ওয়েব সিরিজ রিভিউ: হোস্টেজেস ( সিজন ২: পর্ব ১১ )
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে 'হোস্টেজেস' ওয়েব সিরিজটির দ্বিতীয় সিজনের একাদশ পর্ব রিভিউ দেব। এই পর্বের নাম হলো "Inching Closer". গত পর্বে দেখেছিলাম যে, সকালে হোস্টেজেস দের বের করার জন্য একটা টিম গঠন করেছে। এখন এই পর্বে দেখা যাক, বিষয়টা আসলে কতদূর কি হচ্ছে ।
✠কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:✠
☫মূল কাহিনী:☫
তাদের যে একটা টিম গঠন করেছে যেখানে পৃথ্বী নিজেই নিজের কেসে হ্যান্ডেল করছে আবার তার বন্ধুও তাকে একপ্রকার এই কাজে সেল্টার দিচ্ছে। মূলত তাদের দুইজনের প্ল্যান হলো, মুখ্যমন্ত্রীকে যেকনো ভাবে তাদের চোখে ধুলো দিয়ে পৃথ্বীর হাতে হ্যান্ডেল করে দেওয়া। এখন এই কাজের জন্যও আরো কয়েকজনকে সে বলে রাখে। মূলত এখানে দেখা যায় যে, পৃথ্বী তার শালাকে ভিতরে বলে রাখে যাতে মুখ্যমন্ত্রীকে ইনজেকশন দিয়ে অজ্ঞান করিয়ে রাখে এবং তার চোখে মুখে কালী লেপে দেয়, যেন কেউ সহজে চিনতে না পারে। এখন সেই হিসেবে সে ভিতরে কাজগুলো করে রাখে এবং যে সুপ্রিম্যানিন লোকটা ছিল, সে বাইরে আসতে চাইনি, কারণ সে যদি বাইরে পুলিশের হাত থেকে বেঁচেও যায়, তাহলেও বাইরের যে বিদেশী গ্যাং আছে তারা তাকে মেরে ফেলবে। তাই সে একটা কাগজে লিখে তার ব্যাঙ্ক ব্যালান্স সহ আরো কিছু পৃথ্বীর শালার কাছে দিয়ে দেয় যে, সে তার ছেলের কাছে পাঠিয়ে দেয়।
এখন সেখানে পিটারও ছিল, মূলত তাকে হোস্টেজ হিসেবে রেখে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল আর পৃথ্বীর ওয়াইফ এবং শালা বাইরে গুলি চালিয়ে তাদের ধ্যান অন্যদিকে সরিয়ে সেই সুড়ঙ্গ পথ ধরে বাইরে যাওয়ার জন্য চলে যায়। এদিকে বাইরে গুলির আওয়াজ শুনে একটা হাঙ্গামা তৈরি হয়ে যায়, যেখানে বাকি ফোর্স দ্রুত ছাদের উপর থেকে রস্মি বেয়ে ভিতরে জানলা ভেঙে প্রবেশ করে যায় এবং সুপ্রিম্যানিন তাদের উপর আক্রমণ করলে তাকে গুলি করে দেয় নিজের রক্ষার্থে। তবে সুপ্রিম্যানিন নিজেও ইচ্ছা করে গুলি খেয়েছে, কারণ তার বাইরে যাওয়ার ইচ্ছাও ছিল না। এরপর তারা পিটারকে নিয়ে বাইরে চলে আসে এবং মুখ্যমন্ত্রীকে তারা সেই কালী মাখা অবস্থায় বাইরে নিয়ে আসে।
পৃথ্বী আর তার বন্ধুর সহযোগিতায় তাদের সেই আগের টিমের একটি মেয়ে এম্বুলেন্স নিয়ে আসলে তাতে তুলে দেয়। আসলে ওইদিন আবার তার শোভাযাত্রা বের হওয়ার কথা ছিল। এখন ওইদিনও লাস্ট দিন ছিল পৃথ্বীর মেয়েকে বাঁচানোর, তাই তাকে নিয়েই ওই লোকগুলোর কাছে যাবে। এখন এখানে আবার শিখা নামের যে মেয়েটি ইনভেস্টিগেশন করছিলো, তাকেই আবার সবাই অবিশ্বাস করছে, কারণ সে যেগুলো বলছে সেগুলো একটা ইমাজিন ছাড়া কিছু না। কিন্তু তার বিশ্বাস এই মার্ডারের কারণগুলো রিয়েল। এখন এখানে সবাই একজন আরেকজনের কাছে কিডন্যাপ অবস্থায় আছে। সবার দাবি পূরণ না হলে কেউ কাউকে ছেড়ে কথা বলবে না।
☫ব্যক্তিগত মতামত:☫
মূলত এই পর্বে একটা লাস্ট পর্যায়ে আসার মতো হয়েছে। কারণ ওইদিকে যারা পৃথ্বীর মেয়েকে কিডন্যাপ করেছিল তারাও তাকে নিয়ে যথা স্থানে রওনা দেয় আবার এদিকে পৃথ্বীর বদলাতে তার বন্ধু এম্বুলেন্সে করে মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে রওনা দেয়। কিন্তু পৃথ্বী আপাতত ঘটনা স্থলে আছে। তবে এখন তার ওয়াইফ আর শালা বাইরে বেরোতে পেরেছে কিনা সেটাও নিশ্চিত না। একটা রিস্ক আছে ওখানে অবশ্যই। এখন লাস্ট পর্বে সব বিষয়গুলো সবার সামনে স্পষ্ট হয়ে যাবে। তবে সম্ভবত যেটা মনে হয় যে, পৃথ্বীর এই বিষয়টা সামনে সে নিজেও খোলসা করতে পারে বা সেটা পুরোপুরি ধামা চাপা হয়েও থেকে যেতে পারে।
☫ব্যক্তিগত রেটিং:☫
৮.৭/১০
☫ট্রেইলার লিঙ্ক:☫
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
অনেক সুন্দর ভাবে আপনি এই ওয়েব সিরিজের রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। দেখতে দেখতে এই ওয়েব সিরিজের অনেকগুলো পর্ব শেষ হয়ে গিয়েছে। এই ওয়েব সিরিজের কাহিনী অনেক শেষ পর্যায়ে এসেছে মনে হচ্ছে। আমি এই ওয়েব সিরিজের অনেকগুলো পর্বের রিভিউ পড়েছি। প্রতিনিয়ত আমি চেষ্টা করে যাবো এই ওয়েব সিরিজের সবগুলো পর্বের রিভিউ পড়ার জন্য। আর সময় পেলে এই ওয়েব সিরিজটা দেখার জন্য চেষ্টা করবো। আশা করছি আপনি অনেক তাড়াতাড়ি এই ওয়েব সিরিজের পরবর্তী পর্বের রিভিউ শেয়ার করবেন।
দেখতে দেখতে এই ওয়েব সিরিজের সিজন ২ শেষ হতে চলেছে। আগামী পর্বে মনে হচ্ছে পৃথ্বীর মেয়েকে উদ্ধার করতে সক্ষম হবে। তবে মূখ্যমন্ত্রীর মুখে কালী মাখা অবস্থায় বাইরে নিয়ে গিয়েছে, এটা জেনে বেশ মজা পেলাম হা হা হা। যাইহোক পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম দাদা।