Panic করাই সমাধান নয়!
আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
কিছু কিছু মানুষ দেখবেন পান থেকে চুন খসলে এমনভাবে হা হুতাশ কিংবা পেনিক করা শুরু করে যে আপনি একটা সময় রীতিমতো অবাক হয়ে যাবেন যে সে কেনো এমন করছে। কারণ কিছু কিছু মানুষ আসলে আমি সত্যিই দেখেছি, যারা বিপদের সময় নিজের মস্তিষ্ককে ঠান্ডা রেখে কাজ না করে অহেতুক প্যানিক করে। তার চারপাশের পরিবেশ এতোটাই গম্ভীর করে তুলে যে, আসলে শুধুমাত্র গম্ভীর বললে ভুল হবে। সে এতোটাই ভয়াবহ করে তুলে যে, যারা বিপদ মোকাবেলা করার চেষ্টা করার কথা। তারা নিজেরাও অনেক বেশি ঘাবড়ে যায়।
আমাদের জীবনের নানান রকম বিপদ আসবে। নানান রকম চড়াই উৎরাই পেরিয়েই কিন্তু আমরা আমাদের জীবনের এক একটি লক্ষ্যে পৌঁছায়। এখন প্রতিটি চড়াই উৎরাই এ আসলে হয়তো বিপদ কিছুটা কম থাকে, আবার কোথাও কোথাও বিপদ অনেক বেশি থাকে। অর্থাৎ সবকিছু মিলিয়ে আসলে বিপদ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য কাজ করা খুব কঠিন ব্যাপার। কিন্তু সেই সব মুহূর্তে যদি আমরা তা না করে অর্থাৎ বিপদ থেকে বাঁচার উপায় না খুঁজে যদি অতিরিক্ত প্যানিক করে অতিরিক্ত হা হুতাশ করি এবং অতিরিক্ত পাগলামি করি। তাহলে কিন্তু কোনো সমাধানই বের হবে না।
আর এই কারণে আমি বললাম যে, প্যানিক করাই কোনো সমাধান নয়। এটা আসলে সকলের জন্য প্রযোজ্য নয়। আমি এমন অনেক মানুষ দেখেছি যারা সত্যি অপ্রয়োজনীয় প্যানিক করে। যেটা দেখে হয়তো তার চারপাশের মানুষরাও অনেক বেশি ঘাবড়ে যায়। কারণ ওই যে বললাম যে এমন একটা পরিবেশ সৃষ্টি করে, যে পরিবেশে মানুষ বিপদ থেকে মুক্তি পাওয়ার চিন্তা করা তো দূরে থাক। মানুষ ওই মানুষটিকে কিভাবে সামলাবে, সেটা চিন্তা করা শুরু করে এবং এভাবে করেই ওই মানুষগুলোর জন্য যতোটা না বিপদ, তার চেয়েও বেশি বেড়ে যায়। তাই যাদের প্যানিক করার অভ্যাস হয়েছে। তারা প্যানিক করবে এটা স্বাভাবিক। কিন্তু তাদের একটা কাজ অবশ্যই করা উচিত। সেটা হলো, যারা বিপদ মোকাবেলা করার চেষ্টা করছে। তাদের কথা শোনা উচিত এবং নিজেকে তাদের কথা শুনে একটি স্থির রাখার চেষ্টা করা উচিত।