ভারতের ক্রিকেট ইতিহাসে এক নতুন নজির তৈরি হলো!
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে খেলা বিষয়ক একটি সাধারণ লেখা শেয়ার করে নেবো। গতকালকের ম্যাচতো অনেকেই দেখেছেন। কালকের খেলাটা একটা ভিন্ন মাত্রায় রূপ নেয়। দিল্লীর পিচে একটা অনন্য নজির তৈরি হয়েছিল গতকাল। আমি যদিও খেলাটি ভালোভাবে দেখিনি, তবে কাল পুজো দেখতে যাওয়ার সময়ে ট্রেনে বসে বসে ঘন্টাখানিক দেখেছিলাম। কালকে শুরুটা বাংলাদেশ হিসেবে একেবারে খারাপ করেনি। এমনিতেও দিল্লীর পিচ একটু হার্ড, তবে রান মোটামুটি তোলা যায়। ওখানে মোটামুটি প্রতি ম্যাচে ভালোই রান হয়। তবে ইন্ডিয়াকে আগে ব্যাটিং করতে পাঠিয়ে বাংলাদেশ প্রথমেই ৩ জন টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানকেই আউট করে দিলো। রান তখন একদম হয়নি বললেই চলে।
তবে ওপেনের দুইজন বিপদজনক ছিল, কারণ টি২০ তে একবার দাঁড়িয়ে গেলে আউট করা মুশকিল, যদিও এরা সব ম্যাচে সেইভাবে টিকে খেলতে পারে না। তবে একবার দাঁড়িয়ে গেলে সমস্যা বোলারদের জন্য। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ ফায়দামূলক কাজ করে ফেলে প্রথমে। তারপর সূর্যকুমার যাদবকেও আউট করে আরো সুবিধামূলক জায়গা করে নেয়। কিন্তু এই টি২০ তে কয়েকজন নতুন প্লেয়ার খেলছে, যেমন নীতিশ রেড্ডি একজন নতুন প্লেয়ার। কিন্তু এই প্লেয়ার এসেই পুরো ভিন্ন মুডে খেলা শুরু করে দিলো। পুরো বলা যায় ম্যাচের হাল ধরে নীতিশ আর রিঙ্কু। রিঙ্কু একজন ভালো মানের ব্যাটসম্যান টি২০ ফরম্যাটে, সেটা আগেও তার ব্যাটিং ফরম্যাট দেখা গিয়েছে। পুরো ডুবে যাওয়া ম্যাচকে একটা নতুন জীবন দেন করে বলা যায়, আর সেটাকে একদম শীর্ষে নিয়ে যায় রান রেটের।
কারণ এই পরিস্থিতে এই রান হবে সেটা দেখে মনে হয়নি। কিন্তু তাদের ব্যাটিং দেখে মনে হয়েছিল ১৫০-১৭০ এইরকম হতে পারে। রানের সিংহভাগ এই দুইজন ব্যাটসম্যান তুলে দিয়ে যায়। নীতিশ গতকাল ২০০+ স্ট্রাইক নিয়ে খেলেছে , পুরোটাই আগুন ঝরা ব্যাটিং ছিল। রিংকুও কম মারেনি, ২৯ বলে ৫৩ রানের বিশাল একটা ঝড়ো ইনিংস খেলে যায়। তবে দুইজনেই পরে দেখলাম মুস্তাফিজুর আর তাসকিন এর বোলিং এর শিকার হয়। রান ২০০ ছাড়িয়ে চলে যায় কালকে, একটা হিউজ ইমপ্যাক্ট তৈরি করে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। তবে কালকে ভারতের বোলিং এর দিক থেকেও একটা নজির তৈরি হয় ইতিহাসে, যেটা আগে কখনো হয়নি টি২০ ফরম্যাটে। শুধু টি২০ না, যেকোনো ফরম্যাটেই হয়ে উঠিনি।
যদিও এইরকম ঘটনা হয়েছে, সেটা টেস্টের ক্ষেত্রে স্বাভাবিক হয়েই থাকে ৫ দিনের ইনিংসে। কিন্তু একদিনের ইনিংসে একদম টানা ৭ জন বলার, ৭ জনেই উইকেট পেলো। আর শুধু এই ৭ জনকে দিয়েই বল করিয়েছে কালকে সূর্যকুমার যাদব। ভারতের বর্তমানে এই নতুন টি২০ ফরম্যাটের প্লেয়ার বেশিরভাগই অলরাউন্ডার। এটা একপ্রকার সুবিধা, কারণ প্রয়োজনে মেইন ব্যাটসম্যানরাও বোলিং করতে পারে। তবে একদিনে ৭ জন বলারই উইকেট নেওয়ার ঘটনা ভারতের টিমে আগে কখনো হয়নি। এটা একটা নতুন ঘটনা ঘটলো ভারতীয় ক্রিকেট টিমে। তবে বাংলাদেশের কেউই রান পাইনি কালকে, টেনেটুনে কোনোমতে ১০০ ক্রস করে। এক মাহমুদুল্লাহ পরে দেখলাম একা ধরে ধরে কিছু রান করেছিল আর বাকিরা একদম ডুবিয়ে দিয়েছে।
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আমি এই ম্যাচটি দেখেছিলাম দাদা। এই ব্যাপারটা সত্যিই দারুণ লেগেছে, ভারতের ৭ জন বোলার বোলিং করেছে এবং সবাই উইকেট পেয়েছে। যাইহোক নীতিশ রেড্ডির ব্যাটিং দেখে মনে হয়েছিল হাইলাইটস দেখছি। তবে এই ম্যাচে ভারতের স্কোর ২০০ ক্রস করবে, এটা একবারও ভাবিনি। পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো দাদা। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।