"কিছু মৃত জীবজন্তুর সংরক্ষণ"২০.০৫.২০২৪
প্রিয় সদস্যগণ,
মাতৃভাষায় বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি"আমার বাংলা ব্লগ " এর ভারতীয় ও বাংলাদেশী সদস্যদের স্বাগত জানাই। কেমন আছেন আপনারা ? আশাকরি সবাই ভালো এবং সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের ইচ্ছায় সুস্থ আছি। বন্ধুরা আপনারা সবাই এটা জানেন যে "আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি” অন্য সকল কমিউনিটি থেকে আলাদা।এই কমিউনিটির সাথে যুক্ত হওয়া নতুন ইউজারদের গাইড করার দিক থেকে হোক অথবা সম্পূর্ণ বাংলা ভাষায় ব্লগিং করার দিক থেকে হোক।
সদস্যগণ,
আমি utpal2004 আমার বাংলা ব্লগের একজন নিয়মিত এবং অ্যাকটিভ ইউজার হওয়ার চেষ্টা করছি বেশ কিছুদিন যাবত। বাংলা ভাষায় ব্লগিং করতে পেরে আমার অনেক ভালোলাগছে। আর এই ভালোলাগার মাধ্যমেই আমি চেষ্টা করি আপনাদের সাথে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন পোস্ট ভাগ করে নেওয়ার। তাই আপনাদের মধ্যে প্রতিনিয়ত নানারকম পোস্ট নিয়ে চলে আসি। আজও আমি একটি পোস্ট আপনাদের মাঝে ভাগ করে নেবো। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
সদস্যগণ,
আজ আমি একটু অন্যরকম পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চাই। বন্ধুরা, আপনাদের মধ্যে অনেকে জিব(প্রাণী + উদ্ভিদ) কে তার জীবিত অবস্থায় দেখেছেন। কিন্তু আজ আমরা কিছু জীব যেগুলি মারা গেছে তাদের সম্পর্কে দেখবো এবং জানবো। তো চলুন বন্ধুরা শুরু করা যাক।
কিছু মৃত জীবের সংরক্ষণ
Photo by- utpal2004
বন্ধুরা,
ওপরের ছবিটিতে থাকা জীব দুটিকে তো আপনারা অবশ্যই চেনেন। কিন্তু মৃত হয়ে যাওয়ার পর এদের এইভাবে সংরক্ষণ করে রাখার বিষয়ে কখনো ভেবেছেন কি ? এখানে একটি পাত্রে "স্টার মাছ"এবং অন্য পাত্রে একটি মৃত "চিংড়ি" রয়েছে। চিংড়ি সাধারণত আমরা নদী কিংবা পুকুরেই দেখতে পেয়ে যাই কিন্তু স্টার মাছ একমাত্র সমুদ্রের নোনা জলে থাকে। চিংড়ি ও স্টার মাছ অমেরুদন্ডী প্রাণী তবে স্টার মাছের গায়ে অসংখ্য কাটা থাকে যেগুলি আপনি ছবিতেই দেখতে পাচ্ছেন এবং চিংড়ির গায়ে একটি শক্ত আবরণ থাকে যেটি কাইটিন নামক রসায়নিক পদার্থ দ্বারা নির্মিত। এই চিংড়ি এবং এ স্টার ফিসকে অনেক ভাবেই সংরক্ষণ করা যায়। যেমন -১৯৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস উষ্ণতায় তরল নাইট্রোজেনের মধ্যে রেখে দিয়ে। তবে এখানে মোম দ্বারা সংরক্ষণ করা হয়েছে।
Photo by- utpal2004
বন্ধুরা,
এই জীবটিকে আপনারা চেনেন এবং দেখলেই ভয়ে পালান অথবা মেরে ফেলেন কারণ এটি কামড়ালে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। এই কাঁকড়াবিচ্ছের লেজে বিষ থাকে। এটি একটি অমেরুদন্ডী প্রাণী এবং এর গায়ে কাইটিন নামক রাসায়নিক পদার্থ দ্বারা নির্মিত আবরণ থাকে। আমরা মানুষেরা যেমন ফুসফুসের সাহায্যে শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ে থাকি ঠিক একই রকমভাবে এরাও বুকলাঙ্গ নামক অঙ্গ দ্বারা শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ে থাকে। এটি মারা যাওয়ার পর অ্যাসিটোন নামক রাসায়নিক পদার্থ দ্বারা সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে।
Photo by- utpal2004
এই ছবিটিতে একটি বাদুরের মৃত দেহ সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে। বাদুর একটি মেরুদন্ডী প্রাণী এবং ম্যামালস পর্বের অন্তর্গত ঠিক যেমন মানুষ। একে -১৯৬° তাপমাত্রায় তরল নাইট্রোজেনের মধ্যে সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে।মোমদ্বারাও সংরক্ষণ করা যেত তবে হয়তো এটি বেশি দিন পর্যন্ত রাখা যেত না।
Photo by- utpal2004
এই জীবটিকে অনেকে দেখেছেন আবার কেউ কেউ দেখেননি। সাধারণত সমুদ্রে গেলেই একে দেখা যায়। খাদ্যবস্তু হিসেবে এর গুরুত্ব অপরিসীম। যখন এই অক্টোপাস কে তার কোন শত্রু আক্রমণ করে তখন সে তাদের হাত থেকে পলায়ন করার জন্য একসাথে অনেকটা রঞ্জক পদার্থ জলের মধ্যে ছেড়ে দিয়ে পালাতে সক্ষম হয়।
.......... পোস্ট সম্পর্কিত তথ্য.......
পোস্ট আবদ্ধকারী যন্ত্র----- redmi
পোস্ট তৈরি -------- utpal2004
অবস্থান------- পশ্চিমবঙ্গ, ভারত
বন্ধুরা,
আজ এই পর্যন্তই থাক। আশা করছি পোস্টটি আপনাদের ভালো লাগবে। ভালো লাগলে পোস্টটি সমর্থন করুন।
ধন্যবাদ আপনাদের সবাইকে
utpal2004
............ আমার পরিচয়...........
আমার নাম উৎপল রায় আমার বয়স ২১ বছর আমি এখন কলেজে পড়ি। লেখালেখি ও পড়াশোনা করতে আমার খুব ভালো লাগে। আমি ভারতবর্ষের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কলকাতা শহর থেকে আপনাদের সাথে যুক্ত হয়েছি। বাংলা ভাষায় ব্লগিং করতে পেরে আমার খুব ভালো লাগছে।