আমার তোলা কিছু রেনডম ফটোগ্রাফি।
আমি @tuhin002
বাংলাদেশ থেকে।
০২ মাঘ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ।
১৫ রজব ১৪৪৫ হিজরি। ১৬ জানুয়ারী ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।
আপনারা দেখে হয়তোবা অনেকেই মনে করছেন কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। আসলে কিন্তু তা নয় এ কিন্তু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নয় এ হলো লালন শাহ। বেশ কিছুদিন আগেই কুষ্টিয়া লালন সাঁই গিয়েছিলাম সেখান থেকে এই ফটোগ্রাফিরা করেছিলাম। লালন শাহ এর ফটোগ্রা করার একটা উদ্দেশ্য ছিল এটা দেখতে কিন্তু অনেকটা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মতই। সারা বাংলাদেশের খুব নামকরা এবং পরিচিত একটা স্থান এই লালন শাহের মাজার। আরো এখানে ভিন্ন ভিন্ন জিনিস দেখেছিলাম কিন্তু তাদের মধ্যে এটা আমার কাছে বেশ ভিন্নতা মনে হয়েছে আর এই কারণেই ফটো ব্যবসা করেছে এবং আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। আমার মনে হয় অনেকেই এখানে এসেছেন এবং এটা দেখেছেন। তবে এই স্থানটি কিন্তু বেশ পরিপাটি এবং সুন্দর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন।
এই ফটোগ্রাফিরা দেখতে পারছেন একটি বিড়াল। যদি আপনাদের কাছে একটা সাধারন বিরাট মনে হচ্ছে কিন্তু আসলে এই বিড়ালটি কিন্তু আমাদের দেশীয় বিড়াল নয়। এই বিড়ালটি আমদানি করা হয়েছে বাইরের দেশ থেকে আর সেই দেশের নাম হচ্ছে জার্মানি। অবশ্য এটা আমার মুখের কথা নয় যে দোকান থেকে আমি এই ফটোগ্রাফি করেছিলাম ওই দোকানে কে জিজ্ঞাসা করেছিলাম উনি আমাকে এ কথাটাই বলেছিলেন। সেখানে অনেকগুলো বিড়াল ছিল এর মধ্যে আমি কয়েকটা বিড়ালে ফটোগ্রাফি করেছিলাম তার মধ্যে এটি একটি। সেখানে বিড়াল গুলো দেখতে বেশ ভারী সুন্দর।
আপনাদের আগেই বলেছি এখানে অনেকগুলো বিড়াল দেখেছিলাম এর মধ্যে আমি কয়েকটি ফটোগ্রাফি করেছিলাম এর মধ্যে এটি একটি। উপরে বিড়ালটি জার্মান থেকে আনছিল আর এই বিড়ালটি এনেছে কানাডা থেকে। জানিনা তাদের কথা কতটুকু সত্য কিন্তু যেটা বল সেটাই আপনাদেরকে বললাম। তবে এটা ঠিকই বলেছে বিদেশি বিড়াল দেখলেই বোঝা যায়। দেশি বিড়ালের থেকে অনেক লম্বা এবং বড় গায়ের লোমগুলো যেন অনেক বড় বড়। সব মিলিয়ে বোঝাই যাচ্ছে এগুলো হচ্ছে বিদেশী বিড়াল। তবে দেখতে বেশ ভালো লাগছে।
প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য হলো নদীর পাড়। নদীর পাড়ের এই সৌন্দর্য প্রত্যেকটা মানুষকে বিমোহিত করে। নদীতে যখন জোয়ার আসে তখন দুপুরে পানি উঠছে পড়ে। আবার যখন ভাটা হয় মনে হয় যেন বুকে জল জমে পড়ে রয়েছে। নদী কোন কোন সময় সে বিচিত্র ধারণের রূপ নেয়। অনেকটা যেন মনে হয় ছলনাময়ী নারীর মতো। অবশ্যই এ কারণে কিন্তু নদীকে নারীর সাথে কখনো কখনো তুলনা করা হয়েছে। নদীতে এখন ভাটা পড়েছে এক জায়গায় দেখলাম অনেক দূরে থেকেই দেখা যাচ্ছিল অন্য কোথাও কারো বাড়ি এসে এখানে চড় জমে রয়েছে।
সব সময় নতুন রূপে সাজ। ঘন সবুজ গাছপালায় যেন প্রকৃতি সবসময় একটা নতুন রূপে সজ্জিত হয়। এই ফটোগ্রাফিটা আমি লালন শাহের মাজারকে ওখান থেকে উঠেছিলাম। আসলে উঠানোর একটা কারণ ছিল এখানে অনেক গাছপালা শ্রীমঙ্গ গাছপালা এই সবুজ এমন দেখে বেশ ভালো লাগছিল। দেখবেন গ্রাম অঞ্চলের সবুজ সমূহ মানুষকে বিমোহিত করে। শহরের মধ্যে অবশ্যই এ ধরনের পরিবেশ পাওয়া যায় না কিন্তু এখানে কিন্তু বেশ সেই পরিবেশটা পেয়েছিলাম। কিছু কিছু সময় কিছু জিনিস থাকে কিছু জিনিস দেখা যায় যেগুলো দেখতে বেশ ভালো লাগে।
এখানে খাঁচার মধ্যে যেগুলো দেখতে পাচ্ছেন তা হল পাখি। আসলে এই পাখির ফটোগ্রাফি তোলার সময় অনেকগুলো বাকি ছিল কোন পাখিটার কোনটা নাম অবশ্য জিজ্ঞাসা করেছিলাম কিন্তু এখন আমার মনে নেই। তবে পাখিগুলো দেখতে কিন্তু ভীষণ সুন্দর। খাঁচার মধ্যে কিচির মিছিল করছিল তাদেরকে খাওয়া দিয়েছিল। আসনের একটা কথা না বললেই নয় পাখি সব সময় বেশি ভালো বাসের বাহিরে থাকতে তারা খাঁচার মধ্যে থাকতে কখনোই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেনা। তবে সৌন্দর্য যেখানে থাকো না কেন সেটা সুন্দরী দেখায়।
সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায় নিয়ে শেষ আজকের মতো শেষ করছি। |
---|
ডিভাইসের নাম | Poco |
---|---|
মডেল | M2 |
ফটোগ্রাফার | @tuhin002 |
ক্যাটাগরি | ফটোগ্রাফি |
👨🦰আমার নিজের পরিচয়👨🦰
আমি আবুল বাশার খায়রুল আলম তুহিন। আমার জন্ম ১১ এপ্রিল ১৯৯৫ সালে। আমার বাসা মেহেরপুর জেলা,গাংনী থানা, জুগীর গোফা গ্রাম। আমি বিবাহিত। বর্তমানে আমার দুইটা পুত্র সন্তান আছে। আমি গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি রাজশাহী নিউ গভমেন্ট ডিগ্রী কলেজ থেকে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। এই ব্লগে কাজ করার মাধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়। আমি ছবি আঁকতে,গান গাইতে,কবিতা লিখতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। আর আমি স্টিমেটে জয়েন করেছি (২৭ - ০৬ - ২০২২) সালে। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness

OR
আপনি তো দেখছি অনেক চমৎকার বেশ কিছু ফটোগ্রাফি আজকে করেছেন, আর আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। যে ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। বিড়ালের ফটোগ্রাফি আমার কাছে বেশি ভালো লেগেছে। বিড়ালটা দেখতে অনেক কিউট লাগছে।
বিড়ালকে দেখতেও বেশ সুন্দর আপু আর এই বিড়ালটির বাইরের দেশ থেকে আনা করা হয়েছে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি দেখতে পেলাম আপনার পোস্টটি। প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফির দারুন হয়েছে। যে কেউ লালন শাহের ওই ফটোগ্রাফিটি দেখলে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ভাববে। আমি এই ফটোটির সাথে অনেক আগে থেকে পরিচিত সেজন্য আমি প্রথমে বুঝতে পেরেছি এটা লালন শাহের ফটোগ্রাফি। বেশ অনেকবার গিয়েছে এই জায়গায়। বিড়ালের ফটোগ্রাফি বলে বেশি সুন্দর লাগলো। ফটোগ্রাফি সহ বিস্তারিত বর্ণনা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আসলে এটা ঠিক কারণ এদের মুখে চেহারাটা অনেকটা যেন একই রকম তাই একটু বিভ্রান্তি হয়।
লালন শাহ দেখতে অনেকটা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মত। তাই অনেক মানুষ তার ছবি দেখে ভুল বুঝে থাকেন। তবে যতটা জানি কুষ্টিয়া মহাসড়কের ব্রিজ পার হলেই সেখানেও লালন শাহ এমন চিত্র রয়েছে। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে লালন শাহ ফটো থেকে শুরু করে বেশ কিছু ফটো ধারণ করেছেন এবং সেগুলো আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। খুব ভালো লাগলো এমন রেনডম ফটোগ্রাফি পোস্ট দেখে।
চেষ্টা করেছি ভাই ফটোগ্রাফি গুলা আপনাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বেশ ভালো লাগলো। একটি অ্যালবামের মধ্যে আপনি খুব সুন্দর সুন্দর দৃশ্য শেয়ার করলেন। বিশেষ করে আপনার শেয়ার করা প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুব ভালো লাগলো। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ রেনডম ফটোগ্রাফি গুলো দেখার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য।
অনেক অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া আপনার ভিন্ন ধরনের ফটোগ্রাফি গুলো। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে রেনডম ফটোগ্রাফি সাজিয়ে উপস্থাপন করেছেন বর্ণনার সাথে। তোমার ধারণ করা ফটোগ্রাফির মধ্যে বিড়াল দেখে ভালো লাগলো।
ফটোগ্রাফি গুলো আপনার ভালো লেগেছে জেনে বেশ ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে।
আজ আপনি এত সুন্দর এবং মনোমুগ্ধকর দেখতে রেনডম ফটোগ্রাফি করেছেন দেখে তো এক নজরে তাকিয়ে ছিলাম। ধৈর্য ধরে এরকম ভাবে রেনডম ফটোগ্রাফি করা হলে বেশি সুন্দর হয়। আর অনেক সুন্দর ভাবেই ফুটে ওঠে। আপনি অনেক সুন্দর করেই রেনডম ফটোগ্রাফি করতে পারেন। এভাবে চেষ্টা করলে আরো সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করতে পারবেন পরবর্তীতে। আপনার পরবর্তী রেনডম ফটোগ্রাফি পোস্ট দেখার অপেক্ষায় থাকলাম।
ফটোগ্রাফি করতে হলে অবশ্যই ধৈর্য থাকতে হবে আর নিজের মনের মধ্যে একটা আর্ট থাকতে হবে তাহলে ফটোগ্রাফি সুন্দর করা সম্ভব।
ওয়াও ভাইয়া আপনি আজকে অনেক সুন্দর সুন্দর রেনডম ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন। আপনার তোলা প্রতি টা ফটোগ্রাফি আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। সব গুলো ফটোগ্রাফির সাথে দারুণ বর্ননা উপস্থাপন করছেন। ধন্যবাদ আপনাকে পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।
চেষ্টা করেছি সুন্দর ফটোগ্রাফির পাশাপাশি সুন্দর বর্ণনা করতে ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার রেনডম ফটোগ্রাফির মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের জিনিসের সাথে পরিচিত হলাম ভাইয়া ।সব থেকে বিড়ালের ফটোগ্রাফিটি বেশি ভালো লাগছে ।ধন্যবাদ শুভকামনা রইল।
ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে।
প্রথম ফটোগ্রাফি টা আমাদের কুষ্টিয়া থেকে ধারণ করা। বেশ সুন্দর লাগছে। বিড়াল টা বেশ দারুণ তো। বেশ চমৎকার লাগল। পাশাপাশি অন্য ফটোগ্রাফি গুলো বেশ দারুণ করেছেন ভাই। সবমিলিয়ে অসাধারণ ছিল। ধন্যবাদ আমাদের সাথে ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।