লাইফ স্টাইল :- হঠাৎ রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে।
আমি @tuhin002, আমি আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যগনকে আমার পক্ষ থেকে জানায় সালাম," আসসালামু আলাইকুম" সবাই কেমন আছেন ? আশা করি, মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহুর অশেষ রহমতে ভাল আছি। বর্তমান সময়ে যে আবহাওয়া চলছে তাতে মানুষের অসুখ হবে এটাই স্বাভাবিক। বিশেষ করে বাচ্চাদের অসুস্থতা হবার প্রবণতা খুব বেশি এবং অসুস্থ হয়েছে অনেক। কয়দিন আগে রূপপুরে গেছিলাম। যাইহোক কথা না বাড়িয়ে তাহলে শুরু করা যাক আমার আজকের ব্লগ ...।
পাবনা রুপপুর বর্তমানে বাংলাদেশের একটা বিখ্যাত জায়গা বলা যায়। পাবনা বা ঈশ্বরদীতে যাওয়ার পথে সবারই চোখে পড়বে এই রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। আসলে না দেখলে কেউ বিশ্বাস করবেন না আমি প্রথম গিয়েছি এবং দেখেছি তার চারপাশে এত পরিমাণ সাইকেল এবং মোটরসাইকেল আমি প্রথম দেখি তো হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম। এর অর্থ হলো এখানে যতগুলো সাইকেলের মোটরসাইকেল ছিল তার থেকেও বেশি মানুষ এখানে কাজ করে। রুপপুর পারমানিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র খুব বেশি কাছ থেকে দেখার সুযোগ হয়নি তারপরও অনেকটা কাছেই গিয়েছিলাম। হয়তোবা আমার কাছ থেকে ১৫ থেকে ২০ ফুট দূরে। বেশি সময় সেখানে দিতে পারেনি কারণ নিজের একটা প্রয়োজনীয় কাজে গিয়েছিলাম তারপরও যতটুকু দেখেছি বেশ ভালো লেগেছিল। ভিতরে কি অবস্থা সেটা যদি নিজের চোখে দেখতে পারতাম তাহলে বেশ ভালো লাগতো যদিও বাইরে থেকে দেখেছি। হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ টাকা এখানে ব্যয় করেছে। আর এর উপর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র শুধু মানুষের প্রয়োজনের জন্য তৈরি হয়েছে সেটাও না এখানে অনেক মানুষের শ্রমজীবী মানুষ যারা তাদের আহার এখান থেকেই করে থাকে। তবে এখানে একটা মজার বিষয় হল যদি আপনারা যান দেখবেন অনেক রাশিয়ান এখানে কাজ করছে। বিদেশিদের এই চলাফেরা দেখলে মন হবে যেন এক টুকরো বিদেশ।
আমি যখন ঈশ্বরদীতে পৌঁছায় তার কিছুক্ষণ পরে খেয়াল করলাম একটা মিল। আসলে এই মিলের কারখানার এই বিষয়টা আমি এর আগেই আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করেছিলাম। সেখানে কিছু অংশ আপনাদের মাঝে তুলে ধরেছি আজকে শেষ অংশটুকু আপনাদের মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করছি। দেখলাম সেখানে একটা করিমন গাড়িতে পালিশ বোঝাই হচ্ছে। আসলে যে যখন যে কাজে ব্যস্ত থাকি তখন সেই কাজ নেই একটু পড়ে থাকার চেষ্টা করি। যেহেতু মাছের চাষ করি পালিশ আমাদের দরকার হয় তাই একটু মনের মধ্যেই কোলাহল জাগলো দেখি ভিতরে ঢুকে। সেখানে গিয়ে বেশ কিছু স্বচক্ষে দেখলাম তারা এটা এগুলো কিভাবে তৈরি করে এবং কিভাবে কি করে। দেখলাম তিনজন ভাই এখানে পালিশ গুলো গাড়ি লোড দিচ্ছে তাদেরকে জিজ্ঞাসা করলাম এই সম্পর্কে। তারা আমাকে বলল ভাই আমরা এত কিছু জানি না আমাদের যে কাজ সেটাই করে থাকে যা কথা বলার দরকার ভিতরে ম্যানেজার রয়েছে তার সাথে কথা বলেন। যেমন কথা তেমন কাজ কোন কথা না বাড়ি ভিতরে মধ্যে প্রবেশ করলাম এবং ম্যানেজারের সাথে দেখা করলাম।
বিশাল কারখানা মিল যাকে বলে মিলের মধ্যে প্রবেশ করতে দেখলাম যে বিশাল বড় চালের পট্টি। এসব চালগুলো তৈরি হয় এই বিশাল মিলে। তবে ভিন্ন ভিন্ন ধরনের বস্তা দেখেছিলাম আর বস্তা দেখে বুঝতে পারছিলাম যেখানে ভিন্ন ভিন্ন সাউন্ড তৈরি করা হয়ে থাকে। আমাদের শহর অঞ্চলে দেখবেন যে সব চাউলের বস্তা গুলো পাওয়া যায় এসব চালের অধিকাংশ এইখান থেকেই আসে। ভেতরে গিয়ে ম্যানেজারের সাথে দেখা করলাম এবং তার কাছে বিভিন্ন পালিশ এবং চাউল সম্পর্কে তাকে জিজ্ঞাসা করলাম এবং জানার চেষ্টা করলাম। আসলে এই স্থানভেদে এসব জিনিসের দাম হয়ে থাকে যদি দূর থেকে কোন জিনিস আপনি নিয়ে আসেন তাহলে তার পরিবহন খরচটা একটু বেশি হবে এটা স্বাভাবিক কিন্তু জিনিস ভালো হবে। এক একটা জায়গায় এক একটা জিনিস পাওয়া যায় আর এই জিনিসগুলো কিন্তু সত্যিই অসাধারণ হয়ে থাকে। ঠিক যেমন খাজানগরে পালিশের থেকেও এই খান কর পালিশ অনেক ভাল হবে এটা স্বাভাবিক যদিও পরিবহন কস্ট একটু বেশি।
আর একটা বিষয় হয়তো বা আপনাদেরকে বলা হয়নি সেটা হল এই যে বিশাল চালের বস্তা গুলো দেখছেন এগুলো কিন্তু তারা দিনের দিন বাজারে বিক্রি করে দেয়। তাহলে বুঝতে হবে এরা প্রতিদিন কত টন চাউল উৎপাদন করে থাকে। শুধু এটাই শেষ নয় এই চাউল তৈরি করতে গিয়ে চাউলের যে কুড়া তৈরি হয় কুড়া থেকেই কিন্তু তারা এই পালিশটা তৈরি করে যার জন্য পালিশের দামটা একটু বেশি। ভালো জিনিসের সব সময় কদর একটু বেশিই থাকে যদিও তার দাম বেশি থাকে কিন্তু বাড়তে একটা কদর তা থেকেই যায়। আমি চাউল গুলো একটু তর্ক করে দেখলাম দেখলাম চাউল গুলো কিন্তু বেশ সুন্দর। আর একটা বিষয় দেখলাম এখানে দাম কিন্তু অন্য জায়গা থেকে অনেকটা কম। মনে মনে একটা জিনিস ভাবলাম চাউলের ব্যবসা করলে হয়তো বা এখান থেকে চাউল নিয়ে যাওয়া যায়। পরিবহন খরচ বেশি হলেও দেখা যায় সর্বসাকুল্যে এই সমস্ত বাজারে যে চাউলের দাম পাওয়া যায় তার থেকেও অনেকটা কমই পাওয়া যায়। যাহোক সব মিলে এখানে বেড়াতে আমার ভীষণ ভালো লেগেছিল। আরে ভালো লাগাটাই আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম ধন্যবাদ।
ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায় নিয়ে শেষ করছি। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
আজ এই পর্যন্ত। সাথে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
ডিভাইস | poco M2 |
---|---|
লোকেশন | https://w3w.co/register.learn.lessening |
👨🦰আমার নিজের পরিচয়👨🦰
আমি আবুল বাশার খায়রুল আলম তুহিন। আমার জন্ম ১১ এপ্রিল ১৯৯৫ সালে। আমার বাসা মেহেরপুর জেলা,গাংনী থানা, জুগীর গোফা গ্রাম। আমি বিবাহিত। বর্তমানে আমার দুইটা পুত্র সন্তান আছে। আমি গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি রাজশাহী নিউ গভমেন্ট ডিগ্রী কলেজ থেকে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। এই ব্লগে কাজ করার মাধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়। আমি ছবি আঁকতে,গান গাইতে,কবিতা লিখতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। আর আমি স্টিমেটে জয়েন করেছি (২৭ - ০৬ - ২০২২) সালে। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness

OR
https://x.com/ABashar45/status/1878456905548603887?t=KFOQwvL88ehOrEVpuGaN2w&s=19
ভালো লাগলো আপনি আজকে খুব সুন্দর একটি ব্লগ শেয়ার করলেন। রংপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে গেলেন আপনি। সেখানে যেয়ে আপনি বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়ে গেলেন। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বুঝতে পারছি খুব সুন্দর একটি জায়গা। আপনার আজকের ব্লগটি পড়ে ভীষণ ভালো লেগেছে।
একে আপনার ভালো লেগেছে জেনে বেশ ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে।
রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র আমার এখনো যাওয়া হয়নি। কুষ্টিয়া থেকে মাত্র ৪০ টাকা ভাড়া লাগে এতটুকু পথ তাও যেতে পারিনি এখনো। একবার ট্রেন করে আসার সময় দেখেছিলাম রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। আপনি দেখছি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে গিয়ে খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন। সেখান থেকে চাউলের পট্টিতে গিয়েছেন দেখছি। খুব সুন্দর ভাবে বিস্তারিত বর্ণনা করে সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
যেতে পারেননি তাতে কি হয়েছে একদিন অবশ্যই যেতে পারবেন। তবে জায়গাটা কিন্তু খুব দেখার মতো এবং অনেক সুন্দর।
ভাইয়া আপনি আপনার প্রয়োজনীয় কাজে গিয়ে রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ফটো ধারণ করেছেন দূর থেকে হার সে সম্পর্কে সুন্দর পোস্ট উপস্থাপন করেছেন পাশাপাশি চাউল-পট্টি দেখে তো অবাক হয়ে গেলাম। প্রতিনিয়ত অনেক চাল উৎপাদন ও বাজারজাত কারণ। আমিও একদিন দেখেছি রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ওখানে প্রচুর সাইকেল মোটরসাইকেল থাকে। অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া আপনার সুন্দর এই পোস্টটা দেখে। অনেক কিছু দেখারও জানার সুযোগ পেলাম।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য।