বৃক্ষ মেলা নিয়ে আবার হাজির
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আমি আবার আপনাদের সাথে বৃক্ষ মেলা ঘুরে দেখাতে চলে আসলাম । বৃক্ষ মেলা ঘুরতে যেমন ভালো লাগে তেমনি বিভিন্ন গাছের ছবিগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করতে ভালো লাগে । আমি সবসময় চেষ্টা করি বিভিন্ন ধরনের নার্সারিতে গিয়ে গাছ দেখার জন্য । বিভিন্ন গাছ সম্পর্কে ধারণা নিয়ে থাকি বিভিন্ন সময় । আমাদের ঢাকা শহরের আশেপাশে বিভিন্ন জায়গায় নার্সারি রয়েছে । রাস্তাঘাটের পাশ দিয়ে ওরা সুন্দরভাবে নার্সারিটা গড়ে তুলে দেখতে ভালো লাগে । ঢাকায় আসার পরে অবশ্য বৃক্ষ মেলাতে কখনো যাওয়া হয়নি । এই বৃক্ষ মেলায় ফরিদপুর থাকতে গিয়েছিলাম । অনেক ছোটবেলা থেকেই এই জায়গাটাতে বৃক্ষ মেলা বসে এবং বিভিন্ন জায়গা থেকে লোকজন বিভিন্ন ধরনের গাছ গাছালি নিয়ে আসে ।ফরিদপুরে আনাচে-কানাচে কিছু নার্সারি রয়েছে এবং সেখানকার লোকজন দেখি এখানে চলে আসে গাছ বিক্রি করার জন্য । বৃক্ষ মেলাতে মনে হয় বিক্রি ভালোই হয় লোকজনের যে পরিমাণে ভিড় থাকে একেবারে উপচে পড়া ।এক একটা দোকানে গাছ আপনি প্রথমে দেখে গেলেন পছন্দ করে পরে ভাববেন যাওয়ার সময় নিয়ে যাবেন আসার সময সেই গাছ আর পাওয়া যায় না । আর একটা গাছের পেছনে যদি দুই তিনজন কাস্টমার থাকে তখন ওরা এমনিতেই গাছের দাম অনেক বাড়িয়ে দেয় । কিছু কিছু গাছের দাম আমার কাছে অনেক বেশি মনে হলো । বিশেষ করে আম গাছ এবং বিভিন্ন ধরনের ফল-ফলালির গাছ এগুলোর দাম অতিরিক্ত ছিল । ফুল গাছের দামও বেশি তারপর মানুষজন ভালোই কিনছে দেখলাম ।
প্রথমে উপরে যে গাছটি রয়েছে সেটি মনে হচ্ছে মিনি টগর । এই টগর গাছে অনেক বেশি পরিমাণ ফুল ফুটে এবং গাছটি অনেক সুন্দর । একসাথে কয়েকটি গাছের ছবি তুলে নিয়েছি এরকম একসাথে বিভিন্ন ধরনের গাছ গাছালি রয়েছে এই বৃক্ষ মেলাতে । তারপর নিচের ছবিতে যে গাছটি দেখতে পাচ্ছেন এই গাছটা দেখুন একটু ভিন্ন রকমের । গাছের নাম আমি জানিনা তবে গাছটি দেখতে অনেক সুন্দর ছিল ।
এখানে ড্রামের ভিতরে আরও একটি গাছ দেখতে পেলাম । এই গাছটা কিছুটা কচু গাছের মতো । কচু গাছ কিনা আমি জানিনা আমি বিভিন্ন গাছের নাম জানিনা তবে ছবি তুলে নিয়েছি । তারপর নয়নতারা গাছ রয়েছি এগুলো হয়তোবা হাইব্রিড নয়ন তারা গাছ । নয়ন তারা গাছ আমার কাছে অনেক ভালো লাগে ।ওরা হ্যাঙ্গিং তবে আরো কিছু গাছ ঝুলিয়ে রেখেছে । এই গাছ গুলো বারান্দার গ্রিলের সাথে ঝুলিয়ে রেখে দিলে বারান্দার সৌন্দর্য অনেক বৃদ্ধি পায় দেখতেই ভালো লাগে । উপরে ওই কচু গাছের মতো যে গাছটি দেখতে পাচ্ছেন ওই গাছটা আমার কাছে খুব ভালো লাগে । আমার ছিল বেশ সুন্দরভাবে গাছটি বড় হয়েছিল । তবে সেই গাছটি আমি কেটে ফেলে দিয়েছি । কার কাছে যেন শুনেছি এই গাছের পাতা নাকি অনেক বিষাক্ত এটা খেলে মানুষ মারা যায় । বাচ্চা ছোট থাকার কারণে গাছটি ফেলে দিয়েছি গাছটি আমার কাছে অনেক ভালো লাগে ।
এখানে খুব সুন্দর একটি টব ওরা বানিয়েছে । একেবারে মানুষের আকৃতির একটি টব দেখতেই পাচ্ছেন কতটা কিউট ছিল । টব এর ভিতর যদি ছোট্ট একটি গাছ লাগিয়ে আপনি ঘরের ভিতরে রাখেন তাহলে কিন্তু দেখতে খুব ভালো লাগবে । আর নিচে মানিপ্লান্ট গাছ রয়েছে । এভাবে মানিপ্লান্ট গাছ টবের ভিতরে লাগিয়ে ঘরের জায়গায় জায়গায় ঝুলিয়ে রাখলে দেখতে ভালো লাগে । ঘরের ভিতরে আমি যদি মানি প্লান্ট রাখি কদিন পরে এই গাছগুলো হলুদ হলুদ হয়ে যায় তখন নিজের কাছেই খারাপ লাগে । এই গাছগুলো মনে হয় মাঝে মাঝে রোদে দিয়ে আবার রাখলে ভালো থাকে । মানে প্ল্যান গাছ ঘরের সৌন্দর্য অনেক বৃদ্ধি করে ।
এখানে আরো সুন্দর কিছু কিউট ছোট ছোট ফুলের টবের ছবি আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম । আজকাল সুন্দর সুন্দর টব ওরা বিক্রি করে । ফুল গাছের সাথে টব যেন দেখতে ভালো লাগে এবং মানুষজন আকর্ষিত হয়ে এগুলো কিনে যার কারণে এত প্রচেষ্টা । আমার কাছে ভালো লেগেছে কারণ সুন্দর একটি গাছ রাখবো সুন্দর একটি জিনিসের ভিতরে দেখতেই ভালো লাগবে । আর নিচে একটি গাছ দেখতে পেলাম এই গাছটির নাম হল রাম ভুটান । এই গাছের নাম আমি আগে শুনেছি তবে দেখিনি কখনো এটা কি কেমন ফল সেটাও জানি না । তবে আনকমন একটি গাছ দেখে নিলাম । এই গাছটির দাম ২০ হাজার টাকা রেখে দিয়েছে কেন যে এটির এত দাম সেটাও বুঝলাম না ।
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
---|---|
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
---|
@tauhida
*** VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ভালো লাগার অন্যতম স্থান বৃক্ষ মেলা। যেখানে বৃক্ষ মেলার আয়োজন করা হয় সেখান থেকে অনেক কিছু ধারণা পাওয়া যায়। ঠিক তেমনি বেশ কয়েকটা পোস্ট আমাদের মাঝে ইতোমধ্যে শেয়ার করেছেন আপনি। আজকেও ঠিক আর একটা পোস্ট নিয়ে উপস্থিত হয়েছেন। রিপোর্ট দেখে বেশ কিছু জানার সুযোগ মিললো।
তাদের তৈরি টবগুলো আসলেই অনেক কিউট তাছাড়া উপরের অংশে টবের মধ্যে যে গাছগুলো রোপন করা হয়েছে সেগুলো অনেক সুন্দর লাগছে ফটোগ্রাফির মাধ্যমে বিস্তারিত সৌন্দর্য তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ।
ফরিদপুরের বিখ্যাত মেলায় যাওয়ার অভিজ্ঞতাটা খুব সুন্দর ছিল। বিশেষ করে আমার কাছে গাছের টব গুলো সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। এত সুন্দর ডিজাইন দেখেই মন প্রাণ জুড়িয়ে যায়। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর অভিজ্ঞতা আমাদের মাঝে ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য।
এরকম ছোট ছোট টবগুলো আসলেই খুব কিউট লাগে দেখতে। এরকম টব আগে কখনো দেখা হয়নি। বৃক্ষমেলার বিভিন্ন গাছের ফটোগ্রাফি দেখে খুবই ভালো লাগলো। খুব সুন্দর ভাবে আপনি প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি ক্যাপচার করেছেন। এই একটা গাছের দাম ২০ হাজার টাকা। বেশ অবাক হলাম এটা দেখে। ধন্যবাদ আপু ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।