক ধারণাও আছে। কারণ তাদের প্র্যাক্টিসে কিন্তু ওইসময় কলকাতার মাঠেই হতো।
কিন্তু অর্শদীপ এর প্রথম ওভারেই প্রথম বলেই ক্যাচ আউট হয়ে যায়। একজন বেস্ট ব্যাটসম্যান ধরাশায়ী হয়ে যায়। ডুকেটও তেমন একটা ভালো খেলতে পারেনি, একটা ৪ মেরে সেও আউট হয়ে যায়, তাও আবার পরবর্তী অর্শদীপের ওভারে। তবে বাটলার এসে বেশ ভালোই শুরুটা করে দিয়েছিলো। চেপে যাওয়া রানটা আবার টেনে তুলেছিল। ওভার প্রতি মোটামুটি একটা ভালো রানের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিলো। সাথে ব্ৰুকও ভালো খেলছিল। কিন্তু বরুন চক্রবর্তী এর স্পিনে ধরা খেয়ে যায়। ইংল্যান্ড এর আর ব্যাটসম্যানরা তেমন কেউ ভালো খেলতে পারেনি। একমাত্র বাটলারই শেষ অব্দি টেনে টেনে নিয়ে গিয়েছিলো যা রান হয়েছিল তার সবটাই বলতে গেলে।
তবে রানটা যে ১৩০ এর ঘরে আটকে যাবে, সেটা ভাবেনি, কারণ বাটলার যেভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলো, তাতে তার সাথে আর কয়েকজন একটু ধরে খেলে গেলে ১৫০ ক্রস করতে পারতো। তবুও কেউ না থাকলে বাটলার একাই যেভাবে স্ট্রাইক নিয়ে খেলছিল, তাতে আরো রান মোটামুটি পর্যায়ে যেত। তবে বাটলারের একটা দুর্দান্ত ক্যাচ ধরে নীতিশ রেড্ডি। আর রানটা বলতে গেলে ওখানেই আটকে যায়। এক্ষেত্রে ইন্ডিয়ার বোলারদের ক্ষেত্রে বলতে গেলে অর্শদীপ ভালো খেলেছে, কম রান আরো ২ উইকেট। শুরুটা সেই ভালোভাবে তৈরি করে দিয়েছিলো। তবে ইন্ডিয়া এক্ষেত্রে সঞ্জু আর অভিষেক যেন টি১০ এর মতো ম্যাচ খেলা শুরু করে দিয়েছিলো।
এসেই ৪ আর ৬ এর বন্যা বয়ে যাচ্ছিলো যেন। তবে সঞ্জু বেশিক্ষন টিকতে পারেনি, ক্যাচ উঠে যায় হঠাৎ করে। তবে যাইহোক, সূর্যকুমার এসেছিলো, কিন্তু দুৰ্ভাগ্যবশত সে এসেই জিরো রানে ক্যাচ তুলে দেয়। এরপর তিলক বর্মা এসে অভিষেক এর সাথে জুটি বাঁধে, কিন্তু তিলক এর বেশি খেলাই লাগেনি, এই ১৩৩ রানের সিরিজ সম্পূর্ণটাই সে একাই খেলে দিয়েছিলো। আপনারা স্কোর বোর্ড দেখলেই বুঝতে পারবেন, ম্যাক্সিমাম রান তার। শুধু ৪ আর ৬ এর বন্যা বয়েছে তার ব্যাট থেকে। তবে ইংল্যান্ড এর কপাল পুড়েছে তার ক্যাচ মিস করে।
কতগুলো যে ক্যাচ মিস করেছে তার গিনতি নেই। আদিল রশিদ একটা ইজি হাতের ক্যাচ মিস করেছিল। এক তো এই প্লেয়ার মারছে শুধু, তারপর এতগুলো ক্যাচ মিস করলে আর ঠেকিয়ে রাখা যায় তার। আর অভিষেক একই ক্যাটাগরিতে শুধু উঠে উঠে পিটিয়ে যাচ্ছে। তবে শেষ মুহূর্তে এসে অভিষেক এর আবারো একটা ক্যাচ উঠে যায় আর ওটাই ধরে বসে। তবে ধরে আর লাভ তেমন কিছুই হয়নি, কারণ ম্যাচ জিতিয়ে দিয়ে গিয়েছিলো। তাও আবার ১২ ওভারে ম্যাচ বেরিয়ে গিয়েছিলো। অভিষেক এর দুর্দান্ত ব্যাটিং এর কারণে এতো দ্রুত ম্যাচে জয় চলে আসে।
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.