বরুন চক্রবর্তীর অসাধারণ বোলিং!
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
Image Created by OpenAI
আজকে আপনাদের সাথে খেলাধুলা বিষয়ক একটি পোস্ট শেয়ার করে নেবো। গতকাল ইন্ডিয়া আর ইংল্যান্ড এর ভিতর তৃতীয় টি২০ ম্যাচ খেলা হয়েছে। গতকালকের খেলাটাও বেশ ভালো হয়েছে। তবে গতদিনের মতো অতটা টানটান উত্তেজনা ছিল না। গতকাল বড়ো পর্দায় দেখেছিলাম খেলাটা। দাদা বড়ো পর্দা কিনেছে, মূলত ওটাতেই দেখছিলাম। বড়ো পর্দায় খেলা দেখলে, আরো বেশি ভালো লাগে, কারণ পর্দা যত বড়ো হবে খেলা তত দেখে মজা পাওয়া যায়। এখন থেকে খেলা বা কোনো সিনেমা আমরা বড়ো পর্দায় দেখবো। যাইহোক, বর্তমানে এই টি২০ ম্যাচে একটা বিষয় লক্ষ্য করলাম যে, সল্ট এর তেমন কোনো ফর্ম নেই, তিনটি ম্যাচেই খুবই খারাপ পারফরম্যান্স।
একমাত্র ব্যাটিং এর ক্ষেত্রে যা খেলছে, ডুকেট, বাটলার লিভিংস্টোন। তবে গতকাল সল্ট পড়ে যাওয়ার পরে মোটামুটি ডুকেট আর বাটলার মিলে রান যা রিকোভার করার সেটা করেছিল। এরপরে লিভিংস্টোন এসে একটা দারুন ব্যাটিং উপহার দেয়। বাউন্ডারি ছাড়া কোনো কোথাই যেন নেই তার ব্যাটে। প্রশ্নের পরিবর্তে যেমন জবাব দিতে হয়, এক্ষেত্রেও তাই, যেন বোলিং এর জবাবে শুধু ৪ আর ছয় হচ্ছে। যদিও ৪ একটাই মেরেছিলো, কিন্তু ৬ মেরেছে ভালো। বাউন্ডারি যেকয়টা মেরেছে তার বেশিরভাগই ৬ দিয়ে রান তুলেছে। একদম পুরো টি২০ ফরম্যাট এর মতো খেলেছিল। এইখানেই রান একটু ভালোই আপ হয়। পরে আবার এদিকে বাটলার এরা পড়ে গেলে রানটা প্রায় অনেক চেপে গিয়েছিলো।
লাস্ট ১৭ কি ১৮ ওভার যখন দেখলাম, তখন রান ১৪৫ এইরকম ছিল প্রায়। দেখে মনে হয়েছিল, আজকেও মনে হয় রানটা বেশি একটা করতে পারবে না। কিন্তু লাস্ট ২-৩ ওভারে উইকেট পড়লেও কুড়িয়ে কুড়িয়ে করার মতো সে ১৭০ এর উপরে রান করে ফেলে। রানটা অনেক এক্ষেত্রে, ফলে সঠিক টার্গেট নির্বাচন না করে খেললে এই ম্যাচে রান উঠানো একপ্রকার মুশকিল। এক্ষেত্রে ইন্ডিয়ার বোলার বরুন চক্রবর্তী অসাধারণ বল করে, যার সুবাদে ৫ উইকেট একাই তুলে নেয়। ওভার আর রান হিসেবে ইন্ডিয়া শুরুটা বেশ ভালোই করেছিল, প্রায় সাড়ে ৯-১০ করে ছিল প্রতি ওভার। কিন্তু স্যামসনও ফর্মে নেই, তিনটি ম্যাচেই একই ধারা। অভিষেক খেলছিল ভালোই, কিন্তু ক্যাচ তুলে ফেলে।
আর এই ম্যাচে ইংল্যান্ড আগের ম্যাচের মতো ভুল করেনি। ক্যাচ মিস করলে যে ম্যাচও মিস হবে, সেটা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছিলো। এই ম্যাচে ইন্ডিয়ার আসলে গোড়াতেই নড়বড়ে হয়ে গেছিলো, যার ফলে রান ঠিকভাবে আর সময়মতো তুলতে পারেনি। উইকেটটাও টিকিয়ে রাখতে পারেনি এই ম্যাচে। ১২-১৩ ওভারের মধ্যে ৫-৬ টা উইকেট অলরেডি গণ। হার্দিক ছিল যদিও, কিন্তু ওখানে ওই পরিস্থিতিতে রান করতে গেলে কমপক্ষে প্রতি ওভারে ৩-৪ টা বাউন্ডারি মারতেই হবে, কারণ রান রেট তখন বেড়ে সাড়ে ১৩ তে চলে গিয়েছিলো।
পরে আর যারা ছিল, তারা অতটা ভালো খেলতেই পারেনি, তার মধ্যে অধিকাংশ বোলার ছিল। আর এই কারণেই ম্যাচটাতে রানের ব্যবধান অনেকটা বেড়ে যায়। তবে প্রথমের দিকে যদি কেউ রানটা একটু ধরে দিয়ে যেত, তাহলে লাস্টে এসে এতো চাপ হতো না, হার্দিক বা অক্ষর প্যাটেল সম্ভবত রান তুলে দিতে পারতো। যাইহোক, এখনো ইন্ডিয়া একটিতে জিতে এগিয়ে আছে, পরবর্তী ম্যাচে কি হয় দেখা যাক, তবে ম্যাচ টাইড হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
![](https://steemitimages.com/0x0/https://cdn.discordapp.com/emojis/813259193313394728.gif)
![](https://steemitimages.com/0x0/https://cdn.discordapp.com/emojis/813259193313394728.gif)
![](https://steemitimages.com/0x0/https://cdn.discordapp.com/emojis/779167798706438164.gif)
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আসলে দাদা, গত ম্যাচটি দেখে আমার একেবারেই ভালো লাগেনি। কারণ ইন্ডিয়ার শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপ থাকা সত্ত্বেও তারা কেউ তাদের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেনি। যদিও শেষের দিকে হার্দিক কিছুটা চেষ্টা করেছিল। কিন্তু সেও ব্যক্তিগত চল্লিশ রান করে আউট হয়ে যায়। তারপরে আর কেউ সেভাবে ব্যাট করতে পারিনি। তবে গত ম্যাচে ইংল্যান্ডের বোলিং এবং ফিল্ডিংটা নিঃসন্দেহে দারুন ছিল। যার পরিপ্রেক্ষিতে তারা ৩২ রানের দারুন একটি জয় তুলে নিতে সক্ষম হয়।
আসলে বড় পর্দায় খেলা দেখার মজাই আলাদা। দাদা বড় পর্দা কিনেছেন, জেনে খুব ভালো লাগলো। বরুণ চক্রবর্তী এই ম্যাচে দুর্দান্ত বোলিং করেছে। তবে এই ম্যাচটি ইন্ডিয়া জিততে পারলে ভালো হতো। এতে করে বরুণের এতো সুন্দর পারফরম্যান্স সার্থক হতো এবং ইন্ডিয়া এই সিরিজটি জিতে যেতো। যাইহোক এখনও তো এই সিরিজের দুটি ম্যাচ বাকি রয়েছে। আশা করি এই সিরিজ ইন্ডিয়া অবশ্যই জিতবে। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
তৃতীয় টি২০ ম্যাচটি খুবই উত্তেজনাপূর্ণ ছিল, তবে শেষের দিকে রান তুলতে কিছুটা চ্যালেঞ্জ ছিল। সল্টের ফর্ম না থাকলেও ডুকেট, বাটলার এবং লিভিংস্টোন ভালো ব্যাটিং করেছে। ইন্ডিয়ার বোলিং দুর্দান্ত ছিল, বিশেষ করে বরুণ চক্রবর্তীর ৫ উইকেট। ইন্ডিয়া শুরুতে কিছুটা নড়বড়ে হলেও, পরবর্তীতে রান তুলতে সমস্যা হয়েছে। পরবর্তী ম্যাচে ইন্ডিয়া আরও শক্তিশালীভাবে ফিরে আসতে পারে।
বড় পর্দায় বসে খেলা দেখার আনন্দ কিন্তু মাপা যায় না। সবাই মিলে একত্রে বড় পর্দায় হইহুল্লোড় করে খেলা দেখার মজাই আলাদা। তবে দাদা বড় পর্দা কিনেছে শুনে ভালো লাগলো। ইংল্যান্ডের লিভিংস্টোন তো দেখতেছি একেবারে ছয় এর বন্যা বয়ে দিয়েছে। যার ফলে ইংল্যান্ড ১৭০ প্লাস রান করতে সক্ষম হয়েছে। তবে বরুণ তো দারুন বোলিং করেছে দাদা। একাই পাঁচটি উইকেট তুলে নিয়েছে। ইন্ডিয়ার শুরুটা খারাপ হওয়ার কারণেই হয়তো এই ম্যাচটি জিততে পারেনি। যাইহোক পরের ম্যাচের জন্য শুভকামনা রইলো টিম ইন্ডিয়ার জন্য। খুবই গোছালোভাবে রিভিউটা উপস্থাপন করেছেন দাদা ভালই লাগলো।
আমার মনে হয় না সিরিজ টাই হবে। ভারত সিরিজ টা জিতে যাবে। যদিও ক্রিকেট এখন আর ঐভাবে দেখা হয় না। তবে মনে আছে বরুন চক্রবর্তী এই ছেলেটাকে প্রথম দেখেছিলাম আইপিএলে কলকাতার হয়ে খেলতে। বোলিং স্পেল টা বেশ দারুণ।