দূর্গা পুজো ২০২৪ ( পর্ব ১৯ )

in আমার বাংলা ব্লগ5 months ago (edited)
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

আজকে আপনাদের সাথে দূর্গা পুজোর কিছু আলোকচিত্র শেয়ার করে নেবো। ইতোমধ্যে আপনাদের সাথে এই কয়টি পর্বে সাউথ কলকাতা, কল্যাণী সব পুজোর আলোকচিত্র শেয়ার করে নিয়েছি। এই পর্বে আপনাদের সাথে এলাকার মধ্যে কিছু পুজোর সৌন্দর্য তুলে ধরার চেষ্টা করবো। মূলত এই দুই জায়গায় টানা দুইদিন উঠে উঠে পুজো দেখে পরেরদিন আর হেঁটে দেখতে ইচ্ছা হচ্ছিলো না। তাও পরেরদিন ভাবলাম এলাকার পুজো একটু দেখে নেই, কারণ পুজোটা এইবার অষ্টমী আর নবমী এক দিনেই পড়েছিল। তাই সময়টাও এইবার একটু কম ছিল। নরমালি যেসব জায়গায় জাকজমকপূর্ণ ভাবে পুজো হয়ে থাকে, সেইসব ছাড়া লোকালে তেমন একটা আড়ম্বর করে হয়না।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

কিন্তু আমাদের এদিকে তাও কিছু কিছু জায়গায় প্যান্ডেল এবং প্রতিমা অসাধারণ ভাবে করে থাকে। বাইক নিয়ে দেখেছিলাম, ফলে মোটামুটি অনেকগুলো দেখতে পেরেছি ওইসময়। প্রথমত এখানে ভাটরা পল্লী নামের একটি স্থানে গিয়েছিলাম দেখতে। মূলত এখানে প্যান্ডেল অতটা ভালোভাবে সাজায় না। তবে ভিতরে ঝাড় বাতি থেকে শুরু করে মোটামুটি মায়ের মণ্ডপের ওখানে একটু ডিজাইন সম্পন্ন সবকিছু মোটামুটি সৌন্দর্যপূর্ণ করেছিল। মূর্তিটা দেখতে অনেক সুন্দর হয়েছিল যেটা লক্ষ্য করেছিলাম। এরপর গুপ্ত কলোনিতে "কল্যাণ কৃৎ সংঘে" দেখতে গিয়েছিলাম, সেখানে মূলত থিমটা কি ছিল, তা সঠিক মনে নেই, তবে প্যান্ডেলটি বেশ সৌন্দর্যে ভরিয়ে তুলেছিল। প্যান্ডেলটি দেখেই মনে হচ্ছিলো যে, ভিতরেও বেশ সুন্দর ডিজাইন হবে।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

প্যান্ডেলের সম্পূর্ণ ডিজাইনটা করেছে দেব দেবীর দৃশ্য দিয়ে। দূর থেকেও দেখতে অনেক সুন্দর লাগছিলো, সব থেকে এই সৌন্দর্যটা ফুটে উঠেছে বেশি লাইটিং ইফেক্ট এর জন্য। যেহেতু তেমন একটা ভিড়ের ব্যাপার ছিল না, তাই বাইরে প্যান্ডেলের সৌন্দর্যটা বেশ কিছু সময় নিয়ে দেখে নিয়েছিলাম। এরপর ভিতরে গিয়েছিলাম কেমন করেছে, তবে ভিতরে চারিপাশে তেমন কারুকার্য না থাকলেও লাইটিংটা আমার কাছে দারুন লেগেছিলো আর সেটা আপনারা মায়ের মণ্ডপ এবং মূর্তির দিকে তাকালে বুঝতে পারবেন। তবে উপরে মাঝখান বরাবর একটা ডেকোরেশন দারুন করেছিল। যাইহোক, ভিতরে মোটামুটি সবকিছু দেখে নেওয়ার পরে বেরিয়ে এসেছিলাম। এইসব প্যান্ডেলে তেমন কোনো ভিড়ের ব্যাপার ছিল না, তাই দেখারও কোনো তাড়াহুড়ো ছিল না।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

এরপর একটি স্কুলের মাঠের পুজোটা দেখতে গিয়েছিলাম। দূর্গা পুজোটা তারা বেশ ভালোই জমজমাট ভাবেই করে থাকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমেও। এই স্থানের প্যান্ডেলটি জাস্ট মুগ্ধ করার মতো ছিল। এই প্যান্ডেলের থিমটা ছিল "ভক্তি রূপে সিদ্ধি"। প্যান্ডেলটি কত সুন্দর করেছে, সেটা বলে অনুভূতি বোঝানোর মতো না। প্যান্ডেলের উপরের ভাগটা অমায়িক ছিল সৈন্দর্যের দিক থেকে। অনেক সৌন্দর্য্যের সাথে এই প্যান্ডেলটি সাজিয়েছে। যেন সবকিছু একটা জীবন্ত রূপ দিয়েছে ডিজাইনগুলোতে। ভিতরের ডিজাইনও অনেক সৌন্দর্য ছিল বাইরের ডিজাইনের মতো।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

সবকিছুই একদম এক কোথায় মুগ্ধ করার মতো বিষয় ছিল। এছাড়াও প্যান্ডেলের মধ্যে লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন ভিতরে লেখাগুলো সাংস্কৃতিক ভাষায় কত সুন্দর ডিজাইনের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছে। এই বিষয়গুলো প্যান্ডেলকে আরো মনোমুগ্ধকর করে তুলেছে। আর মায়ের মূর্তির কথা আর কি বলবো, যে প্যান্ডেল এতো সুন্দর সেখানে মায়ের মূর্তি ভালো না হয়ে পারে! মূর্তিটিও বেশ দারুন করেছিল। শুধু এক ঝলক দেখলেই বোঝা যায়, আসলে কত সুন্দর ভাবে সবকিছু তুলে ধরেছে এখানে থিমের সাথে মিল রেখে।


শুভেচ্ছান্তে, @winkles

ক্যামেরাস্যামসুং গ্যালাক্সি M33 5G
লোকেশনকলকাতা
তারিখ১০ অক্টোবর ২০২৪


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png



Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 5 months ago 

দাদা আমার কাছে দুর্গাপুজোর প্রতিটা পর্বের মতো এই পর্ব টা দেখতে অনেক ভালো লেগেছে। আপনি একে একে অনেকগুলো পর্ব শেয়ার করেছেন দুর্গাপূজার। দেখতে দেখতে ১৯ টা পর্ব শেষ হয়ে গিয়েছে। এই প্যান্ডেলের আলোকচিত্র গুলো দেখে আমি তো অনেক মুগ্ধ হলাম। এখানেও সুন্দর সময় কাটিয়েছেন দেখে খুব ভালো লাগলো। অপেক্ষায় থাকবো দাদা দুর্গাপুজোর পরবর্তী পর্ব দেখার জন্য।

 5 months ago 

এলাকার মধ্যেও তো দেখছি দূর্গা পূজা উপলক্ষে চমৎকার আয়োজন করা হয়েছিল। বাইক নিয়ে ঘুরাঘুরি করার কারণে একাধিক পূজা প্যান্ডেল দেখতে পেয়েছেন। তবে ভিড় হলে সেটা সম্ভব হতো না। যাইহোক স্কুল মাঠের পূজা প্যান্ডেলটা দেখতে সত্যিই খুব সুন্দর লাগছে। বিশেষ করে লেখাগুলো সাংস্কৃতিক ভাষায় দারুণভাবে ফুটিয়ে তুলেছে। বেশ ভালো লাগলো ফটোগ্রাফি গুলো দেখে। যাইহোক এতো সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।

 5 months ago 

আজকে আপনি এত সুন্দর করে দুর্গাপুজোর 19 তম পর্ব সবার মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে অনেক ভালো লেগেছে। প্রতিটা পর্বে আপনি অনেক সুন্দর সুন্দর প্যান্ডেলের আলোকচিত্র শেয়ার করেছেন। এই প্যান্ডেলের ডেকোরেশনটা সত্যি খুব সুন্দর ছিল। আর আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে এই ফটোগ্রাফি গুলো ও দেখতে। অনেক ধন্যবাদ দাদা এই পর্বটা আমাদের মাঝে সুন্দর করে শেয়ার করার জন্য।