আজকে সকাল বেলার নাস্তার কিছু ফটোগ্রাফি।।
পরম করুণাময় অসীম দয়ালু মহান সৃষ্টিকর্তার নামে আরম্ভ করিতেছি
হ্যালো আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ বাসি বন্ধুরা, আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে সকালবেলা নাস্তা করার কিছু ফটোগ্রাফি সহ অনুভূতি শেয়ার করবো। আশা করি ব্লগটি সবার কাছেই পছন্দ হবে।
আমি গত এক সপ্তাহ আমার শ্বশুর বাড়িতে থেকে, গতকালকে আমাদের বাড়িতে এসেছি। আগামীকাল আমরা ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিবো ইনশাআল্লাহ। যেহেতু বাবার বাড়িতে এসেছি তাই দুই দিন থেকে যাওয়ার জন্য ইচ্ছা পোষণ করেছি। আবার কখন আসি সেটা ঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না। সেজন্য বাবা-মা ও বললেন হাসবেন্ডকে নিয়ে কয়েকটা দিন থেকে যেতে। আমার হাজবেন্ডের যদিও ইচ্ছা ছিল না, আমার কারনে সেও থাকতে রাজি হয়েছে। আগামীকাল হয়তো এমন সময় আল্লাহ যদি সুস্থ রাখে, বিপদ আপদ থেকে বাঁচিয়ে রাখে তাহলে ঢাকা থাকবো ইনশাআল্লাহ।
তো আজকের সকাল বেলা নাস্তা করার সময় আমি বেশ কিছু নাস্তার ফটোগ্রাফি করেছি। ভাবলাম আপনাদের সাথে ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করা যাক। আমাদের বাড়িতে মানুষের সংখ্যা একটু বেশি, যার ফলে খাওয়া দাওয়া হয় অনেক বেশি। আমার বাবা এবং ভাইয়া দুজন ব্যবসায়ী মানুষ প্রতিদিন বাজার সদাই করে। আর আমার আম্মাও সবকিছু বেশি বেশি করেই তৈরি করে। যেহেতু মানুষ বেশি তাই খাওয়া হয় বেশি। আজকে সকাল বেলা আমার হাজব্যান্ড কে নিয়ে নাস্তা করলাম। সেই স্মৃতি কিছুটা মোবাইলে ধারণ করলাম।
আমার হাজব্যান্ড আমাদের বাড়িতে আসলে আম্মু সবসময় তিনির জন্য সেমাই রান্না করেন। জামাই আমার হাজবেন্ডের খুবই প্রিয়। আমাদের বাড়িতে সেমাইগুলো একটু শক্তভাবেই তৈরি করা হয়। এটা খেতে একটু অন্যরকম স্বাদ লাগে।
কলা আমাদের ঘরে সব সময় থাকে। এটা আমাদের ঘরের কমন ফল। ভাই এবং বাবা দোকান থেকে আসার সময় প্রতিদিন রাতেই কিছু না কিছু ফল নিয়ে আসে। এর মধ্যে কলাটা থাকে অনেক সময়। তাছাড়া কলা একটি খুবই সুস্বাদু এবং ভিটামিন যুক্ত একটি ফল।
এই ব্রেডগুলো ও সব সময় থাকে। সকালবেলা ডিম দিয়ে ভিজিয়ে এই ব্রেড গুলো তেলের মধ্যে ভেজে ডিম টোস্ট নামে একটু রেসিপি তৈরি করা হয়। এটা আমার হাজব্যান্ড খুবই পছন্দ করে। এটা আমাদের ঘরের সবার প্রিয়। আমি বিয়ের আগে এরকম দুই তিন পিস ব্লেড খেয়েই প্রাইভেটে চলে যেতাম। তারপর প্রাইভেট শেষ করে এসে আবার নাস্তা করতাম।
আমার হাজবেন্ডের রুটি খুবই ফেভারিট। তিনি পারলে তিন বেলাই রুটি খাওয়ার চেষ্টা করে। সেজন্য মাংস ও রুটি নাস্তা হিসেবে থাকে। তবে তিনি আমাদের বাড়িতে আসলে মাংস দিয়ে সর্বোচ্চ একটি রুটি খেয়ে থাকে। উনি একটু খাওয়া-দাওয়া খুব কম করে। সবসময় চিন্তা করে স্বাস্থ্য বেড়ে যায় নাকি।
সিদ্ধ এবং ভাঁজি করা ডিম সব সময় থাকে। সকালবেলা ডিম খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। সেজন্য তিনি আর কিছু না খেলেও ডিম অবশ্যই খাওয়ার চেষ্টা করে। গতকাল আব্বু আসার সময় পেয়ারা নিয়ে এসেছিল। তাই পেয়ারাও কেটে দিয়েছিল। সবার শেষে কয়েক পিস পেয়ারাও খেয়েছেন। কয়েকদিন যাবত আম্মু কিছুটা অসুস্থ। যার ফলে নাস্তার আইটেম তুলনামূলকভাবে কিছুটা কম। যাইহোক সৃষ্টিকর্তা রিযিকে যা রেখেছিল আমরা মোটামুটি তাই খেলাম। ভালো লেগেছে আলহামদুলিল্লাহ।
তো বন্ধুরা কেমন হলো আমার আজকের ব্লগ। অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। আবার আপনাদের সাথে নতুন ব্লগ নিয়ে হাজির হবো। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। সেই কামনা করি। সবাই সবার জন্য দোয়া করবেন।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল | |
---|---|---|
মডেল | রেডমি নোট-৮ | |
শিরোনাম | আজকের সকাল বেলার নাস্তার কিছু ফটোগ্রাফি ।। | |
স্থান | ভাদুঘর , ব্রাহ্মণবাড়িয়া ,বাংলাদেশ। | |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ | অনেক কষ্ট করা লাগে এত সোজা |
ফটোগ্রাফার | @titash |
আমার পরিচিতি
আমি মোছাঃ মুসলিমা আক্তার নীলা। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @titash নামে পরিচিত। আমার জন্মস্থান চট্রাগ্রাম বিভাগের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ভাদুঘর গ্রামে। আমি বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে বাংলা বিভাগ নিয়ে পড়াশোনা করতেছি। আমি বিবাহিত,আমার একটি কন্যা সন্তান আছে। আমি আমার হাসবেন্ডের সাথে ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত নারায়নগঞ্জ জেলায় বসবাস করছি। আমি আমার হাসবেন্ডের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্ম সম্পর্কে জানতে পারি। প্লাটফর্মটার বিষয়ে জেনে আমি এখানে কাজ করার আগ্রাহ প্রকাশ করি। তারপর ২০২৩ সালের ফ্রেব্রুয়ারী মাসে আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্মে যুক্ত হয়। আমি ভ্রমন করতে,মজার মজার রেসিপি করতে,বই পড়তে, নতুন নতুন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে ও সৃজনশীল জিনিষ তৈরী করতে ভালোবাসি। আমি বাঙ্গালী জাতি হিসাবে ও আমার বাংলা ব্লগের সদস্য হতে পেরে নিজেকে নিয়ে গর্ববোধ করি।
সকালের নাস্তার জন্য যে সমস্ত খাবারের আয়োজন করেছিলেন সেগুলো খুব সুন্দর করে ফটো ধারণ করে আমাদের মাঝে দেখানোর চেষ্টা করেছেন। যেখানে আপেল পেয়ারা সহ আরো অনেক কিছু ছিল। খুবই ভালো লাগলো আপনার আজকের এই সুন্দর একটি পোস্ট দেখে। এত সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য ধন্যবাদ।
আসলে প্রতিদিনের সকালে যদি এত সুন্দর সুন্দর নাস্তা পাওয়া যেত তাহলে কি দারুনই না হতো তাই না। যাইহোক আমি কিন্তু আপনার সকালের নাস্তায় একটু লোভ দিলাম। আসলে এত সুন্দর নাস্তা দেখে আমার জিভে জল চলে এলো। এত সুন্দর সুন্দর খাবারের ছবি আজ আপনি কিন্তু আমাদের মাঝে শেয়ার করে আমাদের সবাইকে লোভ দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
অনেক কিছুই আয়োজন করা হয়েছে দেখছি আপনাদের জন্য। এত মজার মজার নাস্তা থাকলে তো কথাই নেই। মজার মজার বিভিন্ন নাস্তার ফটোগ্রাফি দেখে ভালো লাগলো। এই ব্রেড গুলো আমিও পছন্দ করি। খুব সুন্দর ভাবে আপনি ফটোগ্রাফি গুলো ক্যাপচার করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
সকালের নাস্তার চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফির পাশাপাশি সুন্দর কিছু অনুভূতি আজ শেয়ার করেছেন। আপনি আপনার মায়ের বাসায় আছেন।আপনার মা অসুস্থ শুনে খারাপ লাগলো। আপনার মায়ের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি।আপনারা চমৎকার কিছু নাস্তা খেয়েছেন যা দেখতে পেয়ে ভালো লাগলো।
সকালের নাস্তার খুব সুন্দর খাবারের ফটোগ্রাফি করেছেন। খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো খুবই সুন্দরভাবে উপস্থাপনা করেছেন। কলা,আপেল,পেয়ারা,ডিম টোস্ট,রুটি সেমাই,মাংস সব মিলিয়ে দারুন ফটোগ্রাফি। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপু আমাদের বাড়িতে ওর সব সময় কলা থাকে খাওয়ার জন্য। আজকে আপনি দেখতেছি অনেকগুলো খাবারের ফটোগ্রাফি করেছেন। আসলে হঠাৎ করে সবাই একসাথে হলে তখন অনেক ধরনের খাবার আয়োজন করে। তবে আপনার ফটোগ্রাফি গুলো সত্যি অসাধারণ হয়েছে। সুন্দর করে ফটোগ্রাফি গুলো করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
আপনার বাবার বাড়ির সকালের নাস্তার ফটোগ্রাফিগুলো খুবই যত্ন সহকারে উঠিয়ে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন যা দেখে খুবই ভালো লাগলো। যেহেতু স্বামীকে সাথে নিয়ে বাবার বাড়ি গিয়েছেন সেহেতু হেলদি নাস্তা না হলে কি হয়? তবে আপনার প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি কিন্তুু খুবই পরিষ্কার এবং স্বচ্ছ ছিল। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু সকালের নাস্তার এই অনুভূতিগুলো ক্যামেরা বন্দী করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপু আপনি আবারও শ্বশুর বাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে এসেছেন জেনে ভালো লাগলো। সকালের নাস্তায় দারুন দারুন সব খাবার রাখা হয়েছে। বাবার বাড়ি বলে কথা। তাই তো মজার মজার খাবার গুলোর ছবি তুলতে পেরেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।