দূর্গা পুজো ২০২৪ ( পর্ব ২৮ )

in আমার বাংলা ব্লগ3 days ago
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

আজকে আপনাদের সাথে দূর্গা পুজোর আরো কিছু আলোকচিত্র শেয়ার করে নেবো। গত পর্বে আপনাদের সাথে গান্ধী পল্লীর দূর্গা পুজোর কিছু আলোকচিত্র তুলে ধরেছিলাম। আজকে 'অভিযান সংঘ' নামের একটি ক্লাব এর দূর্গা পুজোর কিছু আলোকচিত্র শেয়ার করে নেবো। বনগাঁর এই পুজোটাও অনেক সময় ধরেই চলে আসছে, তবে এই ক্লাবের পুজোটা আসলে অন্যান্য পুজোর মতো লাইটিং এর তেমন কোনো ব্যবস্থা থাকে না। কারণ এই পুজোটা একদম মেইন রোডের পাশেই হয়ে থাকে। ছোট পরিসরে হলেও এটি অনেক ধুমধাম করে করে থাকে। আর এরা এইটুকু জায়গার মধ্যে একটি নির্দিষ্ট পরিকল্পনা মাফিক ভালো ভালো থিমের ন্যায় উপস্থাপনা করে থাকে। এই ক্লাবটিও আগেরটার মতো অনেক পুরস্কারও জিতেছে।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

এই বছর তাদের চিন্তাভাবনা ছিল "সৃষ্টির চোখের উল্লাসে"। থিমটার মধ্যে একটা আলাদা আকর্ষণীয় বিষয় আছে। থিমের ধারণাটাও অনেক সুন্দর। প্যান্ডেলটি দেখলে বুঝতে পারবেন, কতটা ইউনিক চিন্তাভাবনা নিয়ে এটি তৈরি করা হয়েছে। পুরো প্যান্ডেল জুড়ে যেন একটা অন্যরকম কথা বলছে। এই প্যান্ডেলটি হিসেবে অনেক বড়ো, কিন্তু রোডের পাশের থাকে পুরো স্পেস নিয়ে তোলা অনেক মুশকিল, বিশেষ করে ভিড়ের মধ্যে। এই প্যান্ডেলটিও দেখার জন্য অনেক ভিড় হয়েছিল। এই ধরণের প্যান্ডেলগুলোতে আসলে মানুষের দেখার ভিড় কমে না, একটানা বাড়তেই থাকে। এই প্যান্ডেলটি আমি মধ্যরাতের দিকে দেখতে গিয়েছিলাম, তাও প্রায় অনেক লম্বা লাইন ছিল।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

তবে লাইনে দাঁড়িয়ে কয়জন আর মেইনটেইন করে, বেশিরভাগই প্রায় মাঝখান দিয়ে ঢুকে যায়। ফলে লাস্টের দিকে যারা দাঁড়িয়ে থাকে, তারা ওই দাঁড়িয়েই থাকে, আর নড়তে চায় না সহজে। এই সমস্যাগুলো প্রায় হয়ে থাকে, যারা নিয়ম মেনে লাইনে দাঁড়িয়ে যায়, তারাই শেষে বিপাকে পড়ে। আবার এমনও হয় যে, একজন দাঁড়িয়ে ১০ জনের লাইন রাখে। এ একটা অদ্ভুত কান্ড সৃষ্টি হয় মাঝে মাঝে, আর এই নিয়ে ঝামেলাও হয়। তবে এইসব কন্ট্রোল এর জন্য ভলেন্টিয়ার রেখে দেয় যদিও, কিন্তু তারাই ঠিক করে দায়িত্বগুলো পালন করে না। তবে যাইহোক, পুরো প্যান্ডেলটি এক কথায় ময়ূরের সাজে সাজিয়ে তুলেছে। পুরো প্যান্ডেলটি ভালোভাবে দেখলে দেখা যাবে, ময়ূর আর তার পালকের ন্যায় যেন একটি প্যান্ডেল গড়ে উঠেছে।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

এইসব প্যান্ডেল দেখলে একটাই বিষয় মনে হয় যে, কোনো স্থানের হাভেলি তুলে নিয়ে চলে এসেছে। আসলে এইসব থিমতো তারা একপ্রকার বিভিন্ন জায়গার আকর্ষণীয় বিষয়গুলোর উপরে কেন্দ্র করেই তৈরি করে। তবে যাইহোক, প্যান্ডেলটি অনেক সৌন্দর্যপূর্ণ ছিল। যেন সত্যি সত্যি সৃষ্টির চোখের উল্লাসের মতো অবস্থা তৈরি হয়েছে। লাইনে অনেক্ষন দাঁড়িয়ে থাকায় প্যান্ডেলটি বেশ কিছু সময় ধরে ভালোভাবে দেখতে পেরেছিলাম। আসলে ভিতরে না যতটা সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়, তার থেকে বেশি উপভোগ করা যায় বাইরের সৌন্দর্যটা।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

আকর্ষণের মেইন বিষয় থাকে বাইরের কারুকার্যের উপরে। যাইহোক, দেখতে দেখতে ভিতরে প্রবেশ করে গিয়েছিলাম এবং ভিতরের ডিজাইনগুলোও অনেক আকর্ষণীয় ছিল। বিশেষ করে উপরের ঝাড়বাতিগুলো আর তার পাশে যেসব ডিজাইনে পরিপূর্ণ করা, সেগুলো অনেক আকর্ষণীয় ছিল। তাছাড়া মায়ের মূর্তিটাও ভালোভাবে ফুটিয়ে তুলেছিল সাজসজ্জার মাধ্যমে। সবমিলিয়ে এই পুজোটাও অনেক আকর্ষণীয় ছিল।


শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png



Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 2 days ago 

তবে লাইনে দাঁড়িয়ে কয়জন আর মেইনটেইন করে, বেশিরভাগই প্রায় মাঝখান দিয়ে ঢুকে যায়। ফলে লাস্টের দিকে যারা দাঁড়িয়ে থাকে, তারা ওই দাঁড়িয়েই থাকে, আর নড়তে চায় না সহজে।

এটা কিন্তু আসলেই ঠিক দাদা। ভারত এবং বাংলাদেশে এই ধরনের ঘটনা গুলো প্রায় সবসময়ই ঘটে থাকে। যাইহোক অভিযান সংঘ দূর্গা পূজা উপলক্ষে চমৎকার আয়োজন করেছে। আর এতো সুন্দর আয়োজন দেখতে তো অনেক মানুষ যাবেই। বেশ ভালো লাগলো ফটোগ্রাফি গুলো দেখে। যাইহোক এতো সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 days ago 

দাদা আপনি অনেক সুন্দর করে দুর্গাপূজার ২৮ তম পর্ব সবার মাঝে ভাগ করে নিয়েছেন। দেখতে দেখতে অনেকগুলো পর্ব শেষ হয়ে গেল। এই পর্বের মাধ্যমে আরো অনেক সুন্দর প্যান্ডেলের কিছু আলোকচিত্র দেখলাম। বেশ ভালোভাবেই সাজানো হয়েছে সবকিছু। প্যান্ডেলের সৌন্দর্য কিন্তু অনেক বেশি দারুন ছিল। সবকিছু অনেক সুন্দর ভাবেই ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। ঝাড়বাতিটা দেখতে তো খুব ভালোই লাগছে। বাহিরের ভিতরের প্রতিটা কারুকার্য এক কথায় চমৎকার ছিল।