ABB Contest-55 || আমার তৈরি ভিন্ন সাত আইটেমের ইফতারি রেসিপি।
হ্যালো বন্ধুরা,
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম। আজকে আমি আপনাদের সামনে অনেক সুন্দর একটা রেসিপি নিয়ে এসেছি। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব প্রায় সাতটা ইফতারি আইটেম নিয়ে এসেছি। আর এবারে সময়উপযোগী একটি প্রতিযোগিতার জন্য আমাদের হাফিজ ভাইকে জানাই অনেক অনেক ধন্যবাদ। আসলে রমজান মাস আসলে আমরা ইফতারিতে বিভিন্ন ধরনের আইটেমগুলো তৈরি করে থাকি।
আর সারাদিন রোজা রাখার পর যখন নতুন নতুন রেসিপি গুলো খেতে পারি তখন খুবই ভালো লাগে। অনেক সময় দেখা যায় একই ধরনের রেসিপি গুলো খেতে ভালো লাগে না। তাই জন্য নতুন এবং ইউনিক রেসিপি হলে খেতেও ভালো লাগে। আসলে যেহেতু আমরা ইফতারিতে বিভিন্ন ধরনের আইটেমগুলো খেতে পছন্দ করি, তার জন্য আমি আজকে এখানে সাত রকমের ইফতারি আইটেম তৈরি করার চেষ্টা করেছি। এখানে আমি ভেজ চিকেন রোল, ফিস বার্গার, ডাবের পুডিং, আলু এবং চিকেনের পুর ভরা চপ রেসিপি, টুইস্টেড ডোনাট রেসিপি, ফ্রাইড রাইস এবং ফ্রুটস জুস রেসিপিগুলো তৈরি করেছি। তার সাথে আবার কিছু ফল রেখেছি।
সত্যি বলতে এতগুলো রেসিপি বলা যতটা সহজ তৈরি করা ততটাই কঠিন। আমি আর রেসিপিগুলো প্রায় দুই দিন সময় দিয়ে তৈরি করেছি। আসলে কয়েকটা রেসিপি এর আগের দিন কিছুটা কাজ করে রেখেছিলাম। এরপর পরের দিন সকাল থেকে তৈরি করতে করতে প্রায় সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছিল। আসলে আমরা সব সময় ছাদে গিয়ে রেসিপি ফটোগ্রাফি গুলো করার চেষ্টা করি। আমি যখন রেসিপিগুলো তৈরি করছিলাম সন্ধ্যা হওয়ার আগ মুহূর্তে বৃষ্টি চলে এসেছিল। তখন ও আমার পুরো রেসিপিগুলো তৈরি করা হয়নি । এদিকে আবার কারেন্ট চলে গিয়েছিল।
সব মিলিয়ে অনেক চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলাম আসলে যদি এত কষ্ট করে তৈরি করা রেসিপিগুলোর ফটোগ্রাফি করতে না পারি। কিন্তু সন্ধ্যার ঠিক আগ মুহূর্তে বৃষ্টি থেমে গিয়েছিল। এটা সত্যি অনেক বড় একটা পাওয়া বলে আমি মনে করি। তবে সব কিছু সাজিয়ে গুছিয়ে তুলতে প্রায় ইফতারের টাইমের কাছাকাছি হয়ে গিয়েছিল। অনেক তাড়াহুড়া করে ফটোগ্রাফি গুলো করা শেষ করি। বলতে গেলে একদম ফটোগ্রাফি শেষ করে যখন ঘরে গেলাম, তখনই ইফতার করার টাইম হয়ে গেল।
কিন্তু যখন আবারো সবকিছু সাজিয়ে সবাই মিলে ইফতার করতে বসলাম এমনকি ইফতার করলাম বিষয়টা খুবই ভালো লেগেছে। আসলে যখন প্রতিযোগিতায় কোন রেসিপি তৈরি করে আমাদের ঘরে যেন অনেকটা উৎসব মুখর পরিবেশ তৈরি হয়। সত্যি বলতে এইরকম আয়োজন হলে সেটা তো অবশ্যই ভালো লাগবে। তবে এই সব কিছু আইটেম দিয়ে ইফতার করে পুরো দিনের পরিশ্রম ভুলে গিয়েছিলাম। সব মিলিয়ে বেশ ভালো লাগলো। আশা করি আপনাদের সবার ভালো লাগবে।
তো চলুন,
এই রেসিপিটি তৈরি করতে আমার কি কি উপকরণ লাগলো এবং আমি পুরো রেসিপি কিভাবে তৈরি করলাম তার বর্ণনা নিচে প্রতিটা ধাপে উপস্থাপন করলাম। আশা করি আমার আজকের রেসিপি আপনাদের ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় উপকরণ :
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
মুরগির মাংস | ১ পিস |
আটা | ১/২ কাপ |
গাজর | ১ টা |
টমেটো কুচি | ১ টা |
পেঁয়াজ কুচি | ১ কাপ |
রোসন বাটা | ১ টেবিল চামচ |
কাঁচামরিচ কুচি | ২ টেবিল চামচ |
ধনিয়া পাতা কুচি | ২ টেবিল চামচ |
হলুদের গুঁড়া | ২ টেবিল চামচ |
মরিচের গুঁড়া | ২ টেবিল চামচ |
মসলা গুড়া | ১ টেবিল চামচ |
লবন | পরিমাণমতো |
তেল | পরিমাণমতো |
রেসিপি ১ : ভেজ চিকেন রোল রেসিপি
ধাপ - ১ :
প্রথমে আমি একটি বাটিতে আটা নিয়ে নিলাম। এরপর গরম পানি দিয়ে মেখে একটা ডো তৈরি করে নিলাম।
ধাপ - ২ :
এরপর আমি এই ডো টা দিয়ে কয়েকটা রুটি বেলে নিলাম।
ধাপ - ৩ :
এরপরে আমি রুটিগুলোকে তাওয়াই দিয়ে একটা একটা করে ছেঁকে নিলাম।
ধাপ - ৪ :
এরপর আমি মুরগির মাংসগুলোকে সিদ্ধ করার জন্য একটা পাতিলে বসিয়ে দিলাম। মাংসগুলো সিদ্ধ করে নিলাম।
ধাপ - ৫ :
এরপর আমি সিদ্ধ করা মাংসগুলোকে হাত দিয়ে খুলে নিলাম।
ধাপ - ৬ :
এরপর আমি চুলার একটি ফ্রাইপ্যান বসিয়ে দিলাম। এর পরের মধ্যে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে দিলাম। তেল গরম হয়ে গেলে পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ, টমেটো, গাজর, সকল মসলা উপকরণ গুলো দিয়ে দিলাম।
ধাপ - ৭ :
এরপর আমি এর মধ্যে সিদ্ধ করা মাংসগুলো দিয়ে দিলাম। এরপরে নেড়েচেড়ে মিশিয়ে নিলাম। এভাবে ভেজে নেব। ভাঁজা হয়ে গেলে চুলা থেকে নামিয়ে নিলাম।
ধাপ - ৮ :
এরপর আমি রুটির ভেতরে সস লাগিয়ে নিলাম। এরপর এর এক কোনায় তৈরি করা পুর দিয়ে দিলাম। এরপর রোল করে নিলাম।
ধাপ - ৯ :
আমি এভাবে অনেকগুলো রোল তৈরি করে নিলাম। একটা রোল কেটে সমান করে নিলাম।
শেষ ধাপ :
এরপর পরিবেশন করলাম। আশা করি আমার আজকের রেসিপি আপনাদের ভালো লাগবে।
রেসিপি ২ : ফিস বার্গার রেসিপি
প্রয়োজনীয় উপকরণ :
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
সুরমা মাছ | ৪ পিচ |
বার্গার বান | ১/২ কাপ |
চিজ | ৪ স্লাইস |
পাউরুটি | ১ টা |
পেঁয়াজ কুচি | ১ কাপ |
টমেটো | ৪ টা |
টমেটো সস | পরিমাণ মতো |
মেয়োনিজ | পরিমাণ মতো |
হলুদের গুঁড়া | ২ টেবিল চামচ |
মরিচের গুঁড়া | ২ টেবিল চামচ |
মসলা গুড়া | ১ টেবিল চামচ |
লবন | পরিমাণমতো |
তেল | পরিমাণমতো |
ধাপ - ১ :
এখানে আমি চারটা মাছের পিস নিয়ে নিলাম। এরপরের মধ্যে হলুদ মরিচের গুড়া এবং লবণ দিয়ে মাখিয়ে নিলাম। এভাবে কিছুক্ষণ রেখে দিলাম।
ধাপ - ২ :
এরপর আমি পাউরুটি গুলোকে একটা ব্লেন্ডারের জায়গা ছোট ছোট টুকরো করে নিয়ে নিলাম। এরপর ব্লেন্ড করে নিলাম।
ধাপ - ৩ :
এরপর আমি একটি বাটিতে একটা ডিম ভেঙে নিলাম। এরপর মাছের একটা টুকরো ডিমের মধ্যে দিয়ে দিলাম। এরপর ডিম থেকে ডুবিয়ে ব্রেড ক্রাম্বে গড়িয়ে নিলাম। এভাবে আমি সবগুলো তৈরি করে নিলাম।
ধাপ - ৪ :
এরপরে চুলায় একটা কড়াই বসিয়ে দিলাম। এরপরের মধ্যে তেল দিয়ে দিলাম। তেল গরম হয়ে গেলে এর মধ্যে একটা একটা করে কত মাছ দিয়ে দিলাম। এরপর উল্টেপাল্টে ভেজে নিব।
ধাপ - ৫ :
এরপরে আমি মেয়োনিজ এবং টমেটো সস একসাথে মিশিয়ে নিলাম।
ধাপ - ৬ :
এরপর আমি একটা বার্গার বন কেটে নিলাম। এরপর এর ভেতরে মিস করা টমেটো সস এবং মেয়োনিজ লাগিয়ে নিলাম।
ধাপ - ৭ :
এরপর আমি এর উপরে স্লাইস করে কেটে নেওয়া টমেটো টুকরো দিয়ে দিলাম। এর উপরে ভাজা মাছ দিয়ে দিলাম। এর উপর একটা স্লাইজ চিজ দিয়ে দিলাম। এরপর বার্গার বনের উপরের অংশটা দিয়ে দিলাম।
ধাপ - ৮ :
এভাবে আমি আরো কয়েকটা বার্গার তৈরি করে নিলাম।
রেসিপি ৩ : ডাবের পুডিং
প্রয়োজনীয় উপকরণ :
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
ডাব | ২ টা |
আগার আগার পাউডার | ২ চামচ |
চিনি | ১ কাপ |
তেল | পরিমাণমতো |
ধাপ - ১ :
এখানে আমি একটা ডাব কেটে পানি বের করে নিলাম। ডাবের শ্বাস গুলোকে কেটে বিভিন্ন ডিজাইন করে নিলাম।
ধাপ - ২ :
এরপর আমি ডাবের পানি গুলোকে চুলায় বসিয়ে দিলাম। এর মধ্যে চিনি এবং লবণ দিয়ে দিলাম।
ধাপ - ৩ :
ডাবের পানি একটু গরম হয়ে গেলে এর থেকে কিছুটা পরিমাণে নিয়ে এর মধ্যে আগার আগার পাউডার মিশিয়ে দিলাম ।
ধাপ - ৪ :
এরপর এই মিশ্রণটাকে ডাবের পানিতে দিয়ে দিলাম। এভাবে আমি আরো কিছুক্ষন চুলায় রাখবো। এরপর একটি বাটিতে কেটে নেওয়া আর ডাবের শাস গুলোকে সাজিয়ে নিলাম। এরপরের মধ্যে ডাবের পানিটাকে ঢেলে দেবো। নিচে রেখে কিছুক্ষণ ঠান্ডা হয়ে গেলে এরপর ফ্রিজে রেখে দিব।
ধাপ - ৫ :
এরপরের ফ্রিজ থেকে নামিয়ে নিব। দেখব পুডিংটা বসে গেছে।
রেসিপি ৪ : আলু এবং চিকেনের পুর ভরা চপ রেসিপি :-
প্রয়োজনীয় উপকরণ :
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
চিকেন | ১ টুকরো |
ডিম | ১ টা |
আলু | কয়েকটি |
পেঁয়াজ কুচি | ১ কাপ |
রোসন বাটা | ১ টেবিল চামচ |
কাঁচামরিচ কুচি | ২ টেবিল চামচ |
ব্রেড ক্রাম্ব | পরিমাণ মতো |
মসলা গুড়া | ১ টেবিল চামচ |
লবন | পরিমাণমতো |
তেল | পরিমাণমতো |
ধাপ - ১ :
প্রথমে আমি এই মুরগির মাংস গুলোকে সিদ্ধ করে ছোট ছোট করে নিয়েছি।
ধাপ - ২ :
এরপরে আমি একটি বাটিতে মুরগির মাংসগুলো নিয়ে নিলাম। এর উপরে সিদ্ধ আলু দিয়ে দিলাম। কি অবস্থা আপু এরপর পেঁয়াজ করছি কাঁচামরিচ কুচি এবং মসলাগুলো লবণ দিয়ে দিলাম।
ধাপ - ৩ :
এরপর এগুলোকে হাত দিয়ে ভালোভাবে মেখে নিলাম। এরপর গোল গোল করে কয়েকটা তৈরি করে নিলাম।
ধাপ - ৪ :
এরপরে আমি ডিমের মিশ্রণের মধ্যে বলটাকে ডুবিয়ে এরপর ব্রেডক্রাম্ভে গরিয়ে নিলাম। এভাবে আমি সবগুলো তৈরি করে নিলাম।
ধাপ - ৫ :
এরপর আমি চুলায় একটি কড়ায় বসিয়ে দিলাম । এর পরের মধ্যে তৈরি করা বলগুলো দিয়ে ভেজে নিবো। ভাজা হয়ে গেলে চুলা থেকে নামিয়ে নিলাম।
রেসিপি ৫ : টুইস্টেড ডোনাট রেসিপি:-
প্রয়োজনীয় উপকরণ :
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
দুধ | ১ কাপ |
আটা | ২ কাপ |
ইস্ট | ১ চামচ |
চিনি | পরিমানমতো |
লবন | পরিমাণমতো |
তেল | পরিমাণমতো |
ধাপ - ১ :
এরপর আমি একটি বাটিতে দুধ নিয়ে নিলাম। এরপর আমি এর মধ্যে ইস্ট এবং লবণ দিয়ে দিলাম। এরপর আমি আটা দিয়ে একটা ডো তৈরি করে নিলাম। এটাকে আমি একটা ঢাকনা দিয়ে ঢেকে কিছুক্ষণের জন্য রেখে দেবো।
ধাপ - ২ :
এরপর কিছুক্ষণ পরে দেখবো ডোটা অনেকটা ফুলে গিয়েছে । এরপর আমি এটাকে কয়েকটা ভাগে ভাগ করে নিলাম।
ধাপ - ৩ :
এরপরে আমি একটা অংশ নিয়ে তেল দিয়ে চিকন করে নিলাম এবং একটার ভিতরে একটা ঢুকিয়ে গোল করে নিলাম। এভাবে আমি সবগুলো তৈরি করে নিলাম।
ধাপ - ৪ :
এরপরে আমি একটি কড়ায় বসিয়ে দিলাম। এর পরের মধ্যে তেল দিয়ে দিলাম। তেল গরম হয়ে গেলে এর মধ্যে ডোনাট গুলো দিয়ে দিলাম। এগুলোকে আমি উল্টেপাল্টে ভেজে নিলাম।
ধাপ - ৫ :
এরপরে তেল থেকে উঠিয়ে চিনির মধ্যে গড়িয়ে নিলাম। এভাবে আমি সবগুলো তৈরি করে নিলাম।
রেসিপি ৬ : ভেজা ফ্রাইড রাইস
প্রয়োজনীয় উপকরণ :
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
চাল | ৫০০ গ্রাম |
গাজর | ৩ টা |
টমেটো | ৩ টা |
শাক | কিছুটা পরিমাণে |
টমেটো সস | পরিমাণ মতো |
ভিনেগার | ১ চামচ |
সয়াসস | ১ চামচ |
পেঁয়াজ কুচি | ১ কাপ |
রোসন বাটা | ১ টেবিল চামচ |
কাঁচামরিচ কুচি | ২ টেবিল চামচ |
ধনিয়া পাতা কুচি | ২ টেবিল চামচ |
হলুদের গুঁড়া | ২ টেবিল চামচ |
মরিচের গুঁড়া | ২ টেবিল চামচ |
মসলা গুড়া | ১ টেবিল চামচ |
লবন | পরিমাণমতো |
তেল | পরিমাণমতো |
ধাপ - ১ :
এখানে আমি একটা পাতিলের মধ্যে প্রথমে ভাতের চাল গুলো রান্না করে নিলাম।
ধাপ - ২ :
এরপর আমি চুলায় একটা পাতিল বসিয়ে দিলাম। এরপর এর মধ্যে পেঁয়াজকুচি এবং কাঁচামরিচ কুচি দিয়ে দিলাম । এরপরে গাজর কুচি এবং টমেটো কুচি গুলো দিয়ে দিলাম। এর সাথে রসুন বাটা এবং লবণ দিয়ে দিলাম।
ধাপ - ৩ :
এরপর আমি এর মধ্যে দুই রকমের শাক দিয়ে দিলাম। এগুলো কি কিছুক্ষণ আগে ছেড়ে ভেজে নিবো।
ধাপ - ৪ :
এরপর এরমধ্যে টমেটো সস, ভিনেগার এবং সয়া সস দিয়ে দিলাম। এগুলো দিয়ে কিছুক্ষণ রান্না করবো।
ধাপ - ৫ :
এরপর আমি তৈরি করা ভাতটাকে দিয়ে দিলাম। এটাকে একটু নেড়ে ছেড়ে দিব।
ধাপ - ৬ :
এভাবে আরো কিছুক্ষন চুলায় রেখে রান্না করে নিব। রান্না করা হয়ে গেলে চুলা থেকে নামিয়ে নিবো।
রেসিপি ৭ : ফ্রুট জুস রেসিপি
প্রয়োজনীয় উপকরণ :
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
মালটা | ১ টা |
আঙ্গুর | কয়েকটা |
কলা | একটি |
অরেঞ্জ ট্যাঙ | কিছুটা পরিমাণে |
চিনি | পরিমাণ মতো |
লবণ | পরিমাণ মতো |
ধাপ - ১ :
এখন আমি সবগুলো ফল ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিয়েছি।
ধাপ - ২ :
এরপরে ফলগুলোকে আমি গ্লাসের মধ্যে নিয়ে নিলাম। এখানে আমি মালটার রস নিয়ে নিয়েছি। তার সাথে অরেঞ্জ ট্যাঙ, চিনি এবং লবণ দিয়ে দিলাম।
ধাপ - ৩ :
এরপরে পানি দিয়ে সবগুলো মিশিয়ে নিব।
সবগুলো রেসিপি পরিবেশন
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | রেসিপি |
---|---|
ডিভাইস | Redmi note 9 |
ফটোগ্রাফার | @tasonya |
লোকেশন | ফেনী |
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করেছি। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀 |
---|
আহা!! এত এত রেসিপি দেখেতো লোভ সামলাতে পারছি না আপু। মনে হচ্ছে পরিবেশনের প্লেট থেকে একটু একটু করে সবগুলো আইটেম চেখে দেখি। তবে আপু আমি ভীষণ অসুস্থ, মন চাইলেও হয়তো সব খেতে পারবো না হাহাহা। যাইহোক আপু, ভিন্ন সাত আইটেমের ইফতারের রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছেন দেখে খুব ভালো লাগলো। তাই এই প্রতিযোগিতায় আপনার অংশগ্রহণ সফল হোক, আমি এই প্রত্যাশা করছি। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপনি অসুস্থ না হলে তো এখন ভাবছিলাম আপনাকে দাওয়াত দিব 😜
https://twitter.com/TASonya5/status/1771440137039429812?t=8JCgWq2YJnixYT9SfEwqiA&s=19
প্রথমে আপনাকে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আপনার তৈরি ভিন্ন সাত আইটেমের ইফতারি রেসিপি দেখে খুবই লোভনীয় লাগছে। এই ধরনের আইটেম গুলো ইফতারিতে থাকলে খেতে আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। রেসিপি গুলোর কালারটাও বেশ দারুন এসেছে। দেখে বোঝা যাচ্ছে আপনি খুব সময় নিয়ে রেসিপিগুলো তৈরি করেছেন । খেতে মজার ছিল নিশ্চয়ই।
ইফতারের আইটেমে এগুলো থাকলে সত্যি আর কোন কিছুরই প্রয়োজন হয় না বেশ জমিয়ে খাওয়া যায়।
প্রথমে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি আমার বাংলা ব্লগের ইফতারি রেসিপি তৈরি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য। এত বড় রেসিপি আমার বাংলা ব্লগে খুবই কম বার দেখেছি। আপনার তৈরি ইফতারি রেসিপি গুলো দেখতে ভীষণ সুন্দর হয়েছে প্রতিটি রেসিপি অনেক লোভনীয় লাগছে। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে বিস্তারিতভাবে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আসলেই সবগুলো রেসিপি অনেক বেশী লোভনীয় ছিল। খেতে জাস্ট অসাধারণ লিখেছিল।
প্রথমে অভিনন্দন জানাই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য। আপনার বাহারি রকমের ইফতার দেখে বেশ লোভ লাগছে প্রতিটা ইফতার অনেক লোভনীয় এবং সুস্বাদু মনে হচ্ছে। বেশ পরিশ্রম দিয়ে তৈরি করে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
এত রকমের ইফতার দেখে লোভ লাগছে শুনে ভালো লেগেছে। বেশি নজর দিবেন না এই রোজার দিনে।
আপু আপনি বেশ কয়েকটি আইটেমের ইফতারী তৈরি করেছেন দেখে আমার অনেক বেশি ভালো লাগলো। আপনার তৈরি করা প্রতিটি খাবার আমার অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আপনি রান্না করতে বেশ পারদর্শী। আপনি খুবই সুন্দর করে রান্না সম্পন্ন করেছেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল আপু।
এমনিতেই রান্না আমি খুব পছন্দ করি। আর প্রতিযোগিতা হলে ইউনিক কিছু রান্না করার চেষ্টা করি।
আপু আপনি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো। লোভনীয় সব খাবার গুলো দেখে সত্যিই ভালো লেগেছে। ইফতারের সময় এরকম মজার মজার খাবার তৈরি করলে খেতে অনেক ভালো লাগবে। দারুন সব রেসিপিগুলো আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
লোভনীয় খাবার গুলো দেখে আপনার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে শুনে আনন্দিত হলাম।
প্রথমেই আপনাকে অভিনন্দন জানাচ্ছি আপু ,আপনি এইবারের আমার বাংলা ব্লগ এর 55 তম কনটেস্ট এ অংশগ্রহণ করেছেন। সেই সাথে একদম অসাধারণ ইউনিক সাত রকমের ইফতারের রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছেন। প্রতিটি রেসিপি এ ছিল একদম লোভনীয় প্রকৃতির। পোস্ট এর বিবরণ পড়ে বোঝা যাচ্ছে আপনি বেশ কষ্ট করেছেন রেসিপিটি তৈরি করতে এবং ফটোগ্রাফি করতেও বেশ ঝামেলায় পড়েছিলেন। তবে সন্ধ্যার আগে বৃষ্টি থামায় এত সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো করতে পেরেছেন যার ধরুন আমরা দেখতে পেরেছি। রেসিপিটি তৈরির ধাপসমূহ খুবই সাবলীল ভাবে উপস্থাপন করেছেন আপনি। আপনার তৈরি করা সাত প্রকার ইফতারের জন্য রেসিপি অনেক সুন্দর হয়েছে আপু। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
এই প্রতিযোগিতা অংশগ্রহণ করার চেষ্টা করেছি। আর ভিন্ন রকমের সাতটা রেসিপি তৈরি করার চেষ্টা করেছি।
আপনার রেসিপি গুলো দেখে লোভ লেগে গেল। আপনি সাত আইটেমের ইফতারি করেছেন। আসলে আপু এগুলো তৈরি করতে অনেক সময় আর ধৈর্যের প্রয়োজন। আপনি অনেক সময় নিয়ে বেশ লোভনীয় খাবার তৈরি করেছেন।ধন্যবাদ আপু ইউনিক কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
যেহেতু রেসিপি প্রতিযোগিতা তাই ইউনিক ভাবেই তৈরি করার চেষ্টা করেছি।
বাহ এত দারুন মজাদার রেসিপি গুলো দেখে আর বসে থাকা যাচ্ছে না। ইচ্ছে করতেছে আপনাদের বাড়িতে পৌঁছে যাই খাবার গুলো খাওয়ার জন্য। এত দারুন এবং সুস্বাদু রেসিপি গুলো আপনি তৈরি করলেন। সত্যি বলতে আপনার শেয়ার করা প্রতিটি রেসিপি আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। এত সুন্দর ভাবে আপনি প্রতিটি ধাপ উপস্থাপন করলেন অনেক ভালো লাগলো। অসংখ্য ধন্যবাদ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য।
আমার শেয়ার করা প্রত্যেকটা রেসিপি আপনার কাছে ভালো লেগেছে শুনে খুশি হয়েছি অনেক বেশি।