শান্তিনিকেতন ভ্রমণ ( পর্ব ১ )

in আমার বাংলা ব্লগ14 days ago
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

আজকে আপনাদের সাথে শান্তিনিকেতন ভ্রমণ এর কিছু আলোকচিত্র শেয়ার করে নেবো। সাধারণত শান্তিনিকেতন যাওয়ার উদ্দেশ্য ছিল পৌষ মেলা উপলক্ষে। তো আমি আর সৈকত একদিন প্ল্যান করলাম বাইক করে শান্তিনিকেতন যাবো। সেই হিসেবে আমরা রাত থাকতে বাড়ির থেকে রওনা দিয়েছিলাম। শান্তিনিকেতন যেহেতু এখান থেকে ১৭০ কিলোমিটার, তাই রাত থাকতে ভ্রমণ শুরু করেছিলাম। আর ঠান্ডাটাও তেমন একটা ছিল না। তো আমরা মোটামুটি সকাল ৮ টা এইরকম সময়ের মধ্যে প্রথমে দিল্লী রোড ধরে শক্তিগড় চলে গিয়েছিলাম। ওখানে আমরা মোটামুটি সকালের খাবার টুকটাক খেয়ে আবারো ভ্রমণ শুরু করেছিলাম শান্তিনিকেতন এর উদ্দেশ্যে। ওখান থেকে মোটামুটি আর কোথাও দাঁড়াইনি, সোজা এক টানে শান্তিনিকেতন প্রবেশ করে গিয়েছিলাম।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

বাড়ির থেকে আগেই হোটেল বুক করে গিয়েছিলাম, তাই আর বেশি ঝামেলা পোহাতে হয়নি, হোটেলে গিয়েই আমরা গাড়ি পার্কিং করে দুইজন হোটেলে গিয়ে ঘন্টা ৩ এর মতো রেস্ট নিয়ে একটু এদিক ওদিকে ঘুরতে বেরিয়ে পড়লাম। মোটামুটি আমরা প্রথমে ওখানে সোনাঝুড়ি হাট নামের একটি হাটে গিয়েছিলাম। এই হাট অনেক জনপ্রিয় ওখানে। সবাই দূর দুরন্ত থেকে এই হাট দেখতে চলে আসে। আর ওই সময় যেহেতু পৌষ মেলার একটা ঝামেলা আছে, তাই সোজা রোড প্রায় ব্লক করে রাখে। আমাদের মোটামুটি একটু ঘুরেই যেতে হয়েছিল। তো যাইহোক, আমরা হাটে পৌঁছে বাইক এক জায়গায় পার্কিং করে হাটের ভিতরে প্রবেশ করলাম। হাটটা আসলেই অনেক বড়ো আর সেখানে প্রচুর মানুষের ঢল । বিভিন্ন ক্যাটাগরি এর জিনিস উঠেছিলো এই বাজারে।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

এই হাটে একটা আকর্ষণীয় ব্যাপার হচ্ছে, এখানে আদিবাসী সাঁওতাল দের একটা নাচ খুবই জনপ্রিয়। এটা আপনারা অনেকে টিভি তে দেখে থাকবেন নাচের বিষয়টা, তাই আর বিস্তারিত বললাম না। আমার কাছে এইটা বেশ ভালো লাগে বা লেগেছিল ওই মুহূর্তে। আর তাদের সাথে আমরা নাচতে চাইলেও তারা মানা করে না। যদিও আমরা সেখানে এইসব কিছু করিনি, তবে অনেকেই তাদের সাথে সেখানে নেচেছিল । অনেক সুন্দর সুন্দর জিনিষ এবং পোশাক এর ডিজাইন উঠেছিলো। তবে আমরা ঢুকেই খাওয়ার তালে ছিলাম হা হা।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

এদিকে ওদিকে ঘুরেছি আর শুধু খেয়ে গিয়েছি। তবে ওখানে জিনিসপত্র কেনার থেকে যেনো দেখতে আরো বেশি ভালো লাগছিল। এরপর আমরা ওইদিন ভেবেছিলাম যে, আদিবাসী গ্রাম ওটাও ঘুরে আসবো। কিন্তু হাটের ভিতরেই ঘুরতে ঘুরতে সন্ধ্যা নেমে এসেছিল। ফলে আর যাওয়ার প্ল্যান ওইদিন ক্যান্সেল করে দিয়ে হাটের ভিতরেই আরো কিছুক্ষণ সময় কাটিয়ে নিয়েছিলাম । এরপর আমরা দুইজন টুকটাক কিছু কেনাকাটা করে নিয়েছিলাম। এরপর আমরা প্রায় সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টা কি ৭ টার দিকে পৌষ মেলার দিকে রওনা দিয়েছিলাম।


শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png



Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 13 days ago 

শান্তিনিকেতন নাম টা শুনলেই বেশ অন্যরকম একটি অনুভূতি কাজ করে আমার! আমার বেশ ইচ্ছে শান্তিনিকেতন এ যাওয়ার, কবে সম্ভব হবে জানি না। সৈকত দার কয়েকটি পোস্ট ইতিমধ্যে পড়েছি শান্তিনিকেতনের পৌষমেলার। আপনার থেকে এত্তগুলো ছবি দেখে ও বিবরণ পড়েও ভীষণ ভালো লাগলো। ছবিতে নারকেল এর মালাই দিয়ে তৈরি পেঁচা এবং ফুল বেশ নজর কেড়ে নিয়েছে আমার। সামনের পর্ব গুলোর জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় রইলাম দাদা।

 13 days ago 

শান্তিনিকেতন ভ্রমণের অনেক সুন্দর একটা মুহূর্ত আপনি আজকে আমাদের সবার মাঝে শেয়ার করেছেন দাদা। শান্তিনিকেতন ভ্রমণের আলোকচিত্র গুলো আমার কাছে দেখে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আপনি ওখানে ঘুরে ঘুরে অনেক সুন্দর দেখতে ফটোগ্রাফি করেছেন। এখন অপেক্ষায় থাকলাম দাদা পরবর্তী পর্বটা দেখার জন্য।

 13 days ago 

আপনি আর সৈকত দাদা যে শান্তিনিকেতন ঘুরতে গিয়েছিলেন,সেটা উনার পোস্টের মাধ্যমে বেশ কয়েকদিন আগে জানতে পেরেছিলাম। যাইহোক সোনাঝুড়ি হাটের নাম অনেক শুনেছি। সোনাঝুড়ি হাট হচ্ছে ঐতিহ্যবাহী একটি হাট। আপনারা তো ঘুরাঘুরি করার চেয়ে খাওয়া দাওয়া-ই বেশি করেছেন দাদা হা হা হা। বেশ ভালো লাগলো ফটোগ্রাফি গুলো দেখে। এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম দাদা।

 13 days ago 

দাদা আপনার তোলা শান্তিনিকেতন ভ্রমণের এত সুন্দর ফটোগ্রাফি দেখে আমার অনেক ভালো লেগেছে। এই জায়গাটাতে গিয়ে সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছেন। তার পাশাপাশি ফটোগ্রাফিও করা হয়েছে এটা দেখে ভালো লাগলো। এখানে দেখছি অনেক কিছুই বিক্রি করা হচ্ছে। সবকিছু দেখতে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে ফটোগ্রাফির মাধ্যমে। তবে ঘুরাঘুরি করার সময় খাওয়া দাওয়া না করলে তো ভালোই লাগে না। খাওয়া দাওয়া করতে একটু বেশি ভালো লাগে। আশাকরি পরবর্তী পর্ব টা তাড়াতাড়ি ভাগ করে নিবেন দাদা।