লাইফ স্টাইল :- লালনশাহের মাজারে কিছুক্ষণ। পর্ব :১
আমি @tuhin002, আমি আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যগনকে আমার পক্ষ থেকে জানায় সালাম," আসসালামু আলাইকুম" সবাই কেমন আছেন ? আশা করি, মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহুর অশেষ রহমতে ভাল আছি। বর্তমান সময়ে যে আবহাওয়া চলছে তাতে মানুষের অসুখ হবে এটাই স্বাভাবিক। বিশেষ করে বাচ্চাদের আপনাদের মাঝে তুলে ধরবো যাইহোক কথা না বাড়িয়ে তাহলে শুরু করা যাক আমার আজকের ব্লগ ...।
আজকের পোষ্টের টাইটেল দেখে হয়তো বা আপনার বুঝতে পেরেছেন আজকে আমি আপনাদের মাঝে কি শেয়ার করতে যাচ্ছি। কয়েক মাস আগে আমি গিয়েছিলাম কুষ্টিয়া লালন শাহের মাজারে। মজার ব্যাপার হলো আমি এই পর্যন্ত সেখানে আমার যাওয়া হয়নি অর্থাৎ এ ধরনের জায়গা গুলোকে আমি পছন্দ করিনি যেটা এক কথায় বলা যায়। যদিও এই কুষ্টিয়া লালন শাহের মাজার এটা কিন্তু খুব একটা আলোর আলোচনা মুখর একটা জায়গা। অনেক দূর দূরান্তের মানুষ এখানে আসে এই লালের মাজার দেখতে এবং যেদিনকে এখানে লালন শাহের জন্মদিন এবং মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এখানে বিশাল কিছু বলে হয় এটা আমি শুধু শুনেছি কখনো চোখে দেখি নাই। তবে মজার ব্যাপার হলো আমি ইচ্ছা করলেই কিন্তু দিনের বেলায় যেতে এবং দিনের বেলায় আসতে পারে কিন্তু এই যে আপনাদের বললাম এই জায়গাটা আমার পছন্দ না তাই আমি আমার এই পর্যন্ত যাওয়া হয়নি। এখন কথা হলো তাহলে আমি সেখানে কি করতে গিয়েছিলাম আসলে আমার একটা কাজ বেঁধে ছিল আমি নিজেও জানিনা এই পাশ দিয়ে এই লাঞ্চের মাজার রয়েছে ।যখন আমি প্রথম গেট দিয়ে ঢুকছিলাম হঠাৎ মাথার উপরের দিকে তাকালাম দেখলাম লেখা আছে মানুষ ভোজলে সোনার মানুষ হবি।
আমি গেট দিয়ে ঢুকে ভেতরে প্রবেশ করলাম সামনে গিয়ে দেখি বেশ বড় একটি মাজার মাজারের দিকে লক্ষ্য করার আগে দেখলাম মাজারের পাশ দিয়ে একটা মেয়ে হেঁটে যাচ্ছে। এখানে যে ফটোগ্রাফি টা আপনারা দেখছেন এখানে একটি মাজার এবং সামনে দিয়ে শাড়ি পড়ে খোলা চুল মিলিয়ে একটা মেয়ে হেঁটে যাচ্ছে। যদিও আমি ইচ্ছা করে ছবিটি তুলিনি কিন্তু আসলে ক্যামেরা বন্ধ হয়ে গেছে কিন্তু যখন দেখলাম তখন মনে হল গ্রামের মেঠো পথে হেটে যাওয়া নারীরা যারা শাড়ি পড়ে চুল খোলা অবস্থায় চলে ঠিক এমন একটা দৃশ্যের কথা মনে পড়ল। যাইহোক এখানে অনেক দর্শনধারী লোকেরা এখানে এগুলো দেখার জন্য আসে। আরেকটি বিষয়ে আমার চোখে পড়ল আমি যখন যাই ঠিক তখন আমার ডান হাতের এক মুরুব্বি মানুষ মাথার চুল দাড়িগুলো পেকে গেছে চুলগুলো বড় বড় দাড়িগুলো বড় বড় আমাকে দেখে হাত দিয়ে সালাম যেভাবে দেয় ঠিক তেমন একটা আদব দিল আমার সামনে। আসলে আমার সামনে দিলেও বলে ব্যাপারটা এমন নয় সেখান থেকে যে যায় তার সামনে তারা এমনই একটা আদবের আচরণ করে থাকে। এছাড়াও দেখলাম অনেকজনে এমন ধরনের মানুষ রয়েছে যারা একই সাজে সজ্জিত।
আপনি যখন লালন শাহের গেট দিয়ে যখন আপনি মাজারের মধ্যে ঢুকবেন দেখবেন মাজারটা কিন্তু গেট থেকে বেশ খানিক দূরে এবং দুই পাশে খুবই চমৎকার সুন্দরভাবে গাছ লাগানো আছে। এই গাছের মাথাগুলো সুন্দরভাবে সেটে দিয়েছে। এক কথায় এই পরিবেশটাকে সুন্দর করার জন্য যা কিছু করার দরকার এখানে কিন্তু তারা সেই ভাবেই তৈরি করেছে। করে দেখলাম পরিবেশটা বেশ নিরব। তবে এটা যেহেতু আমার প্রথম যা তাই আমার কল্পনাতে কিন্তু এ জায়গাটা আরো ভিন্নতা ছিল অর্থাৎ আমি মনে করতাম এই জায়গাটা অনেক কলহ পূর্ণ জায়গা কিন্তু দেখলাম যে না অনেক নিরব নিস্তব্ধ একটা সুন্দর মনোরম পরিবেশের মধ্যে দিয়ে এই জায়গাটি। তবে এটা ঠিক যখন লালনের আক্রা শুরু হয় অর্থাৎ তাদের যে অনুষ্ঠান শুরু হয় সেই সময় হয়তোবা আমি দেখি নাই কিন্তু শুনেছি খুবই জাঁকজমকপূর্ণ একটা সময় ওই সময়টা। হয়তোবা এই বর্ণনাটি আমার থেকেও আপনাদের মধ্যে যারা সেখানে গিয়েছেন এবং সেখানে দেখেছেন তারা হয়তো বেশি ভালো জানেন। আসলে ছোটবেলা থেকেই আমি এগুলোকে পছন্দ করি না এখন পর্যন্ত এগুলো আমি পছন্দ করি না।
এটি হল ভিতরে ঢোকার গেট সংলগ্ন ঢুকে একটু ডান হাতের এই জায়গাটি এখানে মাঝে মাঝে কিছু মানুষ হয়তো বা তাদের জীবিকার জন্য কোন কিছু বিক্রি করতে আসে এখানেও এই লোকটি এটাই করতে এসেছে। আর একটা বিষয় দেখলাম কুষ্টিয়া যে কুলফি মালাই এটাও কিন্তু এখানে বিক্রি করে থাকে আসলে কম বেশি কিছু না কিছু মানুষ প্রতিদিন এখানে আসে তাই জীবিকার জন্য একটা ভালো স্থান এটা। আসলে আমি এখানে স্থান ব্যবস্থা করলাম এই কারণে এখানে মানুষ আসে তাই কিন্তু জীবিকা তো সে দেয় না জীবিকা সৃষ্টিকর্তার মধ্যে থেকেই আসে। সেখানে আমি বেশ কিছু সময় কাটিয়েছি সেই সময় কাটানোর কিছু অংশ আজকে আমি আপনাদের মাঝে তুলে ধরলাম। এখানে আমি অল্প কিছু সময় কাটালে ও অনেকগুলো ছবি এখানে আমি তুলেছি এই ছবিগুলো আমি প্রতি সপ্তাহে আমি আপনাদের মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করব এবং কোথায় কোন জায়গায় কি রয়েছে সেই সমস্ত ব্যাপারে বিস্তারিত না হলেও যতটুকু আমার জানা এবং দেখেছি সেই সম্পর্কে আপনাদের মাঝে আলোচনা করবো।
ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায় নিয়ে শেষ করছি। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
আজ এই পর্যন্ত। সাথে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
ডিভাইস | poco M2 |
---|---|
লোকেশন | https://w3w.co/undivided.disbelief.objectively |
👨🦰আমার নিজের পরিচয়👨🦰
আমি আবুল বাশার খায়রুল আলম তুহিন। আমার জন্ম ১১ এপ্রিল ১৯৯৫ সালে। আমার বাসা মেহেরপুর জেলা,গাংনী থানা, জুগীর গোফা গ্রাম। আমি বিবাহিত। বর্তমানে আমার দুইটা পুত্র সন্তান আছে। আমি গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি রাজশাহী নিউ গভমেন্ট ডিগ্রী কলেজ থেকে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। এই ব্লগে কাজ করার মাধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়। আমি ছবি আঁকতে,গান গাইতে,কবিতা লিখতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। আর আমি স্টিমেটে জয়েন করেছি (২৭ - ০৬ - ২০২২) সালে। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness

OR
https://x.com/ABashar45/status/1890660022058688980?t=Ue192VbyUqHo0azGcHyOaQ&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
লালন শাহের মাজারে যাওয়ার খুব ইচ্ছা আছে ভাই তবে ব্যস্ততার কারণে যাওয়া হচ্ছে না। লালন শাহের মাজারে বেশ সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। আপনার মুহূর্ত গুলো জানতে পেরে খুব ভালো লাগলো। লালন শাহের মাজারে খুব ভালো সময় কাটিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে ভাই এতো সুন্দর অনুভূতি শেয়ার করার জন্য।
যেহেতু আপনার ইচ্ছা আছে দেখবেন একদিন পূর্ণ হবে আর আপনি যখন ব্যস্ততা কমে যাবে তখন আসবেন আর দেখে যাবেন।