হাত বাড়িয়ে দেই
আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
আমরা যেহেতু মানুষ, যেহেতু অবশ্যই আমাদের কিছু আলাদা বৈশিষ্ট্য থাকা উচিত। এমন কিছু বৈশিষ্ট্য আমাদের থাকা উচিত। যে বৈশিষ্ট্য গুলো এই পৃথিবীর আর কোনো প্রাণীর মধ্যে থাকবে না। কারণ আমাদের যেমন একটি নিয়ন্ত্রিত মন রয়েছে। ঠিক তেমনটাই একটি নিয়ন্ত্রিত মস্তিষ্ক রয়েছে। অর্থাৎ আমরা চাইলেই কিন্তু পশু পাখির মতো হিংস্র হতে পারি কিন্তু আমার আমাদের নিয়ন্ত্রণ করার মতোন ক্ষমতা রাখি।মানুষের মধ্যে অনেক সময় অনেক ধরনের ওয়াইল্ড আচরণ হয়ে যায় কিন্তু সেটাকে আমরা দমিয়ে রাখি। কারণ আমরা খারাপ কোনো কিছু প্রকাশ করতে চাই না এবং খারাপ কোনো কিছু হোক সেটাও চাই না।
এতো কিছু কেনো বললাম, জানেন? এতো কিছু বললাম। কারণ, আমরা খারাপ কোনো কিছু করতে চাই না। আমরা মানুষ হিসেবে খারাপ কোনো কিছু করা উচিত না এটাও মানি।কিন্তু একটা ব্যাপারে আমরা অনেক বেশি দুর্বল। সেটা হলো কোথাও হাত বাড়িয়ে দেওয়ার ব্যাপারে। এটা কিন্তু খুব ভালো একটি কাজ। কারণ এটা একটি মনুষ্যত্বের ব্যাপার যে মানুষের মধ্যে মনুষত্ব রয়েছে, মানবতা রয়েছে, ভালোবাসা শ্রদ্ধা রয়েছে। সে কিন্তু সবসময় অন্যের বিপদে হাত বাড়িয়ে দেয়।
আমার আজকের লেখাটার একটা মাত্র উদ্দেশ্য। সেটা হলো আমরা যেনো মানুষের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা, আমাদের হাত বাড়িয়ে দেওয়াটাকে আরো প্রশস্ত করি। কারণ একটা মানুষ যখন কোনো কুল কিনারা পায় না। কোনো বিপদে পরে। তখন তার প্রয়োজন হয় একটি হাতের, একটি ভরসার হাত যে হাতটা আমরা বেশিরভাগ সময় বাড়িয়ে দিতে সংকোচ বোধ করি এবং সেটাকে অপ্রয়োজনীয়তা মনে করি। কেমন হয় বলুনতো? যদি আমরা মানুষ হিসেবে সকলে একে অপরের পাশে থাকি। সবসময় একে অপরের বিপদে ঝাঁপিয়ে পরি। কতোই না আনন্দ হতো, তাই না বলুন?আজকের লেখার একটা মাত্র উদ্দেশ্য হলো চলুন হাত বাড়িয়ে দেই মানবতার। যে মানবতা আমাদের মানুষ করে তুলেছে।
এখনকার সমাজের মানুষগুলো হয়ে গেছে স্বার্থপর। কেবলমাত্র নিজের চিন্তায় বিভোর থাকে। যার ফলে অন্য কাউকে বিপদে পড়া দেখলেও সহযোগিতার হাত বাড়াতে চায় না। কিন্তু এটা খুবই জঘন্যতম কাজ। আমাদের প্রত্যেকের উচিত অন্য কেউ বিপদে পড়লে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া উচিত ।সেই বিপদগ্রস্ত ব্যক্তির পাশে দাঁড়ানো উচিত। তবেই আশা করা যায় আমরা সমাজে সবাই মিলে আনন্দে জীবন কাটাতে পারবো।