আর্জেন্টিনার খেলা মানে একটা উত্তের জন্য পূর্ণ মুহূর্ত। কারণ সারা বিশ্বে এই দলের সমর্থকের সংখ্যা অনেক। এইতো গত সপ্তাহে আর্জেন্টিনা বনাম বলিভের মধ্যকার একটা ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়ে গেল। যদিও এটি ল্যাটিন আমেরিকার বাছাই পর্ব বিশ্বকাপের। এই খেলায় বলিভিয়া আর্জেন্টিনার কাছে ৬-০ গোলে হেরে যায়। খেলা শুরুতেই দেখা যায় মেসির দাপট। প্রথমের দিকে আলতো করে একটা বল পাই সে বলটা একাই নিয়ে গোল করে আসেন। প্রথম শুরুতে তার প্রথম গলে আর্জেন্টিনা এক শূন্য গোলে লিড পায়।

যখন খেলা দেখছিলাম তখন একটা বিষয় ভাবছিলাম যে এই বয়সে এত ভালো কিভাবে করে। দেখতে দেখতে হঠাৎ করে একটা বল তার কাছে আবারও আসে। যারা খেলা দেখেছেন তারা হয়তোবা জানেন প্রথম গোলটি যতটা সহজ দিত গোলটি তার থেকেও বেশি সহজ ছিল। কিন্তু মেসি এমন একটা প্লেয়ার যে গোল করতে যেমন ভালোবাসে অন্যকে গোল করাতেও সে ভীষণ ভালোবাসে। যে গোলটি ২ থেকে তিন সেকেন্ড আগে গোল হয়ে যাবে সেই গোল তিনি নিজে না করে লাও তার ও লাউতারো মার্টিনেজকে দিয়ে গোলটি করে। অবশ্য এগুলোর কৃতিত্ব পুরোটাই সে মেসিকেই দিয়েছে।

বলা যেতে পারে প্রথম থেকেই তারা বেশ চাপে রেখেছিল আর্জেন্টিনা বলে বিয়াকে কারণ নিজের দেশের মাটিতে প্রায় 333 দিন পরে তারা খেলছে।হাফ টাইমের প্রায় শেষের দিকেই চলে এসেছে একটা সেট পিস পাই। সেখান থেকে ফ্রি কিকের মেসি আলভারেজকে লক্ষ্য করে বল দেয় আর আলভারেজ ঠিকই সেটাকে গোলে পরিণত করেন। খেলার হাফ টাইম শেষ আর এই হাফটাইমের মধ্যেই আর্জেন্টিনা ৩-০ গোলে এগিয়ে যায়। এখানে একটা কথা বলে রাখি তিনটা গোলের সাথে জড়িত আছে মেসি নিজে একটা করেছেন দুইটা গোল করিয়েছেন।

হাফ প্রেমের প্রায় মাঝে মাঝে খেলা শেষের দিকে ঠিক এমন সময় আলমাদা বদলি প্লেয়ার হিসেবে মাঠে নামেন। মাঝমাঠ থেকে বলপাই মলিনা মলিনা বলটি ক্রস করে ডি বক্সের মধ্যে ফেলে দেয়। আর এই দলটির দূর থেকে দৌড়ে এসে আলমাদা গোল করতে একটুও ভুল করে নাই । এই বলে সুবাদে গোল সংখ্যা দাঁড়ায় চার। আর্জেন্টিনার মাটিতে বলিভিয়া যেন একপ্রকার দেশেহারা হয়ে পড়েছে তারা তেমন কোনোভাবেই কোন সময় তারা সুযোগ তৈরি করতে পারে নাই। কিন্তু বলিভিয়া কিন্তু একটা বিষয়ে আপনারা জানেন হয়তোবা তারা নিজের মাঠে কিন্তু খুবই শক্তিশালী।

দিতো হাতের খেলা প্রায় শেষের দিকে হয়তোবা এক্সট্রা টাইম মিলে মোটে দশ মিনিট খেলা রয়েছে। ঠিক সেই সময় শুরু হয় আবারও মেসির তাণ্ডব। একা গল্পের ডিবক্সের মধ্যে ঢুকে যায় এবং সে তার দ্বিতীয় তম গোলটি করেন এবং এই গোলটি তিনি ডান পায়ে দিয়ে করেন। আসলে সে বাম পায়ে দিয়ে খেলে সুতরাং তা ডান পায়ে মাঝেমধ্যে গোল গুলো দেখতে ভীষণ ভালো লাগে আর এই গোলটি ছিল ভীষণ চমৎকার একটি গোল। এই গোলের বিনিময়ে তারা যেমন পাঁচ গোলে এগিয়ে গেল ঠিক তেমনি আর্জেন্টিনা মেসির দুই গোল দুই এসিস্ট করে নিল।

মেসি তার দ্বিতীয় গোল করা ঠিক এক মিনিটের মধ্যে আবারও একটা গোল। খেলায় যখন সবকিছুই হচ্ছে তখন তার ঠিক না হলে কি আর হয়। আর সেই কাজটি করে বসলো ফুটবলের বল পুত্র যিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ পিলার হিসেবে এখন বর্তমানে মনোনীত। মেসি তার তিন নম্বর গোলটি নিজের একক প্রচেষ্টায় তিনি গোল করেন। আজকের খেলায় তার রেটিং ছিল ১০ এ ১০ । একটা বিষয় ভাবা যায় জায়ের বয়স ৩৭ বছর আর এই বয়সে এসে একজন ২৫-২৬ বছর বয়সের তরুণের মতো খেলে যাচ্ছে। তাই বলতেই হয় 37 বছরের মেসিতে বিধ্বস্ত বলিভিয়া।

আমি আবুল বাশার খায়রুল আলম তুহিন। আমার জন্ম ১১ এপ্রিল ১৯৯৫ সালে। আমার বাসা মেহেরপুর জেলা,গাংনী থানা, জুগীর গোফা গ্রাম। আমি বিবাহিত। বর্তমানে আমার একটা পুত্র সন্তান আছে। আমি গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি রাজশাহী নিউ গভমেন্ট ডিগ্রী কলেজ থেকে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। এই ব্লগে কাজ করার মাধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়। আমি ছবি আঁকতে,গান গাইতে,কবিতা লিখতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। আর আমি স্টিমেটে জয়েন করেছি (২৭ - ০৬ - ২০২২) সালে। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।