ডাল ছাড়া মজাদার চিকেন খিচুড়ি রেসিপি
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আমি আবার আপনাদের সামনে একটি মজার রেসিপি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম । মজার মজার রেসিপি পোস্টগুলো করতে ভালো লাগে এবং মজার মজার খাবার খেতেও কিন্তু ভালো লাগে । আবার অনেক সময় মনে হয় যে এই জিনিসটা রান্না করবো তখন সেটা কিন্তু অনেক বেশি মজা করে রান্না করা হয় । আজকে হঠাৎ করে মনে হলো যে খিচুড়ি খাবো কিভাবে রান্না করলে ভালো লাগবে সেটাই চিন্তাভাবনা করতে থাকলাম । ছেলেকে নিয়ে স্কুলে যাওয়ার কারণে রান্নাবাড়াটা একটু এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে তাই স্কুলে বসেই ভাবতে থাকি ঝটপট খিচুড়ি রান্না করে ফেলব । কিন্তু বাসায় আসার পরে মনে হল যে মাংস দিয়ে খিচুড়ি রান্না করি ।প্রথমে ভেবেছিলাম মাংস আর খিচুড়ি আলাদা করব পরে ভাবলাম যে একসাথে দিয়ে রান্না করি খেতে ভালো লাগবে । আজকে আমি ডাল ছাড়া মাংস খিচুড়ি রান্না করেছি খেতে সত্যিই অনেক বেশি মজাদার ছিল এবং অনেক মজা করে খেয়েছি ।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
মুরগি
আলু
পেঁয়াজ
মরিচ
আদা বাটা
রসুন বাটা
জিরার গুঁড়া
গরম মসলার গুঁড়া
গরম মসলা
হলুদ
লবন
তেল
টক দই
জায়ফল
জয়ত্রি
কার্যপ্রণালী
প্রথমে মাংস ও আলু গুলো কেটে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিয়েছি । তারপর চুলায় একটি করাই বসিয়ে তার ভেতরে তেল দিয়ে দিয়েছি । তেল গরম হয়ে গেলে আলু গুলো ছেড়ে দিয়ে বাদামি কালার করে ভেজে নিয়েছি ।
আলুগুলো ভাজা হয়ে গেলে এক সাইডে তুলে রেখেছি । তারপর সেই তেলের ভিতরে পেঁয়াজ মরিচ দিয়ে বাদামি কালার করে ভেজে নিয়েছি । তারপর তার ভেতরে সব বাটা মসলা ও গুঁড়া মসলাগুলো দিয়ে দিয়েছি সাথে গরম মসলা ও দিয়েছি ।
এরপর মসলাটাকে অনেক সময় নিয়ে কষিয়েছি । মসলা যত কোষাবো আমার খাবারটা তত বেশি মজা হবে । উপর দিয়ে দেখতে পাচ্ছেন টকটকে কালারের তেল ভেসে উঠেছে । সেই মুহূর্তে চিকেন গুলো দিয়ে দিয়েছি । চিকেন গুলো দিয়ে আরো অনেকটা সময় পানি ছাড়াই সুন্দরভাবে কষিয়ে নিচ্ছি । কষানো হয়ে গেলে একটু টক দই দিয়ে দিয়েছি ।
এরপর টক দই দিয়ে আরো বেশ খানিকটা সময় কষিয়ে নিয়েছি । তারপর কসানো হয়ে গেলে একটু পানি দিয়ে আরও একটু সময় কষিয়ে নিয়েছি । তারপর দেখুন সুন্দরভাবে কষানো হয়ে গেলে আবার তেল আলাদা হয়ে গিয়েছে । সেই মুহূর্তে উপর দিয়ে একটু জিরার গুড়া ও গরম মসলার গুড়া দিয়ে আরও একটু সময় রান্না করে নিয়েছি ।
তারপর আর একটু সময় মাংসটাকে কষিয়ে নিয়েছি । তারপর ধুয়ে রাখা চালগুলো দিয়ে দিয়েছি । চাল গুলো দিয়ে নেড়েচেড়ে কিছু সময় মাংসের সাথে ভুনে নিয়েছি । তারপর তার ভিতরে ভেজে রাখা আলু গুলো দিয়ে দিয়েছি । তারপর আরও একটু সময় নেড়েচেড়ে চালের সাথে ভুনে নিয়েছি । এরপর গরম পানি দিয়ে দিয়েছি তারপর ওপর দিয়ে কিছু কাঁচামরিচ দিয়ে দিয়েছি ।
তারপর ঢাকনা দিয়ে দেওয়ার পর একটু সময় পরে ঢাকনা খুলে দেখব যে পানিটা অনেকটাই টেনে এসেছে । সেই মুহূর্তে করাইটা ধরে একটি তাওয়ার ওপর বসিয়ে আরো বেশ খানিকটা সময়ের জন্য দমে রেখে দিয়েছি । এখানে চাল গুলো একটু শক্ত থাকবে । আস্তে আস্তে রান্নাটা যখন হয়ে আসবে সেই মুহূর্তে উপর দিয়ে একটু ঘি দিয়ে দিয়েছি । এরপর আরেকটু সময় দমে বসিয়ে রেখেছি । তারপর রান্নাটা হয়ে গিয়েছে একটা বাটিতে ঢেলে নিয়ে গরম গরম পরিবেশন করেছি ।
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
---|---|
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
---|
@tauhida
*** VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
এভাবে খিচুড়ি খেয়েছি ঠিকই কিন্তু নিজে রান্না করে নয়,ননদের হাতের রান্না। আমি গ্ৰামে গেলে সেও এই খিচুড়ি রান্না করে সবাইকে খাওয়ায়। আমার কাছে এই খিচুড়ি খেতে খুব ভালো লাগে। বৃষ্টির দিনে এমন খিচুড়ি খেতে দারুণ লাগে। আমার তো আপনার এমন লোভনীয় খিচুড়ি দেখে খুব খেতে ইচ্ছে করছে। আপনার উপস্থাপনা লোভনীয় হয়েছে। ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ আপু মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
খুবই সুস্বাদু মনেহচ্ছে দেখে। খিচুড়ি আমার খুব প্রিয় একটি খাবার। যেভাবে পরিবেশন করেছেন, দেখে লোভ জাগলো। হাহা।
খিচুড়ির সাথে মাংসের কম্বিনেশনটা সব সময় সেরা। দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হবে বিশেষ করে মুরগির মাংসের সাথে আলু যেন এই খিচুড়ির টেস্ট বাড়িয়ে তুলেছে। লোভনীয় রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
খিচুড়ি মানেই তো ডাল আর চালের মিশ্রণ। সেই ডাল বাদ দিয়ে খিচুড়ি রান্না করেছেন। দেখেই খেতে খুবই মজা হয়েছিল। মাংস দিয়ে খিচুড়ি রান্না করলে খেতে খুবই মজা লাগে। আপনার রেসিপি রান্নার পদ্ধতি দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে কতটা মজাদার হয়েছিল। এত লোভনীয় লাগছে দেখতে যে খেতে ইচ্ছা করছে।
খিচুড়ি মানে আমরা সবাই জানি ডাল দিয়ে রান্না করা হয়। কিন্তু আপু বেশ দারুন একটি রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন রেসিপিটি দেখেই অনেক লোভনীয় লাগছে। তবে আমিও একদিন এভাবে খিচুড়ি করেছিলাম খেতে অনেক মজা হয়েছিল। অনেক ধন্যবাদ আপু লোভনীয় একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে খুব সুন্দর ভাবে ইউনিক পদ্ধতিতে ডাল ছাড়া মজাদার চিকেন খিচুড়ি রেসিপি তৈরি করে শেয়ার করেছেন। আপনার তৈরি রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে বেশ সুস্বাদু হবে। আসলে খিচুড়ির সাথে মাংস একসাথে রান্না করলে খেতে আমার কাছে সত্যি বেশ ভালো লাগে। ধন্যবাদ এত সুন্দর ভাবে রেসিপি তৈরীর পদ্ধতি শেয়ার করার জন্য।
বাহ! দারুণ তো! নতুন কিছু শিখলাম। এখাবে একদিন ট্রাই করে দেখতে হবে বাড়িতে। দেখে অবশ্য মনে হচ্ছে খুব স্বাদের হয়েছে। ধন্যবাদ
দেখতে পারেন ভাইয়া সত্যিই খুব মজা হয়েছিল আমিতো প্রায়ই খাই । অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ।
আপু আপনি ছেলেকে নিয়ে স্কুলে যাচ্ছেন বলেই ব্যস্ততা অনেক বেশি। আর এই ধরনের খাবারগুলো খেতেও ভালো লাগে। চিকেন খিচুড়ি রেসিপি চমৎকার হয়েছে আপু। অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে।