অতিরিক্ত আরাম আয়েশ ভালো নয়

আশাকরি " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই ভালো আছেন। আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আপনারা সবাই সুস্থ আছেন। মহান সৃষ্টিকর্তা এবং আপনাদের আশীর্বাদে আমিও সুস্থ আছি। আজ আপনি আপনাদের সাথে অতিরিক্ত আরাম আয়েশ সম্পর্কে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট করলাম।


relaxing-1979674_1280.jpg



লিংক


আসলে আমরা প্রতিদিন বিভিন্ন ধরনের কাজের জন্য বিভিন্ন জায়গায় ছোটাছুটি করি। আসলে মানব জীবনটা পুরো কাজের উপরে কেটে যায়। আসলে আমরা যদি সঠিকভাবে কাজ না করি তাহলে আমাদের জীবনটা কখনোই ভালোভাবে থাকবে না। আসলে অতিরিক্ত পরিশ্রম করার একটা উপকারিতা রয়েছে। আর এই উপকারটা হল এই অতিরিক্ত পরিশ্রম করলে আমাদের শরীর সবসময় ভালো থাকে। আপনি একটা জিনিস সবসময় খেয়াল করে দেখবেন যে যারা দিনমজুর শ্রেণীর লোক তাদের কিন্তু শরীর খারাপ অনেক বেশি কম হয়। কেননা তারা জীবনে বেশি আরাম আয়েশ ভোগ করতে পারে না। আর তারা সব সময় বিভিন্ন ধরনের কাজের জন্য বিভিন্ন জায়গায় ছোটাছুটি করে। আর তারা যেসব কঠোর পরিশ্রম করে তা কিন্তু একজন স্বাভাবিক লোক কখনোই করতে পারে না।


আসলে এই পৃথিবীতে যারা অলস লোক অর্থাৎ যারা আরাম আয়েশ করে দিন যাপন করে তাদের শরীর কিন্তু বেশি একটা দিন ভালো থাকে না। আসলে যারা সবসময় শরীর চর্চা করে এবং কঠোর পরিশ্রম করে তাদের মন মানসিকতা কিন্তু একদিক থেকে যেমন ভালো থাকে তেমনি অন্য দিক থেকে তাদের শরীর ভালো থাকে। আর আমাদের শরীরের সাথে সবকিছু সম্পর্ক রয়েছে। কেননা শরীর যদি ভালো না থাকে তাহলে একদিক থেকে আমাদের মন কখনোই ভালো থাকে না এবং মন ভালো যদি না থাকে তাহলে আমরা কোন কাজে মন বসাতে পারি না। আর এই জন্য আমাদের সব সময় স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্য গ্রহণ করতে হবে এবং প্রতিনিয়ত কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। আসলে এর ফলে আমাদের শরীর যেমন সুস্থ থাকবে তেমনি আমরা অনেক বেশি পরিশ্রম করতে পারব।


আসলে আমাদের জীবনটা কিন্তু ফুলশয্যা নয়। এই জীবনে যদি আমরা আরাম আয়েশে থাকতে চাই তাহলে আমাদের প্রথম অবস্থাতে অনেক বেশি কঠোর পরিশ্রম করতে হয়। আর এই কঠোর পরিশ্রম করার জন্য আমাদের মন-মানসিকতা সবসময় ভালো রাখতে হয়। আসলে কঠোর পরিশ্রম যেমন মানুষের শরীরকে সুস্থ রাখে তেমনি অন্য দিক থেকে আমাদেরকে সর্ব শীর্ষে উঠতে সাহায্য করে। আসলে আমরা যদি জীবনে অলসের মতো দিন যাপন করি তাহলে আমরা কখনো জীবনে উন্নতি লাভ করতে পারব না এবং আমাদের সাথে সাথে আমাদের পুরো পরিবারটাকে আমরা বিপদের মুখে ফেলে দেবো। কেননা আপনার উপর আপনার পুরো পরিবারটা নির্ভর করে। আর আপনি যদি ঘরে বসে বসে আরাম আয়েশে দিন কাটান তাহলে বাকি সদস্য গুলোর কি অবস্থা হবে।


আসলে অলস লোক গুলো সব সময় আরাম-আয়েশে থাকতে পছন্দ করে এবং অন্য লোকের কি করে ক্ষতি করা যায় সেইসব চিন্তা ভাবনা করে। আর কিছু কিছু শ্রেণীর লোক রয়েছে যারা খুব ধনী পরিবারের জন্মগ্রহণ করে। আসলে তাদের জীবনে তেমন একটা বেশি পরিশ্রম না করলেও কিন্তু চলে। কিন্তু তারা যদি পরিশ্রম না করে শুধুমাত্র তাদের ধনসম্পত্তি ব্যয় করতে থাকে তাহলে কিন্তু তাদের শারীরিক অবস্থা অনেক বেশি খারাপ হয়ে যাবে। আসলে যারা সব সময় শারীরিক পরিশ্রম করে তারা কিন্তু কখনো বিভিন্ন ধরনের রোগে কখনো ভোগে না। আসলে অলস মানুষের শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগ বাসা বাঁধে। আর এই জন্য আমরা সব সময় শুয়ে বসে থাকবো না। কিছু না কিছু দৈহিক পরিশ্রম যদি আমরা করতে পারি তাহলে আমাদের মন-মানসিকতা অনেক বেশি ভালো থাকবে।



আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে আজকের পোস্টটি । ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করতে ভুলবেন না।


আজ এই পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।

Sort:  

You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!

হ্যালো বন্ধু, চমৎকার পোস্ট, খুব আকর্ষণীয় এবং অনুপ্রেরণামূলক বিষয়বস্তু তৈরি করা চালিয়ে যেতে

 3 days ago 

শরীর ভালো রাখার জন্য এবং সুস্থ রাখার জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ কাজ করা কিংবা ব্যায়াম করা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আরাম আয়েশ কখনোই ভালো কিছু বয়ে আনে না। শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

 3 days ago 

আপনি আজ খুব সুন্দর একটি টপিক আলোচনা করেছেন। যে যত বেশি পরিশ্রম করবে তার মানসিক এবং শারীরিক দু'টো দিক ততই ভালো থাকবে। কথায় বলে না,অলস মস্তিষ্ক শয়তানের বাসা। ঠিক তেমনি যারা আরাম আয়েশে জীবন কাটায় তাদের শরীরে যেমন বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয় তেমনি মস্তিষ্কেও শয়তানের বাসা তৈরি হয়ে যায়। তখন তারা খুব তাড়াতাড়ি অসুস্থ হয়ে পড়ে। কিন্তু আমরা এত কিছু জেনেও কি পরিশ্রম করি,না করি নাতো। এতে যেনো নিজের ক্ষতি নিজেই ডেকে আনছি। যাই হোক আপনার লেখা পড়ে খুব ভালো লাগলো।