ভিক্ষাবৃত্তি।

আশাকরি " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই ভালো আছেন। আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আপনারা সবাই সুস্থ আছেন। মহান সৃষ্টিকর্তা এবং আপনাদের আশীর্বাদে আমিও সুস্থ আছি। আজ আপনি আপনাদের সাথে ভিক্ষাবৃত্তি সম্পর্কে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট করলাম।


hands-7435914_1280.jpg



লিংক


পৃথিবীতে ধনী গরিব বিভিন্ন শ্রেণীর লোক বসবাস করে। যারা ধনী লোক তারা একটু বেশি কম পরিশ্রম করে এবং যারা গরিব মানুষ তারা একটু বেশি পরিশ্রম করে। আসলে পরিশ্রম ছাড়া কেউ জীবনে কখনো উন্নতি লাভ করতে পারে না। কিন্তু কিছু কিছু মানুষ আছে যারা পরিশ্রম করতে পারলেও তারা কিন্তু কখনো পরিশ্রম করতে যায় না। আসলে সেইসব মানুষগুলো অলসভাবে কি করে উপার্জন করা যায় সে জন্য তারা সবসময় চেষ্টা করে। আসলে অলসভাবে যারা জীবন যাপন করে তারা জীবনে কখনো সুখ শান্তি লাভ করতে পারে না। কেননা অলস জীবন হল সব থেকে বেশি কষ্টের জীবন। আবার কিছু কিছু মানুষ আছে যারা ভিক্ষাবৃত্তি পথ বেছে নেয়। আসলে দৈনন্দিন জীবনে আমরা যখন কাজে বের হই তখন বিভিন্ন ধরনের ভিক্ষুক আমরা রাস্তার পাশে দেখতে পাই।


আসলে এসব লোকেরা সব সময় ভিক্ষা করে তারা তাদের জীবন পরিচালনা করে। এদের ভিতর প্রায় ৯৯% লোক উপার্জন করার ক্ষমতা থাকলেও তারা কিন্তু ভিক্ষা করে। একটা জিনিস আপনি কখনো খেয়াল হয়তোবা ঠিকঠাক করে করে নিজে যারা ভিক্ষা করে তাদের আয় একজন পরিশ্রমী ব্যক্তিদের আয়ের থেকে অনেক বেশি হয়। আসলে এসব ব্যক্তিরা চেষ্টা করলে তারা কিন্তু পরিশ্রম করে উপার্জন করতে পারে এবং বুক ফুলিয়ে সমাজের মাঝে চলতে পারে। কিন্তু তারা কখনো সেই জিনিসটা চেষ্টা করতে চায় না। কেননা এই ভিক্ষার মতো পথ বেছে নিয়ে তারা প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণ টাকা উপার্জন করে। আসলে একজন ভিক্ষুকের প্রায় প্রতিদিন এক থেকে দুই হাজার টাকার উপরে উপার্জন হয়।


আসলে এইভাবে অলসভাবে দিন কাটিয়ে এবং ভিক্ষা করে তারা যে পরিমাণে টাকা উপার্জন করতে পারে এতে তাদের মান-সম্মানের কোন প্রয়োজন নেই। আসলে এইভাবে যদি তারা দিনের পর দিন ভিক্ষা করে উপার্জন করে এবং কাজ না করে বসে বসে খেতে পারে তাহলে তাদের তো আর কোন কাজ করার প্রয়োজন মনে হয় না। কিন্তু আমাদের সবাইকে একটু বেশি সচেতন হতে হবে। কেননা আমরা যদি এইসব লোকেদেরকে সাহায্য না করে তাদেরকে কাজ করার জন্য বলি তাহলে হয়তোবা তারা আমাদের কথা কখনোই শুনবে না। তাই আমাদের যেসব সচল ব্যক্তি রয়েছে সেসব সচল ব্যক্তিদের ভিক্ষা না দিয়ে বরং তাদের থেকে দূরে চলে আসতে হবে। আর এভাবে যদি সচল ব্যক্তিরা ভিক্ষা না পায় তাহলে একসময় দায় থেকে তারা কাজকর্ম করবে।


তাইতো সরকার সব সময় চেষ্টা করে যেসব প্রতিবন্ধী এবং বিকলাঙ্গ ব্যক্তিরা রয়েছে তাদের জন্য আলাদা ধরনের সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করে। কিন্তু তবুও তারা সব সময় ভিক্ষা করাটাকে একটা নেশা বলে মনে করে। আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় যে পরিবারের চাপে তাদেরকে ভিক্ষা করতে পাঠানো হয়। আসলে আমাদের দেশ থেকে যদি যেসব সফল মানুষেরা ভিক্ষা করে তাদেরকে তুলে দেয়া যায় তাহলে যারা ভিক্ষা করবে অর্থাৎ তারা প্রকৃত ভিক্ষুক এবং কাজ করার ক্ষমতা তাদের নেই তারা কিন্তু বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা সরকারের কাছ থেকে পেয়ে তাদের আর কখনো ভিক্ষা করতে হবে না। তাই যারা প্রতিবন্ধী এবং বিকলাঙ্গ লোক তাদেরকে অবশ্যই সরকারের নথিভুক্ত করতে হবে এবং সচল ব্যক্তিদেরকে ভিক্ষার থেকে বের করে আনার জন্য আমাদের একটু কঠোর হতে হবে।



PUSS_TQRxQN_ls9y5lDjLoeb.png


লিংক


আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে আজকের পোস্টটি । ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করতে ভুলবেন না।


আজ এই পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।