হঠাৎ রেস্টুরেন্ট এ সুন্দর সময় পার
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আমি আবার আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম । আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করব হঠাৎ করে রেস্টুরেন্টে গিয়ে মজার সময় কাটানোর অনুভূতি । আমার কাছে মনে হয় প্রতিদিন যদি রেস্টুরেন্টে গিয়ে খেতে পারতাম তাহলে রান্নার হাত থেকে বেঁচে যেতাম । যদিও সব সময় ইচ্ছাটা পূরণ হয় না আর প্রতিদিন রেস্টুরেন্টের খাবার খেতেও ভালো লাগবে না মাঝে মাঝে গেলেই ভালো লাগে । মাঝে মাঝে আমি বায়না ধরি রেস্টুরেন্টে যাওয়ার জন্য আর মাঝেমধ্যে ছেলে বায়না ধরে রেস্টুরেন্টে যাওয়ার জন্য । এদিকে ছেলের বাবা পরেছে বিপাকে কারো অনুরোধ ফেলতে পারেনা পর তখন বাধ্য হয়ে যেতে হয় ।
দুদিন আগে রেস্টুরেন্ট থেকে ঘুরে এসেছি আজকে হঠাৎ করে ছেলে বলল যে মা চিকেন ফ্রাই খাব । বিএফসি থেকে চিকেন ফ্রাই অর্ডার করো । বিএফসিতে চিকেন ফ্রাই অর্ডার করতে গেলাম তখন কিছুক্ষণ ফুড পান্ঘাডা টাঘাটি করে মনে হল যেন গিয়ে খেয়ে আসি । কারণ বাসায় বসে খাওয়ার থেকে আমার কাছে রেস্টুরেন্টে গিয়ে খেতে বেশি ভালো লাগে । আর রেস্টুরেন্টও বাসার কাছেই এই কারণে যেই ভাবা সেই কাজ । তখন মাথায় আসলো যে বিএফসিতে গিয়ে চিকেন না খেয়ে বেইলিস্টার ফুট কোর্টে গিয়ে মজার খাবার সাথে চিকেন ফ্রাই ও খাওয়া যাবে । ছেলে প্রথমে রাজি হচ্ছিল না কিন্তু তারপরে দেখলাম রাজি হল পরে সেখানেই চলে গেলাম ।
সেখানে গিয়ে ইচ্ছামত মজার মজার খাবার অর্ডার করলাম এবং পছন্দ মতো একটা সিট নিয়ে বসে গেলাম । খাবারের জন্য অপেক্ষা করতে লাগলাম এর ভিতরে ছেলে বায়না ধরল যে গেম খেলবে । ওর বাবাকে দিয়ে ওকে পাঠিয়ে দিলাম গেম খেলার জন্য । এইখানে একটা গেম রয়েছে যেখানে কয়েন ফেলে বিভিন্ন খেলনা উঠানো যায় এবং যে যেই খেলনাটা পাবে সে সেটাই নিতে পারবে । পরে ছেলে দুইবার ট্রাই করার পরে তৃতীয় বার একটি পুতুল পেল । সেটা পেয়ে তো ছেলেটার মনটা খুবই খারাপ কারণ সে পুতুল নিতে চাইনি । পরে সে তার পুতুলটা তার বোনের জন্য নিয়ে এল ।
অনেকক্ষণ অপেক্ষা করার পরে আমাদের খাবার গুলো চলে এলো আমরা তখন মজা করে খাবারগুলো খেতে শুরু করলাম । যদিও খাবার খাওয়ার আগে কিছু ছবি তুলে নিয়েছি । কারণ কোথাও যাব আর মজার মজার খাবার খাব তার ছবি না তুললে কি হয় নাকি । এরপর খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আবার সুন্দর মত বাসায় চলে আসলাম ।
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
---|---|
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
---|
@tauhida
*** VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ছেলেকে নিয়ে রেস্টুরেন্টে গিয়ে মজাদার মজাদার সব খাবার খেয়েছেন।আসলে মাঝেমধ্যেই বাচ্চাদেরকে নিয়ে রেস্টুরেন্টে খেতে যাওয়া উচিত।কেননা এইসব জায়গায় গেলে তারা অনেক রিফ্রেশমেন্ট পায়।তাদের মনে প্রশান্তি আসে।রেস্টুরেন্টে গিয়ে মজাদার সব খাওয়া দাওয়ার মুহূর্ত আমাদের মাঝে এত সুন্দর হবে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপু।
আপনার ছেলে গেম খেলে একটা পুতুল পেয়েছে। আসলে ছেলেরা এগুলো তে খুশি না। যাইহোক সবাই মিলে রেস্টুরেন্টে দারুন কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছেন। অনেক কিছুই খেয়েছেন দেখছি। আসলেই আপু প্রতিদিন এরকম রেস্টুরেন্টের ভালো ভালো খাবার খেতে পারলে তো ভালোই হয়। আপনাদের কাটানো সুন্দর মুহূর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আহারে আপনার ছেলের জন্য আমার ভারি খারাপ লাগছে। তবে বোনের জন্য যে এনেছি এতে করে কিন্তু বোনের প্রতি ভালবাসাটাও দেখাতে পারল। মাঝেমধ্যে রেস্টুরেন্টে গেলে খারাপ লাগে না ছেলে মেয়েদের সাথে বেশ সুন্দর টাইম কাটানো যায়। আপনাদের বিএফসি দেখছি অনেকটা kfc এর মতন। চিকেন ফ্রাই বা ফ্রেঞ্চ ফ্রাই বাচ্চাদের খুব লোভনীয় খাবার শুধু বাচ্চাদের কেন আমাদেরও ভালো লাগে। তাই না?
ছেলের কথাতে রেস্টুরেন্টে গেলেন খাওয়া-দাওয়া করলেন শুনে বেশ ভালো লাগলো। আর রেস্টুরেন্টে গেলে এমনিতে মজার খাবারগুলো খেতে সবাই চায়। তবে রেস্টুরেন্ট পরিবেশ দেখে বুঝা যাচ্ছে ওখানে খাওয়া-দাওয়া মান অনেক ভালো। আর মাঝেমধ্যে নিজের পরিবারকে নিয়ে বাইরে খাওয়া খেলে মনও ফ্রেশ থাকে। ধন্যবাদ রেস্টুরেন্টের সুন্দর সময় পার করার ও খাওয়ার মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।