ঘুড়ি ও ফানুস উৎসবের আনন্দ উপভোগ
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগের বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ?আশা করছি সবাই সুস্থ আছেন, ভালো আছেন।আমিও আল্লাহর রহমতে মোটামুটি ভাল আছি।
বন্ধুরা আজ আবারো আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি নতুন একটি পোষ্ট নিয়ে ।দুদিন আগে আমি মূলত ঘুড়ি উৎসবের ঘুড়ি উড়ানোর মুহূর্ত গুলো আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করেছিলাম। আজ ফানুস ওড়ানোর মুহূর্তগুলো আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব। এর আগের বছর যখন ঘুড়ি উৎসবে গিয়েছিলাম তখন সন্ধ্যা লাগার আগ মুহূর্তেই আমরা ফিরে এসেছিলাম। কেননা সন্ধ্যার পর অনুষ্ঠানটি শেষ হয় এবং তখন প্রচুর ভিড় হয়। যার কারণে আমরা সন্ধ্যা লাগার সঙ্গে সঙ্গেই ফিরে এসেছিলাম। যার কারণে ফানুস ওড়ানো দেখতে পেরেছিলাম না। এবার আমি আমার হাজবেন্ড কে আগে থেকেই বলে রেখেছিলাম আমি ফানুস ওড়ানো দেখেই বাসায় ফিরব সে যত ভিড় হোক। তারপর এবার ফানুস ওড়ানো বেশ উপভোগ করলাম । সেই মুহূর্তই আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব। আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।
ঘুড়ি ও ফানুস উৎসবের আনন্দ উপভোগ
মূলত এত গুলো ফানুস এর আগে আমি কখনো একসঙ্গে দেখি নি।এবারই প্রথম দেখলাম।একবার নিউ ইয়ারে আমরা কয়েকটি ফানুস কিনেছিলাম। কিন্তু দুঃখের বিষয় শত উড়ানোর চেষ্টা করেও ফানুস ওড়াতে পারিনি। ফানুসে আগুন ধরিয়ে উড়াতে গেলে টুপ করে নিচে পড়ে যায় ।শত চেষ্টা করেও শেষমেষ ব্যর্থ হয়েছিলাম। তবে এবার সবার ওড়ানো দেখে সত্যি ভীষণ মজা পেয়েছি।
সন্ধ্যা লাগার আগ মুহূর্তে আয়োজকরা মাইকে এনাউন্সমেন্ট করল এবার সবাই সবার ঘুড়ি আকাশ থেকে নামিয়ে ফেলুন ।এখনই সন্ধ্যে হয়ে আসবে এখনই আমরা সবাই একসঙ্গে ফানুস ওড়াবো। সবাই যথারীতি অ্যানাউন্সমেন্ট পেয়ে আকাশ থেকে সব ঘুড়ি নামিয়ে ফেলল। তারপর একটু আলো থাকতেই একজন একজন করে ফানুস উড়ানো শুরু করে দিল। খুব কাছ থেকে ফানুস ওড়ানো দেখলাম বেশ ভালো লাগলো।
সঙ্গে সঙ্গে সন্ধ্যে হয়ে এলো। মাগরিবের আজান পড়ে গেল ।আমার হাজবেন্ড আমাকে আর আমার মেয়েকে একটি চটপটির দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করতে গেল। তখন মূলত আযানের জন্য বিরতি ছিল। তবে নামাজ পড়তে যেয়ে ফিরে আসতে অনেক সময় লাগিয়েছিল। কেননা সে যখন নামাজ পড়ে ফিরে আসছিল তখন লোকজনের বাড়ি ফেরা শুরু হয়ে গিয়েছিল ।যার কারণে শত ভিড়ের মাঝে সে আর আমাদের কাছে ফিরে আসতে পারছিল না।
এদিকে আমি আর আমার মেয়ে একা একা আকাশের অসংখ্য ফানুস ওড়ানো দেখছিলাম। তবে এত সময় লাগার কারণে একটা চিন্তাও ছিল মেয়ের বাবার জন্য। মোবাইলে বারবার ট্রাই করছিলাম কিন্তু ওখানে নেটওয়ার্ক বন্ধ ছিল যার কারণে মোবাইলে যোগাযোগ করতে পারছিলাম না । আবার অন্য কোথাও যেতে পারছিলাম না সে যদি এসে আমাদেরকে খুঁজে না পায় এই চিন্তায়।যখন অনুষ্ঠান প্রায় শেষের দিকে তখন সে আমাদের কাছে এসেছিল। ততক্ষণ আমরা একাই ইনজয় করছিলাম।
রাতের কালো অন্ধকারে অসংখ্য ফানুস উড়ে যাচ্ছিল ।আমরা যেহেতু দূরে দাঁড়িয়ে ছিলাম তাই খুব কাছ থেকে ফানুস গুলো দেখার সুযোগ হয়নি। কেননা কাছ থেকে দেখতে হলে প্রচুর ভিড়ের মধ্যে যেতে হয় ।যেহেতু আমরা দুজন ছিলাম তাই আর অত ভিড়ের মধ্যে যাই নি ।দূর থেকেই দেখছিলাম ।তবে সমস্ত আকাশে মনে হচ্ছিল যেন তারা জ্বলছে।
ফানুসের সঙ্গে সঙ্গে ব্যাপক হারে বাজিও পোড়ানো হচ্ছিল। আতশবাজির আলোর ঝলকানি আর ফানুসের আলোর ঝলকানি পুরো আকাশ যেন এক অন্যরকম সৌন্দর্য বহন করছিল। সত্যি বলতে কি এরকম চমৎকার মুহূর্ত আমি এর আগে কখনো উপভোগ করিনি। এবারই প্রথম করেছি ।আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছিল। যখন অনুষ্ঠান একেবারে শেষ ঘোষণা করল তখন আমার হাজবেন্ড এসে উদয় হল। বেশ রাগ হয়েছিল আমার ।এত সুন্দর মুহূর্ত একসঙ্গে দেখতে পারলাম না ।যাইহোক এরপরে ছিল বাড়ি ফেরার যুদ্ধ। সেই কাহিনী আরেকদিন আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি ।আগামীতে আবার দেখা হবে নতুন কোন লেখা নিয়ে ।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন ।আমার ব্লগ টি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ফটোগ্রাফার: | @wahidasuma |
---|---|
ডিভাইস: | OPPO Reno8 T |
লোকেশন: | পদ্মার চর,ফরিদপুর |
🔚ধন্যবাদ🔚
@wahidasuma
আমি ওয়াহিদা সুমা।আমি একজন হাউজ ওয়াইফ। সমাজবিজ্ঞানে অনার্স মাস্টার্স করেছি।ঘুরে বেড়াতে , ঘুমাতে এবং গান শুনতে আমি ভীষন পছন্দ করি।বাগান করা আমার শখ।এছাড়াও আর্ট , বিভিন্ন রেসিপি ট্রাই করতেও ভালো লাগে। আমি 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩।বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগকে এই সুযোগটি করে দেওয়ার জন্য।


ফানুস পোড়ানোর দৃশ্যগুলো দেখতে পেয়ে আমার খুবই ভালো লাগলো মআপনারা অনেক সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করেছেন মআপনার হাসবেন্ড একটি চটপটি দোকানে রেখে এসে নামাজ পড়তে গিয়েছিল। তবে আসতে সময় লেগেছে কারণ এত মানুষের ভিড়ে আসতে একটু সময় লাগবে। এই সময় আপনারা ফানুস উড়ানোর দৃশ্যগুলো উপভোগ করলেন সত্যিই দৃশ্য গুলোর ফটোগ্রাফি দেখে মুগ্ধ হলাম।
হ্যাঁ ভাইয়া ওই মুহূর্তটা সত্যিই মুগ্ধ হওয়ার মতোই। অনেক ভালো লেগেছিল। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
ঢাকায় তো এরকম প্রোগ্রাম করা হয় সাঁকরাইল অনুষ্ঠানে, ঘুড়ি উৎসবে বেশ অনেকগুলো ঘুড়ি উড়ানো হয় এবং রাত্রে ফানুস উড়ানো হয়। এই অনুষ্ঠানটিও আমার খানিকটা এমনই লাগলো, তবে পুরান ঢাকায় প্রোগ্রামটি হয়ে গেছে অনেক আগে। সত্যি আকাশে এতগুলো ফানুষ দেখতে বেশ ভালোই লাগে।
ভাইয়া আমাদের এখানে প্রতি বছর জানুয়ারি মাসে এই ঘুড়ি ও ফানুস উৎসব হয়ে থাকে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
আপনি তো দেখছি বেশ আনন্দ করে ঘুড়ি উৎসবটা উপভোগ করেছেন । ফানুস উড়ানোর আগে অ্যানাউন্সমেন্ট দিয়ে ঘুড়ি নামানোর কথা বলে সেটা তো আগে জানা ছিল না । এটা ভালই করেছে আবার আগুন ধরে যেতে পারে । আর সন্ধ্যার দিকে আকাশে ফানুস উড়তে দেখলে কিন্তু ভালোই লাগে । আপনি যে খুব ভালো এনজয় করেছেন সেটা আপনার প্রত্যেকটা ছবি দেখেই বোঝা গেল ।
হ্যাঁ আপু সন্ধার পরে ফানুস ওড়ানোর পরে দেখতে আরো বেশি ভালো লেগেছিল ।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
আকাশ থেকে ঘুড়ি নামিয়ে ফেলার পর যখন ফানুষগুলো আকাশে উড়িয়ে দেয়া হলো তখন বোধহয় সৌন্দর্যটা আরো বেশি ভালোভাবে উপভোগ করেছেন। তাছাড়া ভাইয়ার নামাজ শেষ করে ফিরে আসতে যেহেতু একটু দেরি হয়েছিল তাই রাতের আকাশে যখন কিছুটা অন্ধকার নেমে আসছিল তখন তো ফানুষগুলো আরো বেশি ভালো লাগার কথা।
হ্যাঁ ভাইয়া অন্ধকার আকাশে অসংখ্য ফানুস দেখে খুবই চমৎকার লাগছিল। মনে হচ্ছে যেন তারা জ্বলছিল । বেশ ভালো সময় উপভোগ করেছি ।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
আমি নিজেও আপু কখনো এত ফানুস একসাথে উড়তে দেখি নি আগে। তবে আপনি যে কথাটা বললেন, যে ফানুস উড়াতে গিয়ে বার বার ব্যর্থ হয়েছেন, এটা আমার ক্ষেত্রেও হয়েছে। আমি যতবারই উড়ানোর চেষ্টা করেছি, ততবারই পুড়ে গেছে, একবারও উড়াতে পারিনি। যাইহোক, তারপর আবার আমাদের ভাই নামাজ পড়তে যাওয়ার কারণে আপনারা একসাথে এই ফানুস ওড়ানো দেখতে পারলেন না, এটার জন্য একটু খারাপ লাগছে। তবে তারপরও কিছুটা হলেও তো অন্তত এনজয় করেছেন। তবে ভাই সাথে থাকলে হয়তো আর একটু ভালো হতো, এই আর কি। আমার নিজেরও আসলে অনেক ভালো লাগছে আপু, আপনার শেয়ার করা এতগুলো ফানুস এর ফটোগ্রাফি দেখে।
হ্যাঁ ভাই এতগুলো ফানুস একসঙ্গে উড়ানো দেখতে সত্যিই ভীষণ ভালো লাগে। বেশ ভালো এনজয় করেছিলাম ।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
এতগুলো ফানুস একসঙ্গে উড়ানোর দৃশ্য ভিডিও করে শেয়ার করলে আমারও দেখতে পেতাম আপু আপনার পোস্টের মাধ্যমে। এমন দৃশ্যগুলো ফটোতেও ভালো লাগে তবে তার থেকে ভিডিওতে অনেক বেশি ভালো লাগে।
ভাইয়া বেশ ভালো কথা বলেছেন আমার তো ভিডিও করার কথা মাথায় ছিল না। ভিডিও করলে সত্যিই ভীষণ ভালো হতো ।আপনারাও দেখতে পারতেন। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
এরপর থেকে এমন কোন সুন্দর দৃশ্য দেখলে তা অবশ্যই ভিডিও করে রাখবেন আপু এবং তা পরবর্তীতে আমাদের সাথে শেয়ার করবেন।