স্পোর্টস রিভিউ :- রাজশাহী ও সিলেটের টি-টোয়েন্টি ম্যাচ।
আমি @tuhin002, আমি আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যগনকে আমার পক্ষ থেকে জানায় সালাম," আসসালামু আলাইকুম" সবাই কেমন আছেন ? আশা করি, মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহুর অশেষ রহমতে ভাল আছি। আজকে আমি খেলাধুলা বিষয় সম্পর্কে আপনাদের সামনে একটি পোস্ট শেয়ার করতে যাচ্ছি।
খেলার রিভিউ।
খেলা প্রথম দিক থেকে তারা যেন বেশ ভালো মতই খেলছিল। তাদের খেলার পরিস্থিতি দেখে বোঝা যাচ্ছিল যে তারা বেশ ভালো কিছু করবে। রাজশাহী প্লেয়ারগুলো বেশ মোটামুটি ভালোই সবাই খেলছে। তাদের বেশ ভালো কিছু প্লেয়ার রয়েছে এর মধ্যে রেনবো বেশ ভালো ব্যাটিং করছে প্রত্যেকটা ইনিংসে। আসলে ক্রিকেট খেলা হলো সমন্বিত খেলার আবার একজনও কিন্তু খেলার গেম চেঞ্জ করে দিতে পারে। তাদের খেলা পরিস্থিতি দেখে বোঝা যায় তারা আর প্রায় দুইশোর উপরে পড়বে।
তারা প্রথমে যে খেলাটা করছিল তাতে মনে হয়েছিল তার অনেক দূর এগিয়ে যাবে কিন্তু মাঝখানে কিন্তু তারা বেশি রান করতে পারে নাই। তারপরও তারা যা করেছে যথেষ্ট কারণ তাদের বোলিং না এটা বেশি স্ট্রং। বিশেষ করে তাজকির আহমেদ যেভাবে ফর্মে আছে তাতে বোঝা যাচ্ছে এ রান তাদের জন্য কঠিন হয়ে যাবে। তবে সিলেটের অবস্থা খুব ভালো নয় তাতে বোঝাই যাচ্ছে যে রাজশাহী এখানে জিতে যাবে।
ক্রিকেট খেলার একটা বৈশিষ্ট্য রয়েছে যদি প্রথম দিকে যদি উইকেট পড়ে তাহলে সে দলটা বেশ পিছিয়ে পড়ে। সিলেটের প্লেয়াররা প্রথম দিকে দুইটা উইকেট হারিয়ে ফেলে আর এই কারণেই তারা কিন্তু বেশি আগাতে পারে না পঞ্চাশের উর্ধে রান করতে গিয়েই তাদের চার উইকেট হারিয়ে ফেলে। আমি আগেই বলেছি দুর্বার রাজশাহী তাদের বোলিং লাইনটা বেশ পক্ত। আর এই কারণেই যে রানে টার্গেট দিয়েছে এই রানটা তাদের জন্য অনেক কঠিন হয়ে পড়বে এবং অলরেডি কঠিন হয়ে পড়েছে।
দেখতে দেখতে তাদের উইকেট পড়ে যায় ছয়টা। এখনো অনেক রানের প্রয়োজন তাতে বোঝা যাচ্ছে আর অল পরানের মধ্যেই কিন্তু অলআউট হয়ে যাবে। আসলে ঠিক রকম যদি ক্রিযে না দাঁড়ানো যায় বল যদি না খেলে যায় তাহলে তো রান আসবেন এটাই স্বাভাবিক আর এই বিষয়টাই সিলেটের বারবার ঘটছে। ক্রিকেট খেলে একজন প্লেয়ার গেম চেঞ্জ করে দিতে পারে কিন্তু সেই গেম চেঞ্জার পেলেয়ার এদের নাই। আর এই কারণে তারা প্রতিদিন প্রতি ম্যাচে ফ্লপ করছে অর্থাৎ তারা কোনোভাবেই পেরে উঠছে না।
বিশ ওভারে খেলায় যদি শেষ পর্যন্ত না খেলতে পারে তাহলে তাদের অবস্থা কেমন বুঝতে পারছেন। মাত্র 119 সালেই তারা অলআউট হয়ে গেছে। শেষের দিকে জাকির হোসেন যদি তার এই খেলা না খেলতো তাহলে কিন্তু এ পর্যন্ত তারা পৌঁছাতে পারত না। আমি তো আগেই বলেছি ক্রিকেট খেলা কিন্তু একজনই গেম চেঞ্জ করে দিতে পারে কিন্তু সেই লোকটা কিন্তু সিলেট স্ট্রাইকার্সের নাই। আর এই কারণে কিন্তু তারা বারবার হেরে যাচ্ছে আমি যতগুলো ম্যাচ দেখেছি প্রত্যেকটা খেলায় দেখেছি জাকির হোসেন তার নিজের সহজসুলভ খেলাটাই খেলে গেছে।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | স্পোর্টস |
---|---|
ডিভাইস | poco M2 |
স্ক্রিনশট সোর্স | Rabbidhobld sports |
লোকেশন | মেহেরপুর |
সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায় নিয়ে শেষ করছি। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
👨🦰আমার নিজের পরিচয়👨🦰
আমি আবুল বাশার খায়রুল আলম তুহিন। আমার জন্ম ১১ এপ্রিল ১৯৯৫ সালে। আমার বাসা মেহেরপুর জেলা,গাংনী থানা, জুগীর গোফা গ্রাম। আমি বিবাহিত। বর্তমানে আমার দুইটা পুত্র সন্তান আছে। আমি গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি রাজশাহী নিউ গভমেন্ট ডিগ্রী কলেজ থেকে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। এই ব্লগে কাজ করার মাধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়। আমি ছবি আঁকতে,গান গাইতে,কবিতা লিখতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। আর আমি স্টিমেটে জয়েন করেছি (২৭ - ০৬ - ২০২২) সালে। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আসলেই ক্রিকেট খেলায় মোড় ঘোরানোর জন্য একজন খেলোয়ারই যথেষ্ট। কিন্তু সিলেট সেই একজনকেই বের করতে পারল না। যথারীতি ম্যাচটা জিতে বেরিয়ে গেল রাজশাহী। বেশ ভালো রিভিউ দিয়েছেন।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ গঠনগুলো মন্তব্য করার জন্য।