জেনারেল রাইটিং- জীবনের ছোট ছোট অভ্যাস
হ্যাল্লো বন্ধুরা
|| আজ ১৭ জানুয়ারি, ২০২৫|| শুক্রবার ||
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগবাসী, সবাইকে আমার নমষ্কার /আদাব। কেমন আছেন আপনারা সবাই? আশা করছি আপনারা সকলেই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ কৃপায় পরিবারসহ সুস্থ আছি, ভালো আছি। ! বরাবরের মতোন আজ আপনাদের সাথে নতুন একটি পোষ্ট শেয়ার করতে চলে এসেছি। আজ একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করবো,
যার বিষয়বস্তু:- " জীবনের ছোট ছোট অভ্যাস"। পোস্ট টি পড়ে আপনাদের কেমন লাগলো জানাবেন অবশ্যই। তো চলুন, আর বেশি কথা না বাড়িয়ে চলে যাই আজকের পোষ্ট টি তে.... ৷
ছবিটি canva app দিয়ে তৈরি
ছোট বেলা থেকেই শুনে আসা একটি বাংলা প্রবাদ - " মানুষ অভ্যাসের দাস!"। আগে খুব ভালো করে না বুঝলেও, জীবনের এই পর্যায়ে এসে এই কথাটির অর্থ এখন ভালোমতোই বুঝতে পারি। মানুষের জীবন আসলে ছোট ছোট অভ্যাস এর সমষ্টি ছাড়া আর কিছুই না। এমনকি মানুষের স্বভাব ও তার অভ্যাস এর ই প্রতিফলন। অভ্যাস কি? অভ্যাস হচ্ছে সেসব কাজ যা কেউ একজন মানুষ নিয়মিতভাবে করেন বা যে কাজগুলো রিপিটেডলি করে থাকেন। একজন মানুষের জীবনধারা, সফলতা, তার শারিরীক সুস্থতা, মানসিক শান্তি - সবকিছুই নির্ভর করর মানুষটির অভ্যাস এর সমষ্টির উপর।
মানুষের আসলে ছোটবেলা থেকেই অভ্যাস গড়ে উঠে, সেটা হয়তো তার মনের অজান্তেই নিয়মিত করতে করতেই অভ্যাসে পরিণত হয়ে যায়। তবে মানুষ চাইলেই নিজের অভ্যাস পরিবর্তন ও করতে পারে। তবে এই পরিবর্তন করাটা সহজ কাজ নয়, আবার খুব কঠিন কাজও নয়। একজন মানুষ এর জীবন পরিবর্তন এর শক্তি লুকিয়ে থাকে তার অভ্যাসের মাঝে! আপনারা হয়তো দেখেছেন বা পত্রিকায় পড়েছেন, পৃথিবীর সকল সফল বা বড় বড় নামকরা পর্যায়ের ব্যক্তিদের কিছু কমন অভ্যাস থাকে। যেমন- খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠা, নিয়মিত কিছু পৃষ্ঠা বই পড়া, নিয়মিত শারিরীক পরিশ্রম বা ব্যায়াম করা, সময়ানুবর্তিতা ইত্যাদি। প্রতিদিন এর এমন ছোট ছোট অভ্যাস গুলোই এক সময়ে গিয়ে জীবনে ভীষণ বড় ভূমিকা পালন করে।
অনেক সময়ই আমরা এমন ছোট ছোট অভাস এর গুরুত্ব বুঝতে পারি না আপাতদৃষ্টিতে। তবে পরিস্থিতি বুঝে কিছু ছোট ছোট অভ্যাস গড়ে তুলতে পারলে মানুষ যে কোন পরিস্থিতি থেকেও বের হয়ে আসতে পারে বা যে কোন কিছুর জন্য নিজেকে শুরু থেকে গড়ে তুলতে পারে। যেমন- কেউ যদি কোনো কারণে ডিপ্রেশনে থাকে ( যেটা আজকের সমাজে খুব কমন একটি বিষয়), সেই ডিপ্রেশন থেকে সহজে বের হতে পারে না। তবে সেই ডিপ্রেশনে থাকা ব্যাক্তিটি যদি প্রতিদিন প্রকৃতির সাথে কিছু সময় কাটায়, প্রতিদিন কিছুক্ষণ ব্যায়াম করে এবং শ্বাস-প্রশ্বাসের প্রাণায়াম অভ্যাস করতে পারে, তবে মাস খানেক এর মাঝেই তার মানসিক অবস্থার উন্নতি হবেই। এটি সাইন্টিফিক ভাবেই প্রমাণিত। আবার কেউ যদি নতুন কিছু শিখতে চায়, যেটা তার কাছে ভীষণ ভীষণ কঠিন লাগে ( যেমন ধরুন, ইংরেজিতে ফ্লুয়েন্টলি কথা বলা) । সেক্ষেত্রে দুদিন চেষ্টা করেই হাল ছেড়ে না দিয়ে প্রতিদিন অল্প কিছু সময় যদি সে বিষয়টির পেছনে নিয়মিত ভাবে দেয়া যায়, তবে নির্দিষ্ট সময় পরে গিয়ে অবশ্যই সেই বিষয়টি তার কাছে আগের তুলনায় অনেক সহজ মনে হবেই! এভাবেই ছোট ছোট কিছু অভ্যাসের মাধ্যমে সময়ের ব্যবধানে জীবনে আমূল পরিবর্তন আনা সম্ভব। তাই নিজেকে যে দিক থেকে উন্নত করতে চান, সেই বিষয়ে এমন ছোট ছোট অভ্যাস পরিবর্তন আনা শুরু করা প্রয়োজন দিবাস্বপ্ন না দেখে। কার্ম ছাড়া জীবনে পরিবর্তন আনা সম্ভব নয়। কিন্তু নিয়মিত ছোট ছোট অভ্যাসের মাধ্যমে জীবনে আমূল পরিবর্তন আনা সম্ভব এবং জীবনকে নিজের মতো করে পরিচালনা করা সম্ভব।
যাই হোক, আজ আর আমি বেশি কথা বাড়াচ্ছি না। এটুকুই ছিলো আমার আজকের আয়োজন। আমার জন্য দোয়ার দরখাস্ত রইলো আপনাদের কাছে। সকলের সুস্থতা কামনা করে আজকের লেখা এখানেই শেষ করছি।
এতক্ষণ সময় নিয়ে আমার পোষ্টটি পড়ার জন্য আপনাকে 🌼 ধন্যবাদ 🌼
আমি- তিথী রানী বকসী, স্টিমিট আইডি @tithyrani। জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশায় একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার। বিবাহিতা এবং বর্তমানে রাজধানী ঢাকায় বসবাস করছি।২০২৩ সালের জুন মাসের ১৯ তারিখে স্টিমিটে জয়েন করেছি।
ভ্রমণ করা, বাগান করা, গান শোনা, বই পড়া, কবিতাবৃত্তি করা আমার শখ। পাশাপাশি প্রতিদিন চেষ্টা করি নতুন নতুন কিছু না কিছু শিখতে, ভাবতে। যেখানেই কোন কিছু শেখার সুযোগ পাই, আমি সে সুযোগ লুফে নিতে চাই৷ সর্বদা চেষ্টা থাকে নিজেকে ধাপে ধাপে উন্নত করার।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনি অনেক সুন্দর লিখেছেন। সত্যি আপু অভ্যাস ভয়ানক জিনিস। তবে এটা চাইলে অবশ্যই পরিবর্তন করা যায়। তবে পরিবর্তন করাটা আসলে এতোটা সহজ নয়।তবে প্রকৃতি, সুস্থতা ও ব্যায়ামের মধ্যে সহজে পরিবর্তন হওয়া সম্ভব।
আমার পোস্ট টি পড়ে আপনার সুন্দর মতামত জানানোর জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ পারুল আপু। মানুষ চাইলে সবই পারে। ছোট ছোট কিছু পরিবর্তন এও অনেক বড় কিছু করা সম্ভব।