লাইফ স্টাইল :- সুস্বাদু পেঁয়াজু খাওয়ার মুহূর্ত।

in আমার বাংলা ব্লগ13 days ago (edited)

আমি @tuhin002, আমি আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যগনকে আমার পক্ষ থেকে জানায় সালাম," আসসালামু আলাইকুম" সবাই কেমন আছেন ? আশা করি, মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহুর অশেষ রহমতে ভাল আছি। বর্তমান সময়ে যে আবহাওয়া চলছে তাতে মানুষের অসুখ হবে এটাই স্বাভাবিক। বিশেষ করে বাচ্চাদের অসুস্থতা হবার প্রবণতা খুব বেশি এবং অসুস্থ হয়েছে অনেক। আপনারা অনেকেই হয়তো জানেন রকি ভাই কয়েক মাস আগে আমাদের এখানে এসেছিল এবং তার সাথে আমরা বড়া খাওয়ার জন্য একটা জায়গায় গিয়েছিলাম। সেখানে যে পিয়াজু তৈরি হয় সেই পেঁয়াজু টা আমাদের এলাকার আমাদের অঞ্চলের বিখ্যাত। সেখানে আমি মুস্তাফিজুর কিবরিয়া এবং রকি ভাই এবং তার মেয়ে সেখানে গিয়েছেন এবং বেশ কিছু সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছিলাম সেটা আজ আপনাদের মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করছি। যাইহোক কথা না বাড়িয়ে তাহলে শুরু করা যাক আমার আজকের ব্লগ ...।


IMG_20241213_163027.jpg

আমরা সচরাচর একটা বিষয় সবাই জানি কোন না কোন অঞ্চল কোন না কোন জিনিসের জন্য বিখ্যাত থাকে। যদিও আমি যেটা বলেছিলাম এটা আমাদের বাংলাদেশের সর্ব অত্র জন্য তার। কিন্তু আমি আজকে আপনাদের সামনে যে পেঁয়াজুর কথা নিয়ে এসেছি এটা শুধু আমাদের অঞ্চলের বিখ্যাত। যদিও এর আগে আমার যাওয়া হয়নি রকি ভাই আসছিলা যে কারণে আমাদের সেখানে আরো যারা আগ্রহটা বেশি ছিল শুধু তাকেই এই সুন্দর পেঁয়াজু টা খাওয়ানোর জন্য। যখন আমরা বাড়ি থেকে বের হয়েছিলাম তখন মজার ব্যাপার হলো ভাইয়ের মেয়েটা খুব কাজ ছিল আমাদের সাথে যাওয়ার জন্য। আর একটা বিষয় না বললেই নয় ভাইয়ের মেয়েটাকে সাথে এতটাই ভাব হয়েছিল কিবরা যেখানে যায় সেখানে মেয়েটা যায়। যাহোক আমরা বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছিলাম সেখান থেকে আমাদের পেঁয়াজ অর্থাৎ যেখানে পেঁয়াজু টা তৈরি হয় সেখানে যেতে প্রায় পচিশ মিনিট সময় লাগছিল। আমরা যখন সেখানে পৌছালাম তখন আমরা শুনছি সেখানে তেমন আছে ভিড় নেই। আসলে আমরা বেশটুকু অগ্রিম গিয়েছিলাম তা না হলে সেখানে অনেক ভিড় হয় এবং এটা বেশ কঠিন হয়ে যায়। আমরা পুয়াজু জন্য বসে ছিলাম এবং কিবরিয়াকে পাঠিয়েছিলাম সেখান থেকে নিয়ে আসার জন্য। আসলে পেয়াজু খাওয়ার জন্য সেখানে তারা বেশ সুন্দর বলতে জায়গা করেছিল কয়েকটা চেয়ার ছিল সেখানেই বসেছিলাম ।

IMG_20241213_164130.jpg

আমরা সেখানে নামার পরে যে লোকটি পেঁয়াজু তৈরি করে আমরা তাদের পাশে একটু দিলাম এবং একটু দেখলাম আসলে সে কিভাবে তৈরি করে। আসলে পেয়াজ হলে পেয়াজ দিয়ে তৈরি তারা দেখলাম আমি লক্ষ্য করলাম সেই জিনিসটাই তারা করছে পুরোপুরি পিয়াজু দিয়ে তৈরি করছে এই পিয়াজু। তবে বলতে পারেন একটা জিনিস কিন্তু তারা ব্যতিক্রম সেটা হলো এই পেঁয়াজ এর মধ্যে তারা কিছু খাবার সোডা দিচ্ছে যেটা পেঁয়াজুকে বেশি মচমচে এবং বেশি ফুলতে সাহায্য করবে। একটু পেয়ে আসো তারপরও ভাজার মধ্যে কিছু গুণ থাকে যে বিষয়টি তার মধ্যে ছিল তা না হলে এত সুন্দর পেঁয়াজ ও তৈরি করাটা বেশ কঠিন। এখানে প্রতিদিন পেঁয়াজু খাওয়ার জন্য দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ আসে এবং প্রচুর পরিমাণে ভিড় জমায়। আসলে জিনিস যদি ভালো হয় তাহলে সবারই হয়ে থাকে এবং বিক্রয়ই অনেক বেশি হয়ে থাকে। ব্যবসা হলো হালাল সেই ব্যবসাটি যদি মানুষ ঠিকভাবে করতে পারে এখান থেকে জীবনে অনেক কিছু করতে পারে সে। আর এখানে সে যে ব্যবসাটি শুরু করেছে সেটা শুধু তার জন্য নয় পরবর্তীতে তার প্রজন্ম যদি মনে করে তার পিতার এই ব্যবসাটা ধরে রাখবে তাহলে সে কিন্তু অনেক দূরে এগিয়ে যেতে পারবে।

IMG_20241213_164118.jpg

IMG_20241213_162953.jpg

আমি দাঁড়িয়েছিলাম এবং তার এগুলো ভাষা দেখছিলাম আসলে পেঁয়াজের পাশাপাশি তিনি সিঙ্গারা বিক্রি করেন সিঙ্গারা গুলো খেতেও বেশ কিন্তু দারুণ। যদিও আমরা পেয়াজু খাওয়ার জন্য সেখানে গিয়েছিলাম তাই আমরা সিঙ্গারা নিয়েছিলাম না। কারণ প্রায় পনের বিশ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে সেখানে গিয়েছিলাম। তবে একটা বিষয় না বললেই নয় যে ব্যক্তি একশত গ্রাম পেঁয়াজু খেতে পারে সে অবশ্যই দুইশো গ্রাম বেয়াজু খেয়ে খাবে এখানে। পেঁয়াজগুলো এতটাই মচমচে এবং এতটাই সুস্বাদ না খেলে কাউকে এই সাধের কথা বলে বোঝাতে পারবো না। আর এই পিয়াজ ও ভাজার পরে পেঁয়াজের কালার টা দেখতেছেন কেমন গর্জিয়াস লাগছে সেই স্বাদ। সত্যি বলতে এই প্রিয়া যদি একবার খাবে সে বারবার সেখানে যাবে যদি সময় নাও থাকে তাও সে চেষ্টা করবে সময় বের করে এই পেঁয়াজ খাওয়ার জন্য। যারা আমার এই কথাগুলো পড়ছেন যদি আশপাশের কেউ হয় তারা অবশ্যই সেখানে একবার খায় খাওয়ার জন্য যাবেন। তবে এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদের আর একটা সংবাদ দেই আমাদের চুয়াডাঙ্গার জেলায় আর একটা জায়গা আছে সেখানে নাম আছে সরোজগঞ্জ ওই জায়গাটায় এক চার কেজি ওজনে পেঁয়াজু তৈরি করে সেই পেঁয়াজুটা নাকি খেতে আরো সুস্বাদু যদিও এটা আমার জানার বাইরে তারপরও আপনাদেরকে একটু জানিয়ে রাখলাম কারণ এটা তো আমি কখনো খাই নাই। তো যাই হোক আমি আজকে যে পেঁয়াজুটা খেয়েছি সে পেঁয়াজের সম্পর্কে আপনাদের মাঝে কিছু তুলে ধরলাম।


ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায় নিয়ে শেষ করছি। আল্লাহ হাফেজ।


আজ এই পর্যন্ত। সাথে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

ডিভাইস poco M2
লোকেশন https://w3w.co/register.learn.lessening


👨‍🦰আমার নিজের পরিচয়👨‍🦰


1666192548913_1666192548801_1666192548599_1666192548416_1666192548270_1666192548091_1666192547839_1666192547665_1666192022150.jpg

আমি আবুল বাশার খায়রুল আলম তুহিন। আমার জন্ম ১১ এপ্রিল ১৯৯৫ সালে। আমার বাসা মেহেরপুর জেলা,গাংনী থানা, জুগীর গোফা গ্রাম। আমি বিবাহিত। বর্তমানে আমার দুইটা পুত্র সন্তান আছে। আমি গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি রাজশাহী নিউ গভমেন্ট ডিগ্রী কলেজ থেকে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। এই ব্লগে কাজ করার মাধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়। আমি ছবি আঁকতে,গান গাইতে,কবিতা লিখতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। আর আমি স্টিমেটে জয়েন করেছি (২৭ - ০৬ - ২০২২) সালে। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।


Logo.png

(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )


4gZTTLyoV1msFb1u1BdB14ZHSP5sNg8hbP9cbJyTmUqfzLdXDsNijBKWNGJn5ogmozSiA7cyReMsKwomyC79dv8nHgZj3RKbXhPtULzHviAUBY9Vc8ousmvcnNywqK...hMHPzmtXdqcE25kuBukgtAciNVXSHonSRqmAmfHf9YgyuYwwZo1Nd9dUCogeVvSsKh3MRCxw1Khi2NyeZh4Rt4J9n7wTsZvJ1tiUMafwrMjZ5AQz2ERchsjjJv.png

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 13 days ago 

ভাই এবং ভাইয়ের মেয়ে এবং অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে আপনি অনেক বেশি আনন্দ করেছেন। আসলে এই ধরনের আপন মানুষগুলোকে নিয়ে কোন কিছু খেতে গেলে অনেক বেশি ভালো লাগে। আর এই পেঁয়াজু স্বাদ আমার কাছে খুব ভালো লাগে।

 13 days ago 

একত্রে কোথাও ঘুরাঘুরি ভীষণ মজার। আর যদি সেখানে খুব নিজের প্রিয় খাবার খাওয়া যায় তাহলে তো আরো বেশি ভালো লাগে।

 13 days ago 

একসাথে প্রিয় সব মুখ দেখে খুব ভালো লাগলো। আসলে শীতের সকালে বা, সন্ধ্যায় গরম গরম পেঁয়াজু খেতে সত্যি খুব ভালো লাগে। সবাই মিলে গল্প করতে করতে পেঁয়াজু খাওয়ার মজাটাই অন্যরকম হয়ে থাকে। সবাই খুবই সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। পেঁয়াজু খাওয়ার অনুভূতি শেয়ার করার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই ভাই।

 12 days ago 

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

 12 days ago 

পিঁয়াজু খাওয়ার সুন্দর মুহূর্তটা সবার মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লাগলো। আমার কাছে তো অনেক ভালো লেগেছিল ঐদিন। সবাই মিলে একসাথে বসে খাওয়ার কারণে একটু বেশি ভালো লেগেছে। এরকম সময় গুলো সত্যি অনেক বেশি আনন্দদায়ক হয়ে থাকে। স্মৃতিগুলো মনে পড়ে গেল আবারো।

 12 days ago 

তবে একটা কথা সত্য কিছু স্মৃতি থাকে যেগুলো ভোলা যায় না। আর এসব স্মৃতির কোন সব সময় নিজেকে আঁকড়ে ধরে রাখে।

 12 days ago 

শীতের সকালে বা সন্ধ্যায় গরম গরম পেঁয়াজু খাওয়ার অনুভূতি সত্যিই অপরিসীম। যখন সবাই একসাথে বসে গল্প করতে করতে পেঁয়াজু খাওয়া হয়, তখন সেই মুহূর্তটা যেন আরও বিশেষ হয়ে ওঠে। পেঁয়াজুর গরম, খাস্তা ও মসলা ঝরানো স্বাদ আমাদের সবার মনের মাঝে এক সুখকর অনুভূতি তৈরি করে। এমন সময়ে হাসি-খুশিতে ভরা মুহূর্তগুলো খুবই প্রিয় হয়ে থাকে। এই অসাধারণ অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাইয়া, সত্যিই আনন্দের।

 12 days ago 

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য।

 12 days ago 

বাহ্ সকাল সকাল আপনাদের পিঁয়াজু খাওয়ার মুহূর্ত দেখে তো আমারও পিয়াজু খেতে খুব ইচ্ছে করছে। বিশেষ করে পিয়াজুগুলো দেখতে অনেক লোভনীয় লাগছে। তাছাড়া আপনারা সকলে অর্থাৎ আমার বাংলার ব্লগে সব সদস্যরা মিলে একসাথে বেশ ভালোই মজা করে পেঁয়াজ খেলেন এবং সেই মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন সেজন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

 12 days ago 

পেঁয়াজু গুলো দেখতে যেমন লোভনীয় খেতেও তেমন ভীষণ সুস্বাদু ছিল।

 12 days ago 

এই জায়গাতে আমরা ঐদিন যে পেঁয়াজুটা খেয়েছিলাম সেটা আসলেই অনেক লোভনীয় ছিল। বর্তমান সময়ে এটা আমাদের এলাকার জনপ্রিয় একটা পেঁয়াজুর দোকান। যখন ইচ্ছা হয় আমরা মাঝে মাঝেই এখানে খেতে চলে যাই।

 12 days ago 

এটা ঠিক এই পেঁয়াজু এখন আমাদের এলাকার সবথেকে জনপ্রিয় একটি পিয়াজু।