রজব আলীর আত্মত্যাগ (অষ্টম পর্ব)

কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


একজন রিক্সা চালকের এমন আত্মনিবেদন দেখে ছাত্র ছাত্রীরা সবাই তার উপর খুব খুশি হয়। তাদের মুখে মুখে রজব আলীর কথা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। সেই সাথে তার ওপর নতুন বিপদ নেমে আসে। প্রথমে একদিন তাকে বাড়ি ফেরার পথে ডিবি পুলিশ তুলে নিয়ে যায়। তাকে নিয়ে প্রচন্ড মারধর করে দুই তিন দিন আটকে রাখে। তারপর তাকে হুমকি দিয়ে ছেড়ে দেয়। ছাড়ার সময় তারা বলে দেয় যদি এই কথা কারো কাছে সে বলে তাহলে তাকে চিরতরে শেষ করে দেবে। বাড়ি ফিরে রজব আলী কয়েকদিন চুপচাপ ঘরে বসে থাকে।

Polish_20240813_202051127.jpg

তার স্ত্রীকে সে কারো সাথে কথা বলতে নিষেধ করে দেয়। কিন্তু সে ঘরে বসে থাকলেও বাইরের খবরা-খবর নিয়মিত পাচ্ছিলো। রজব আলী ঘরে বসে শুনতে পায় তার মতো এমন অনেক ছাত্রছাত্রীকে পুলিশ তুলে নিয়ে গিয়েছে। অনেককে তার মত মারধর করে ছেড়ে দিয়েছে। আবার অনেককে খুঁজেও পাওয়া যাচ্ছে না। এই সমস্ত কথা শুনতে শুনতে রজব আলী একসময় সিদ্ধান্ত নেয় সে এর শেষ দেখে ছাড়বে। কয়েকদিন পরে রজব আলি আবার নতুন উদ্যমে আন্দোলনকারীদের সাথে যোগ দেয়। যোগ দিয়ে তাদের কাছে সে সব কথা খুলে বলে।

রজব আলীর অভিজ্ঞতার কথা শুনে আন্দোলনকারীরা ক্ষোভে ফুঁসে ওঠে। আন্দোলন আরো বেগবান হয়। রজব আলী প্রাণপণ দিয়ে আন্দোলনকারীদের সাথে বিভিন্ন রকম কাজকর্ম করতে থাকে। কখনো সে তাদের সাথে থেকে স্লোগান দিতে থাকে। কখনো তাদেরকে বিভিন্ন রসদ পৌঁছে দিতে থাকে। আবার কখনো কোন আন্দোলনকারী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে তার রিক্সায় নিয়ে হাসপাতালে পৌঁছে দেয়। এভাবে একসময় আন্দোলন চরম আকার ধারণ করে। ছাত্রছাত্রীরা রজব আলি কে জানায় তাদের বিজয় খুব নিকটে। (চলবে)

আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।




🇧🇩🇧🇩ধন্যবাদ🇧🇩🇧🇩

Sort:  
 4 days ago 

রজব আলীর মতো এমন সাহসী মানুষ ঘরে ঘরে থাকা উচিত। যাইহোক আসলে বাস্তবে এমনটাই হয়েছে। আন্দোলনকারীদেরকে এভাবে ধরে ধরে মারধর করেছিলো বলেই, আন্দোলন এতো তাড়াতাড়ি বড় আকার ধারণ করে। যাইহোক পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।