হ্যাল্লো বন্ধুরা
|| ১১ জানুয়ারি, ২০২৫ || শনিবার ||
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগবাসী, সকলকে আমার আদাব/ নমষ্কার 🙏🙏। আশা করছি আপনারা সকলে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও মহান সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদে সুস্থ আছি। আজ আপনাদের সাথে আবারো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকের পোষ্ট টি আপনারা টাইটেল দেখেই বুঝতে পেরেছেন ইতিমধ্যে, নাটক রিভিউ পোস্ট। আজ বেশ সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ নিয়ে হাজির হয়েছি। আশা করবো আপনাদের সকলের ভালো লাগবে। তো চলুন সবার আগে নাটকের কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেখে নেই এক নজরে.....
এক নজরে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য :
নাম: | মুক্তি |
গল্প ও ডিরেকশন: | মাহমুদ মাহিন |
প্রোযোজক : | জামাল হোসেন |
চিত্রগ্রহণ: | মোস্তাক মোরশেদ |
অভিনয়ে: | খাইরুল বাশার, তাসনিয়া ফারিন, মীর রাব্বী ও আরো অনেকে |
প্রকাশ মাধ্যম : | ইউটিউব |
দৈর্ঘ্য : | ১ ঘন্টা ০৮ মিনিট |
ভাষা: | বাংলা |

নাটকের শুরুতে দেখবো নায়ক রাকিব এবং নায়িকা রাইসার বিয়ের অনুষ্ঠান চলছে। আমরা জানতে পারি যে রাইসা রাকিবের অফিসে জয়েন করার পর থেকেই বেশ মাতিয়ে রাখতো সবকিছু। সেখানে রাকিব রাইসার বস। রাকিব রাইসাকে অফিসের পরে কফিশপে ডাকে, সেখানে রাইসা বলে এভাবে অফিসের পরে আলাদা করে দেখা করা টা ঠিক না, তবে রাকিব চাইলে রাইসার বাসায় কথা বলতে পারে। এভাবেই তাদের বিয়ে হয়ে যায়। রাকিবের বাসায় ওর বাবা,মা, দুই ভাই-বৌ ও তাদের সন্তান থাকে। রাইসা চেষ্টা করে সকলের সাথেই বেশ মিলেমিশে মানিয়ে চলার। তবে রাকিবের ভাই- বৌ রা তাকে যথেষ্ট হিংসা করে।





বিয়ের মাস খানেক পর রাইসার ফোনে জুনায়েদ নামের একজন কল দিয়ে দেখা করার জন্য প্রেসারাইজ করতে থাকে। এই জুনায়েদ ছিলো রাইসার ভার্সিটির সিনিয়র এবং প্রক্সি টিচার। রাইসার জুনায়েদ এর সাথে সম্পর্ক ছিলো তখন। কিন্তু ধীরে ধীরে জুনায়েদ ড্রাগস এর সাথে জড়িয়ে পরে। তখন রাইসা বারবার বোঝানোর চেষ্টা করেও যখন লাভ হয় নি, জুনায়েদ রিহাব এ গিয়েও শোধরায় নি- তখন রাইসা সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসে। ওদিকে এখন জুনায়েদ রাইসাকে ব্লাকমেইল করতে থাকে যে তাকে টাকা দিতে হবে নাহলে রাইসার বর্তমান স্বামীর কাছে গিয়ে রাইসার অতীত নিয়ে বলে দিবে। রাইসা জুনায়েদ এর কথায় ভয় না পেয়ে বলে কি পারে করতে! জুনায়েদ সত্যি সত্যিই রাকিবের সাথে দেখা করে এবং বলে তার বউ রাইসা তাকে মিথ্যা কথা বলে তার প্রাক্তন প্রেমিক জুনায়েদের সাথে দেখা করে, এবং একটি গোপন ভিডিও দেখায়। তার কাছেও বিপুল অর্থ দাবী করে নইলে সেই ভিডিও ভাইরাল করে দেয়ার হুমকি দেয়। বাসায় ফিরে রাকিব রাইসার সাথে রাগারাগি করে এবং রাইসা তার অতীত নিয়ে বিস্তারিত বলে রাকিব কে। রাইসা আস্বত্ব করে যে জুনায়েদের সাথে তার হাত ধরার বাহিরে কখনো কিছু হয় নি, তাই ভিডিওর প্রশ্নই আসে না। তখন তাফের ভুল- বোঝাবুঝির অবসান হয়।




ওদিকে রাইসা - রাকিব কারোর থেকেই টাকা না পেয়ে ড্রাগস এডিক্টেড জুনায়েদ ফেইক আইডি দিয়ে একটা ভিডিও ভাইরাল করে দেয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। তখন সকলে রাইসাকে ভুল বোঝে এবং রাইসার পাশে দাঁড়াতে অস্বীকৃতি জানায়, রাইসা কে রাকিবরা সকলে মিলে বাসা থেকে বের করে দেয়। রাইসার বাবাও রাইসাকে মানা করে দেয় যেন বাবার বাড়িতেও না যায় রাইসা! একেবারে একা হয়ে যায় রাইসা! অনেক কষ্টে তার এক বান্ধবীর বাসায় উঠে। সেই বান্ধবীর সহযোগিতায় ই জুনায়েদকে ফাঁদে ফেলে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করলে জুনায়েদ সব স্বীকার করে নেয় যে সেই ভিডিও এ-আই দিয়ে বানানো ফেইক ভিডিও ছিলো। তখন বাকিরা তাদের ভুল বোঝে এবং রাইসাকে ফেরত নিতে চায়৷ কিন্তু তখন রাইসা আর কারোর সাথেই কথা বলতে চায় না। রাইসার বাবা কল দিলেও রাইসা রঙ নাম্বার বলে কেটে দেয়! কারণ যখন রাইসার জীবনের সবচেয়ে কঠিন মুহুর্ত ছিলো, তখন ই যেহেতু কেউ পাশে ছিলো না, তখন কেউ ই রাইসা কে বিশ্বাস করে নি। এখন ভালো সময়ে রাইসার কাউকে প্রয়োজন নেই। রাইসা একা একাই ভালোভাবে বেঁচে থাকা শিখে গিয়েছে।



ব্যক্তিগত মতামত:
নাটকটি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। নাটকটি বেশ শিক্ষণীয় লেগেছে আমার কাছে। বর্তমান সমাজে ড্রাগস এডিকশন, পরকীয়া, অতীত রিলেশনস কিংবা এ-আই এর সাহায্যে ভুয়া ছবি/ভিডিও ভাইরাল- সবগুলোই কম-বেশি রয়েছে। এমন কোনো পরিস্থিতির স্বীকার হওয়া কোনো মেয়ের পাশেই সাধারণত কেউই দাঁড়ায় না। বরং সেই মেয়েটিকে আরোও বিপদের মুখে ঠেলে দেয় যে মেয়েটি আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয় অনেক সময়ে! অথচ ফাইট করলে আসল সত্যি টা সকলের সামনে আনা সম্ভব! এই সাহস সব মেয়ে কুলিয়ে উঠতে পারে না। আবার দেখা যায় যখন আসল সত্যি টা সামনে চলে আসে, তখন আবারো শুভাকাঙ্ক্ষীর অভাব হয় না জীবনে! অথচ বিপদের সময় কাউকেই পাশে পাওয়া যায় না। আমি আশা করি, নাটকটি দেখলে আপনাদের ও ভালো লাগবে।
ব্যাক্তিগত রেটিং : ৯.৬ /১০
নাটকের লিংক :
এতক্ষণ সময় নিয়ে আমার পোষ্টটি পড়ার জন্য আপনাকে 🌼 ধন্যবাদ 🌼



VOTE @bangla.witness as witness
OR @rme as your proxy


আমি- তিথী রানী বকসী, স্টিমিট আইডি @tithyrani। জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশায় একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার। বিবাহিতা এবং বর্তমানে রাজধানী ঢাকায় বসবাস করছি।২০২৩ সালের জুন মাসের ১৯ তারিখে স্টিমিটে জয়েন করেছি।
ভ্রমণ করা, বাগান করা, গান শোনা, বই পড়া, কবিতাবৃত্তি করা আমার শখ। পাশাপাশি প্রতিদিন চেষ্টা করি নতুন নতুন কিছু না কিছু শিখতে, ভাবতে। যেখানেই কোন কিছু শেখার সুযোগ পাই, আমি সে সুযোগ লুফে নিতে চাই৷ সর্বদা চেষ্টা থাকে নিজেকে ধাপে ধাপে উন্নত করার।
আপনি তো দেখছি আজকে আমার খুবই পছন্দের নায়ক নায়িকার নাটকের রিভিউ নিয়ে হাজির হয়েছেন। এই নায়ক এবং নায়িকা আমার অনেক বেশি পছন্দের। তাদের বেশিরভাগ নাটকই আমার দেখা হয়েছিল। তবে এখন আর ব্যস্ততার জন্য তাদের নাটক খুব একটা দেখা হয় না। কিন্তু আজকে আপনি এত সুন্দর করে তাদের এত সুন্দর একটা নাটকের রিভিউ শেয়ার করেছেন দেখে আমার কাছে অসম্ভব ভালো লেগেছে পড়তে। পুরো কাহিনীটাকে খুব সুন্দর করে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন।
ধন্যবাদ ভাই।
🍀♥️
আপু আপনি খুব সুন্দর একটি নাটক রিভিউ দিয়েছেন। বাস্তবেও এমন অনেক ঘটনা রয়েছে কিন্তু কোন মেয়েই আসল অপরাধী কে সামনে আনার সাহস পায় না। বরং আশেপাশের মানুষজনের কথায় তারা আরও ভেঙ্গে পড়ে এবং অবশেষে আত্মহত্যার পথটাই বেছে নেয়। তবে এটা ঠিক সুখের বন্ধু সবাই হতে চায় কিন্তু দুঃখের বন্ধু কেউ হতে চায় না। আপনার রিভিউ পড়ে অনেক ভালো লেগেছে। যদিও দেখা হয়নি তবে সময় পেলে অবশ্যই দেখবো। আপনি সম্পূর্ণ রিভিউ খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ আপু শিক্ষনীয় একটি নাটক রিভিউ দেওয়ার জন্য।
আসলেই, যখন এমন বিপর্যয় কারোর জীবনে ঘটে যায়, এমনিতেই সে অনেক ভেঙে পরে। তার উপর আশেপাশের মানুষরা তাকে আরোও ভেঙে দেয়! আপনার সুন্দর মতামতের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
🍀♥️
Thank you for support
মুক্তি নাটকের রিভিউটা অনেক সুন্দর ছিল। আর আমার কাছে এই নাটকের পুরো রিভিউ পড়তে খুব ভালো লেগেছে। তাসনিয়া ফারিনকে আমার অনেক ভালো লাগে। খাইরুল বাশারও অনেক সুন্দর অভিনয় করে। এই নাটকের পুরো কাহিনীটা ভালো ছিল। আমি তো ভাবছি সময় পেলে এই নাটকটা দেখব।
আশা করছি নাটকটি দেখলে আপনার ভালো লাগবে।
🍀♥️
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপু অনেক সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। খাইরুল বাসার তাসমিয়া ফারিন দুজনের অভিনয় আমার অনেক ভালো লাগে। যদিও নাটক দেখার এতটা সময় পাইনা। আমরা অনেক সময় অনেক গল্প শুনলে সেটার প্রতি আগ্রহ হই বেশি। আজ আপনার নাটকের রিভিউটি পরেও নাটকটি দেখতে খুব ইচ্ছে করছে।
🍀♥️
আপু আপনি অনেক সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন।খায়রুন বাশারের নাটক আমার কাছে ভালো লাগে তবে বেশি একটা তার নাটক দেখা হয় না আমার।এই নাটকের রিভিউ পড়ে খুবই ভালো লাগলো আপু । ধন্যবাদ আপনাকে পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আপনার মতামত প্রকাশ করার জন্য।
খুবই সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করেছেন আপনি৷ আপনার কাছ থেকে এই সুন্দর নাটক এর রিভিউ করে খুবই ভালো লাগলো৷ আসলে কোন মেয়ের জীবনে যখন এরকম বাধা বিপত্তি আসে তখন সে এগুলো থেকে বেরিয়ে আসতে পারে না৷ এগুলো থেকে বেরিয়ে আসতে তার অনেকটাই কষ্ট হয়৷ তবে যখন আবার সত্য ঘটনা বেরিয়ে আসে তখন অনেকেরই তার জন্য দরদ উতলে পড়ে৷ তবে বিপদের সময় বেশিরভাগ মানুষকেই কাছে পাওয়া যায় না৷ এটা একেবারে সত্যি কথা বলেছেন৷ খুব সুন্দর হয়েছে নাটকটি। অবশ্যই আমি নাটকটি দেখে নেব৷
বেশ ভালো বলেছেন ভাই। আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।