ভালো থেকো ফুল...

in আমার বাংলা ব্লগ5 days ago

হ্যাল্লো বন্ধুরা


প্রিয় আমার বাংলা ব্লগবাসী, সবাইকে আমার নমষ্কার /আদাব। কেমন আছেন আপনারা সবাই? আশা করছি আপনারা সকলে সব দিক থেকে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে আমার আজকের পোষ্ট শুরু করছি।

IMG20250406172507~2.jpg


এবারে বেশ দীর্ঘ সময় পরে এত দীর্ঘ দিন গ্রামে থাকার সুযোগ হলো। আমি এবারে প্রায় ২২ দিন ছিলাম রংপুর -গাইবান্ধা- লালমনিরহাট মিলিয়ে। আমার কাছে এটিই দীর্ঘ সময়, কারণ ছোট বেলা থেকেই ঢাকায় ই বড় হওয়ায় নানা কারণেই এর আগে কখনো এত দিন একটানা গ্রামে থাকা হয় নি আমার। অবশ্য করোনার সময়ে কিছুদিন ছিলাম, তবে সেটাও ১৬/১৭ দিন। যাই হোক, লম্বা সময় প্রকৃতির সাথে কাটিয়ে আবারো ব্যাক টু দ্যা প্যাভিলিয়ন! সেই ইট- পাথরের যান্ত্রিক শহরে আবারো ফিরে এসেছি। ফিরে আসতে হয়েছে জীবনের নিয়মে।



IMG20250406173342.jpg


IMG20250406171555.jpg


এবার এত বেশি সময় নিয়ে ছিলাম বলেই হয়তো, ফেরার দিন ভীষণ ভীষণ মন খারাপ হচ্ছিলো। এতটা মন খারাপ হচ্ছিলো, যে আমার সত্যি বলতে আমার ঢাকায় ফিরতেই ইচ্ছে করছিলো না। এবারে একটা জিনিস উপলব্ধি করলাম। সময়ের সাথে সাথে কখন যেনো নিজের গ্রামের বাড়ির চেয়েও শ্বশুড় বাড়িটা এখন অনেক বেশি শান্তির জায়গা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমাদের গাড়ি ছিলো সন্ধ্যা সাড়ে সাত টায়। দুপুরেই ব্যাগ গোছানো শেষ। সেদিন বিকেল টা পুকুর পাড়ে, শ্বাশুড়ির জমিতে হেঁটে হেঁটে বেড়িয়েছি। যদিও বৃষ্টির অভাবে এবং প্রখর তাপে পুকুরে নামমাত্র জল। তবুও সেটাও যেন ভালো লাগছিলো দেখতে। একজন বস্তা ভর্তি ধান মাথায় করে এনে সেই জলে ডুবালো কিছুক্ষণ, অন্য পাড়ে ছোট একটা ছেলে তার মাকে সাহায্য করছে তামাকের কাজে। ওখানেই আবার কদিন আগে কেটে ফেলা বরই গাছের ডালগুলো শুকিয়ে গিয়েছে। সেই ডালগুলোকে কেটে কাটা ছেচে কাঠখড়ি বানাতে ব্যস্ত এক পিসি। যেগুলো ভীষণ পাতলা ডাল, খড়ির অযোগ্য, ওখানেই চোখের সামনে আগুন ধরিয়ে দেয়া হলো সেগুলোতে। মাটি আকড়ে ধরে থাকা গাছের শেকড় গুলোর মতো মায়া যেন আর কিছুতে থাকতেই পারে না !

IMG20250406174746.jpg


IMG20250406173243.jpg



পাশেই মটোরের সাহায্যে জমিতে সেচের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কী অদ্ভুত ভাবে সেই জলের শব্দও ভীষণ ভালো লাগলো। পুকুর পাড়ের সেই বিশাল গাছ গুলো, তার থেকেও দূরের সুপারি বাগান সেগুলোও যেন কখন কি ভীষণ মায়ায় বেধে ফেলেছে আমাকে। ওদিকে আবার একপাশে চলছে ধান সেদ্ধ করার কাজ। তারপাশেই তামাক শুকানোর ব্যবস্থা। সেখানে দাঁড়ালাম কিছুক্ষণ। তবে বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে পারি নি সকলের সামনে। ওদিকে সময়ের সীমাবদ্ধতা আবার চোখেও যেন কী পরেছিলো কি না! গাড়ির উদ্দেশ্যে বের হতে হতেও বারবার মনে হচ্ছিলো সেই লাইনগুলো -


ভালো থেকো ফুল, মিষ্টি বকুল, ভালো থেকো।
ভালো থেকো ধান, ভাটিয়ালি গান, ভালো থেকো।
ভালো থেকো মেঘ, মিটিমিটি তারা।
ভালো থেকো পাখি, সবুজ পাতারা।
ভালো থেকো।

এতক্ষণ সময় নিয়ে আমার পোষ্টটি পড়ার জন্য আপনাকে
🌼 ধন্যবাদ 🌼

3jpR3paJ37V8JxyWvtbhvcm5k3roJwHBR4WTALx7XaoRovZPhyQZF46Jzu1RHsqJAYaFK79KURRYTTDCfs83L9hXVyhHVVfQHR1BRxtCJby4EjZZkEPu8kTbt3hCBMQWS3cpN.png

VOTE @bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png OR
@rme as your proxy
witness_vote.png

photo_2021-06-30_13-14-56.jpg

IMG_20211205_182705.jpg

আমি- তিথী রানী বকসী, স্টিমিট আইডি @tithyrani। জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শিক্ষগত যোগ্যতায় একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার। দীর্ঘ ৬ বছর চাকরির পর বর্তমানে পুরোদমে একজন গৃহিণী। বিবাহিতা এবং বর্তমানে রাজধানী ঢাকায় বসবাস করছি।২০২৩ সালের জুন মাসের ১৯ তারিখে স্টিমিটে জয়েন করেছি।
ভ্রমণ করা, বাগান করা, গান শোনা, বই পড়া, কবিতাবৃত্তি করা আমার শখ। পাশাপাশি প্রতিদিন চেষ্টা করি নতুন নতুন কিছু না কিছু শিখতে, ভাবতে। যেখানেই কোন কিছু শেখার সুযোগ পাই, আমি সে সুযোগ লুফে নিতে চাই৷ সর্বদা চেষ্টা থাকে নিজেকে ধাপে ধাপে উন্নত করার।