রথের মেলায় ঘোরাঘুরি

in আমার বাংলা ব্লগ19 hours ago
হ্যালো বন্ধুরা, আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

আজকে আপনাদের সাথে রথের মেলার কিছু আলোকচিত্র শেয়ার করে নেবো। রথের মেলা প্রতিবছর বেশ জাকজমক হয়ে থাকে। তবে এই বছর একটু বেশিই হচ্ছে, কারণ গতবারের তুলনায় এইবার বিভিন্ন স্থানে রথের মেলা অনেক বড়ো করে শুরু হয়েছে। আমাদের এখানে কলকাতা সহ বিভিন্ন জায়গায় অর্থাৎ বড়ো বড়ো কয়েকটা শহরেও ভালো হচ্ছে। আমাদের এখানে দুটি জায়গায় অনেক বড়ো করে হয়ে থাকে। এই দুইদিন একটা জায়গায় গিয়েছি সবাই মিলে। কালকের থেকে বিভিন্ন জায়গায় যাত্রা শুরু হবে আমাদের। এরপর কলকাতার দিকে খিদিরপুর সহ কয়েকটা জায়গায় বেশ ভালো বড়ো করে মেলা বসে থাকে, ওখানেও যাওয়ার ইচ্ছা আছে, যদি বৃষ্টি না হয় তাহলে। প্রথমদিন আমি আর সৈকত দুই ভাই মিলে গিয়েছিলাম রথের মেলায়।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

আর আমাদের দুইজনের কোথাও গেলে আগে খাওয়াদাওয়ার দিকে চোখ পড়ে যায়, কারণ আমরা মেলা হোক বা কোনো উৎসব হোক, দুইজন বিভিন্ন খাবার খাওয়ার তালে লেগে যাই হা হা। ভালোই দোকানপাট বসেছিল, তবে এইবার আমার কাছে একটু মিষ্টিমিঠাই এর দোকান বেশিই মনে হয়েছে। যদিও রথের মেলায় একটু মিষ্টির দোকান বেশি বসে থাকে। মূলত রথের মেলায় বা অন্য যেকোন মেলা হোক না কেন, মেলায় একটা খাবার খুবই কমন থাকে আর সেটা হলো পাঁপড়। এইটা না খেলে ভালো লাগে না, গরম গরম পাঁপড় খেতে বেশ ভালোই মজা লাগে। তাছাড়া আরো বিভিন্ন ধরণের ফাস্টফুড, যেমন-ঘুগনি, পাঁপড়ি চাট ইত্যাদি এইসব। তবে ঘুগনি মেলায় একটা সাধারণ বিষয় হলেও, সবার আকর্ষণ এই খাবারটার প্রতি থাকে।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

এমনকি আমারও থাকে। তবে এই ঘুগনি খেলে পেটে গ্যাস হবেই। এই ঘুগনি কিন্তু আবার আজকে বিক্রি না হলে পরেরদিন তাই গরম করে বিক্রি করে। এক কোথায় বাঁশি তা। এছাড়া মেলায় বিভিন্ন মাটির তৈরি পুতুল এইসব উঠেছিল, এইগুলো দেখতে দারুন লাগে। তবে মেলায় এই জিনিসগুলোর দাম চায় অতিরিক্ত, যা নরমালি বাইরের দোকানে গিয়ে কিনলে একটু কম পাওয়া যায়। মেলায় মূলত যেকোনো জিনিসের দ্বিগুন দাম চেয়ে বসে। এরপর আছে নানা রকমের ট্যাটু, তবে এই ট্যাটুগুলো হাতে তৈরি করলেও এর স্থায়িত্ব বেশিদিন থাকে না, জলে ধুতে ধুতে দুইদিনে ভ্যানিশ।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

কিন্তু টাকাটা আবার নিয়ে নেয় ভালোই। এরপরে উঠেছিল বাঁশের তৈরি বিভিন্ন ধরণের ঝুড়ি, ডালা, বাঁশি ইত্যাদি। এছাড়া কাপড়ের গায়ে নকশী কাঁথার মতো বিভিন্ন ডিজাইন এর জিনিসপত্রও উঠেছিল। এরপর নাগরদোলা বিষয়টা অনেক পুরোনো হলেও, দিন দিন তার আপডেটেড গঠন অনেক আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে। এরপর বাচ্চাদেরও অনেক খেলনার জিনিসপত্র উঠেছিল। তাছাড়া আরো বিভিন্ন জিনিস উঠেছিল। মোটামুটি মেলাটা বেশ জমে উঠেছে। যাইহোক, এরপর মিষ্টি মিঠাই কিনে বাড়ির দিকে চলে এসেছিলাম।


শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png



Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.