দেশের শ্রমবাজারের উপর কুচক্রীদের কালো থাবা (প্রথম পর্ব)
বাড়তি এই টাকা জোগাড় করতে গিয়ে দেশের দরিদ্র মানুষজনের অনেকেই তাদের শেষ সম্বল ভিটেমাটিটুকু বিক্রি করে দিতো। আবার অনেকে চড়া সুদে ঋণ নিতো। কিন্তু মালয়েশিয়ায় বেতন খুব বেশি না হওয়ায় পরবর্তীতে তারা নান রকম ঝামেলার সম্মুখীন হোতো। বাংলাদেশ থেকে বেশ ভালো পরিমানে শ্রমিক প্রতিবছরই মালয়েশিয়ায় যেতো। কিন্তু এখন সেটা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেলো। যদিও এই ঘটনা এবারই প্রথম ঘটেছে তা নয়। এর আগেও একাধিকবার মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বাংলাদেশীদের জন্য বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো। তখনো এই কুচক্রী মহলই দায়ী ছিলো।
মানব পাচারকারী এই কুচক্রী মহল শুধু যে মালয়েশিয়া গামী শ্রমিকদের সাথে প্রতারণা করেছে তা নয়। তারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে লোক পাঠানোর কথা বলে দেশের মানুষের সাথে প্রতিনিয়তই প্রতারণা করে চলেছে। তাদের এই প্রতারণার কথা সবাই জানলেও এদের বিরুদ্ধে কখনোই তেমন শক্ত কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এর পেছনের মূল কারণ হচ্ছে এই কুচক্রী মহলের সাথে দেশের রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের একটা অংশ জড়িত। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা এই কুচক্রী মহলের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নেয়। যার ফলে এদের বিরুদ্ধে কখনোই কঠোর কোন ব্যবস্থা নেয়া হয় না। (চলবে)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
মানব পাচারকারী এই কুচক্রী মহলের কারণে কতো মানুষ যে নিঃস্ব হয়েছে, তার কোনো হিসাব নেই। এদের আসলে কঠোর শাস্তি হওয়া দরকার। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে এরা এমন জঘন্য অপরাধ করার পরেও, তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হয় না। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।