রেস্টুরেন্ট গিয়ে মজার খাবার খাওয়ার অনুভূতি
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার আপনাদের সামনে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম । আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করব আম্মাকে নিয়ে রেস্টুরেন্টে গিয়ে মজাদার খাবার খাওয়ার অনুভূতি । রেস্টুরেন্টের খাবার খেতে আমরা সবাই খুব পছন্দ করি । আম্মা যদিও রেস্টুরেন্টের খাবার তেমন একটা পছন্দ করেনা তারপরও আমার কাছে আসলে আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করি মাকে নিয়ে রেস্টুরেন্টে যাওয়ার জন্য ।আম্মা বাসায় একাই থাকে কোথাও যায় না এজন্য এখানে আসলে যতটুকু পারা যায় এদিক ওদিক নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি যদিও যেতে চায় না ।
এবার ফরিদপুর যখন গিয়েছি তখন সাথে করে নিয়ে এসেছিলাম কারণ আম্মার গলব্লাডারে স্টোন হয়েছে সেটার অপারেশন করতে হবে । অপারেশন করব করব করে করাই হচ্ছিল না ছেলেমেয়েদের পরীক্ষা থাকার কারণে । যার কারণে পরীক্ষার পরে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম তারপরও করতে করতে একটু দেরি হয়ে গেল । কয়েকদিন হল অপারেশনটা হয়ে গিয়েছে । অপারেশনের পরে যখন একটু সুস্থ হয়েছে তখন আম্মাকে সাথে নিয়ে একটু শপিং করতে গিয়েছিলাম । শপিং করতে গেলেই তো আমার ছেলের বাইরে খেতেই হবে । না খেলে তো আর চলবেই না সে বারবার বায়না করছিল রেস্টুরেন্টে খাবে । আমরা রাজি হচ্ছে তখন আম্মা বলল যে নিয়ে যাওয়ার জন্য ।
আমরা চলে গেলাম আমাদের বেইলিরোড এর ফুড কোর্টে । আর সেখানে অনেক মজার মজার খাবার থাকে যার কারণে সেখানে গিয়ে আমরা খেতে বেশি পছন্দ করি । আর আম্মাও সেখানে কখনো যায়নি তাই নিয়ে গেলাম । ওখানে গিয়ে কোন সিট পাওয়া যাচ্ছে না । কারণ ওই দিন শুক্রবার ছিল এই কারণে প্রচন্ড পরিমাণে ভিড় ছিল এদিক ওদিক ঘুরাঘুরি করার পরে পছন্দ মতো ভালোই একটা সিট পেয়ে গেলাম সেখানে গিয়ে বসে পড়লাম । প্রথমে সিট দখল করে নিলাম তারপর কোথাকার খাবার অর্ডার করা যায় সেটা ভাবতে থাকলাম । এই মাথা থেকে ও মাথা ঘুরে দেখতে লাগলাম কোন খাবারটা বেশি মজাদার হবে । ঘুরাঘুরি করে দেখলাম যে সব সময় যেই খাবারটা খাই সেটাই আমাদের জন্য মজাদার হবে । এই খাবারটা খেতে আমরা সবাই পছন্দ করি আর আম্মারও পছন্দ ।
খাবার অর্ডার করলাম আর পছন্দমত কিছু সালাদ জাতীয় খাবার নিয়ে নিলাম । ওটা আবার ওজন করে নিতে হয় । খাবার খেতে খেতে শেষ হয়ে গিয়েছিল তখন মনে হল যে একটা ছবি তোলা দরকার তারপরও ছবি তুলে নিলাম । খাবারগুলো সত্যিই অনেক বেশি মজাদার ছিল আর এত পরিমানে খাবার ছিল যে আমরা সেটা শেষই করতে পারছিলাম না । যার কারণে কিছু খাবার পার্সেল হিসেবে নিয়ে আসলাম । এরপর বাসায় বসে মজা করে খাবারগুলো শেষ করেছিলাম । একসাথে অতগুলো খাবার শেষ করা সত্যিই কষ্টসাধ্য ছিল । সালাদটা এত পরিমাণে মজা হয় যে সেটাই খেতে বেশি ভালো লাগে । আর ছেলেও ওর পছন্দের একটা খেলা খেলে নিল । এখানে কয়েন দিয়ে একটা খেলা খেলা যায় সেই কয়েন ভেতরে ফেললেন ইচ্ছামত খেলে একটা খেলনা উঠানো যায় । চারবার চান্স দেয় এবার ছেলে কোন খেলনা নিতে পারেনি গতবার পেয়েছিল । যাই হোক মোটামুটি সময়টা কিন্তু ভালই কেটেছিল ।
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
---|---|
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
---|
@tauhida
*** VOTE @bangla.witness as witness
OR SET @rme as your proxy

রেস্টুরেন্ট গিয়ে মজার খাবার খাওয়ার অনুভূতি শেয়ার করেছেন। আপনার খাবার গুলো লোভনীয় ছিল। আপনি রেস্টুরেন্টে গিয়ে মজার খাবার খেয়েছেন এবং আপনার অনুভূতি শেয়ার করেছেন। আপনার খাবার গুলো লোভনীয় লাগছে খেতে ও মনে হয় অনেক মজাদার হয়েছিল। ধন্যবাদ আপু আপনাকে এতো সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
রেস্টুরেন্টে গেলেই মজার মজার খাবার খাওয়া হয়। রেস্টুরেন্টে গুলোতে এমন সব লোভনীয় খাবার থাকে যে গুলো দেখলেই খেতে মন চাই। অনেক ধরনের খাবার খেলেন। ধন্যবাদ।
মায়ের সাথে বাইরে বেশ কিছুটা সময় খাওয়া দাওয়া করে সুন্দর কাটিয়েছেন দেখে ভালো লাগছে। রেস্টুরেন্টে দারুন সুন্দর সমস্ত খাবার নিয়ে লোভ লেগে গেল। এত সুন্দর সুন্দর খাবারের ছবি দেখলে না খেয়ে কি পারা যায়? হা হা হা৷ তবে আপনার মায়ের গলব্লাডার স্টোন খুব তাড়াতাড়ি অপারেশন করে ঠিক হয়ে যাক সেই প্রার্থনাই করি।
রেস্টুরেন্টে গিয়ে মাঝে মাঝে এ ধরনের লোভনীয় খাবার খেতে আবারও অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনি মায়ের সাথে রেস্টুরেন্টে গিয়ে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন।
শপিং এর জন্য বের হলে টুকটাক খাওয়া-দাওয়া হয় বাইরে। আপনি রেস্টুরেন্টে খাবার খুব সুন্দর অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। প্রত্যেকটা খাবার খুবই লোভনীয় লাগছে দেখতে। ছুটির দিনগুলোতে ভিড় একটু বেশি থাকে। বেইলি রোডের ফুড কোটে খুব সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন। মুহূর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
রেস্টুরেন্টে গিয়ে এভাবে মাঝেমধ্যে মজার মজার খাবার খেতে অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনারা তো দেখছি বেশ লোভনীয় কিছু খাবার খেয়েছেন। আপনার আম্মুর অপারেশন ভালোভাবে হয়ে গিয়েছে শুনে ভালো লাগলো। প্রতিটা খাবার অনেক মজা করে খেয়েছেন এটা তো দেখেই বুঝতে পারছি। মুহূর্তটা সুন্দর করে শেয়ার করলেন দেখে বেশি ভালো লাগলো।