এলোমেলো আলোকচিত্র ( পর্ব ৪২ )

in আমার বাংলা ব্লগ3 days ago
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

আজকে আপনাদের সাথে কিছু এলোমেলো আলোকচিত্র শেয়ার করে নেবো। এই পর্বে কি কি আলোকচিত্র থাকছে সেগুলো দেখে নেওয়া যাক তাহলে।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

এই আলোকচিত্রগুলি তুলেছিলাম ইকো পার্ক থেকে। এইগুলো একধরণের হাতের কারুকার্য দ্বারা নির্মিত। আর এইগুলো পার্কের ভিতরে দেখতে অনেক সুন্দর লাগে, একটা সৌন্দর্যপূর্ণ ভাবমূর্তি তৈরি হয় এতে। এখানে কিছু হরিনের কারুকার্য করা হয়েছে, যেখানে একটি হরিণকে দেখানো হয়েছে ঘাস খেতে যাওয়ার মুহূর্ত এবং অন্যটি বিশালাকার একটা শিং নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। হরিনের ডালপালার মতো বড়ো বড়ো শিংগুলোতে একটা আকর্ষণীয় ব্যাপার আছে। এইসব ভাস্কর্য কিন্তু দীর্ঘদিন আগে তৈরি করা এই পার্কের ভিতরে। এসবে হাত দেওয়াও মানা আছে, দিলেই বড়সড়ো জরিমানা। তারপরেও ছোট ছোট বাচ্চারা এদের পাশে গিয়ে বা গায়ে হালকা টাস করে ছবি তুলতে পছন্দ করে বা আগ্রহ প্রকাশ করে। এটা আসলে বাচ্চাদের বললে ভুল হবে, কারণ বড়দেরও ইচ্ছা পোষণ হয় এইসব আকর্ষণীয় বিষয়গুলোতে।


ক্যামেরা: স্যামসুং গ্যালাক্সি M33 5G
লোকেশন: কলকাতা
তারিখ: ১০ মে ২০২৪


Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

এই আলোকচিত্রে একই পার্কের ভিতরে একটি হাতির ভাস্কর্য দেখতে পাচ্ছেন, যা হাতের কারুকার্যের মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। এই হাতিটিকে দেখে কিন্তু একদম অরিজিনালের মতোই লাগছে, প্রথম দেখাতে আমিও একটা চোখের ধোকা খেয়েছিলাম, কারণ একটি লোক হাতির মুখের সামনে গিয়ে খাবার দেওয়ার একটা জাস্ট দৃশ্য তুলে ধরেছিলো আর আমি সেটাকে সত্যিই ভেবেছিলাম। আসলে শিল্পীরা এমনভাবে কারুকার্যগুলো এই পার্কের ভিতরে তৈরি করেছে, যেগুলো যেন দেখলে একটা জীবন্ত প্রতিচ্ছবির মতো লাগবে। সেই সাথে ওখানে আরো কিছু হরিনের কারুকার্য ছিল, যেখানে একটি হরিণকে রাগান্বিত মুডে তুলে ধরেছে এবগ অন্য দুটি নিরীহ হরিনের মতো একটা বিষয় তুলে ধরেছিলো। এইগুলো দেখতে অনেক সুন্দর লাগছিলো বলতে গেলে।


ক্যামেরা: স্যামসুং গ্যালাক্সি M33 5G
লোকেশন: কলকাতা
তারিখ: ১০ মে ২০২৪


Photo by @winkles

Photo by @winkles

এই আলোকচিত্রটি একটি ফুলের। এই ফুলগুলো আপনারা বিভিন্ন জায়গায় দেখতে পাবেন। আসলে এই ধরণের ফুলের উদ্ভিদগুলো আজবাই হয়ে থাকে। আর এই ফুলের উদ্ভিদ সাধারণত ক্যালেন্ডুলেসিয়া প্রজাতির উদ্ভিদ। এইগুলো আরো একটি প্রজাতির দেখতে হয় যার কালার কিছুটা খয়েরি মতো দেখতে লাগে। তবে বেশিরভাগ আমাদের এখানে হলুদ কালারের ফুলটাই দেখা যায়। আর এই উদ্ভিদটি আজবা হলেও এটি কাজের উদ্ভিদ, কারণ ভেষজ গুণাবলীর দিক থেকে আমাদের এশিয়া সহ আরো কয়েকটি দেশে ব্যবহার হয়ে থাকে। এইসব উদ্ভিদগুলো অনেকদিন টিকেও থাকতে পারে, কারণ এরা খরা, আদ্রতা সহ সব ধরণের পারিপার্শ্বিক পরিবেশের সাথে খাপখাইয়ে বেঁচে থাকতে পারে।


ক্যামেরা: স্যামসুং গ্যালাক্সি M33 5G
লোকেশন: ঢাকুরিয়া
তারিখ: ২৩ জুলাই ২০২৪


Photo by @winkles

Photo by @winkles

এই আলোকচিত্রগুলি গ্রামের একটি ঘেরের সাইট থেকে তুলেছিলাম। এইখানে এই উদ্ভিদগুলো সাধারণত রাস্তার পাশেই বেড়ে ওঠে ঝাড়জঙ্গলের মতো। এদের আসলে কোনোধরনের পরিচর্যার প্রয়োজন হয় না, প্রাকৃতিক ভাবে মাথা চাড়া দিয়ে বেড়ে ওঠে। তবে এই ধরণের উদ্ভিদগুলো অনেক দ্রুত বর্ধনশীল হয়ে থাকে। তবে এদের পাতাগুলো দেখতে বেশ সুন্দর হয়ে থাকে। পাতাগুলো জামিন বড়ো বড়ো, তেমন সামনের দিকে এবং বিপরীত দিকে একটা আকর্ষণীয় কালার আছে। দেখতে বেশ সৌন্দর্যপূর্ণ লাগছিলো তাই একটা ক্লিক করে নিয়েছিলাম। এরপর একটা সূর্য অস্তমিত যাওয়ার দৃশ্য দেখতে পাচ্ছেন। প্রকৃতির এই মনোরম দৃশ্যগুলো দেখতে অনেক সুন্দর লাগে আর এটা সবারই মন কেড়ে নেয়।


ক্যামেরা: স্যামসুং গ্যালাক্সি M33 5G
লোকেশন: খামার নওয়াবাদ
তারিখ: ২১ আগস্ট ২০২৪


Photo by @winkles

Photo by @winkles

এই আলোকচিত্রগুলি কাশফুলের। কাশফুলের দৃশ্যগুলো দেখতে অনেক সুন্দর লাগে। যদিও এই কাশফুলগুলো তেমন সতেজ নেই, শুকিয়ে গেছে অনেকটা। এখন কাশফুল আগের মতো দেখতে পাইনা, গত সপ্তাহে গ্রামের দিকে একটা আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলাম, তখন মাঠের দিকে দেখতে পেয়ে ভাবলাম কিছু ছবি তুলে আসি। দূরের থেকে অনেক সুন্দর লাগছিলো আলোকচিত্রগুলি।


ক্যামেরা: স্যামসুং গ্যালাক্সি M33 5G
লোকেশন: গোপল
তারিখ: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪


শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png



Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 2 days ago 

দাদা আপনার তোলা ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে দেখতে অনেক ভালো লেগেছে। আপনি সবসময় খুব সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করেন। এরকম ভাবে এলোমেলো সৌন্দর্যের ফটোগ্রাফি করলে দেখতে দারুন লাগে। ইকো পার্ক থেকে তোলা ভাস্কর্যের ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে অনেক ভালো লেগেছে। আর কাশফুলের ফটোগ্রাফি দেখে আমি তো আরো মুগ্ধ হলাম। কাশফুল দেখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। অনেক ধন্যবাদ দাদা এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করে আমাদের মাঝে ভাগ করে নেওয়ার জন্য।

 2 days ago 

দাদা আপনার এলোমেলো ফটোগ্রাফি গুলো আমার অনেক ভালো লাগে। এত সুন্দর ফটোগ্রাফি করেন আপনি এটা দেখলে একেবারে মুগ্ধ হয়ে যাই। আজকের ফটোগ্রাফি ছিল অনেক বেশি সুন্দর। আপনার ফটোগ্রাফি পোস্ট বেশিরভাগ সময় দেখার জন্য চেষ্টা করি। হরিণ এবং হাতির ভাস্কর্য দেখে তো প্রথমে মনে করেছিলাম এগুলো হয়তো সত্যিকারের। ছোট্ট বন্য ফুলটার ফটোগ্রাফিও খুব সুন্দর লেগেছে দাদা। রাস্তার পাশে এরকম ফুলগুলো ফুটে থাকে যেগুলো অনেক সুন্দর লাগে দেখতে। এই ফুল সম্পর্কে অনেক কিছুই জানতে পারলাম আপনার লেখাগুলো পড়ে। আর এখন অনেক ভালো লাগছে। সব মিলিয়ে সবগুলো ফটোগ্রাফি সুন্দর করে শেয়ার করেছেন এজন্য ধন্যবাদ।

 2 days ago 

এলোমেলো আলোকচিত্র গুলো দেখতে পেয়ে ভীষণ ভালো লাগলো দাদা।আপনি প্রতিনিয়ত দারুন দারুন সব আলোকচিত্র শেয়ার করেন আমাদের মাঝে।আপনার শেয়ার করা আলোকচিত্রের মাঝে গ্রামের দিকের আলোকচিত্র গুলো আমার একটু বেশীই ভালো লাগে।সুন্দর আলোকচিত্র আর সুন্দর তার বর্ননা পড়ে চমৎকার লাগে।আজকের সবগুলো এলোমেলো আলোকচিত্র গুলো অসাধারণ লেগেছে আমার কাছে।অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা সুন্দর কিছু আলোকচিত্র শেয়ার করার জন্য।

 2 days ago 

আসলেই দাদা কাশফুল দেখতে খুব সুন্দর লাগে। আমিও আজকে কাশফুল দেখেছিলাম এক জায়গায়। যাইহোক বরাবরের মতো আজকেও দারুণ কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন দাদা। ইকো পার্ক থেকে তোলা ফটোগ্রাফি গুলো এবং কাশফুলের ফটোগ্রাফি গুলো সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। যাইহোক এতো সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।